a
ফাইল ছবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল চালুর আগে আরও চারজনকে হল টিউটর এবং সাতজনকে সহকারি হল টিউটর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানের সই করা এক দাপ্তরিক আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।
নবনিযুক্ত চারজন হাউজ টিউটর হলেন- গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শরাবান তোহরা, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিপা দেবনাথ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তাসলিম আক্তার এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুন নাহার।
অন্যদিকে সাতজন সহকারী হাউজ টিউটর হলেন- বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দীপিকা মজুমদার, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মানসুরা বেগম, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুসরাত জাহান পান্না, ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়েমা খানম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোশরাত জাহান এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামিনা বেগম।
আদেশে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের জন্য এসব শিক্ষকদেরকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে হাউজ টিউটর ও সহকারী হাউজ টিউটর হিসেবে নিযুক্ত থাকবেন। তাদের ভাতা ও অন্য সুবিধাদি পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হবে।
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের বর্তমানে প্রভোস্ট হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. শামীমা বেগম। এছাড়া আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রতিভা রাণী কর্মকার হাউজ টিউটর হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র হতে বলা হচ্ছে হলে ছাত্রী উঠার জন্য তালিকা খুব শিঘ্রই প্রকাশ করা হবে। পূর্বে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলে আসছেন, যারা নির্ধারিত শর্তের মধ্যে থাকবেন তাদেরকে সিট প্রদান করা হবে। কোন লিঙ্ক লবিংয়ে সিট দেয়া হবে না।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি: স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত জেলা ভিত্তিক "আমার চোখে জুলাই বিপ্লব" আইডিয়া প্রতিযোগিতা - ২০২৫ এ ঢাকা জেলায় প্রথম হয়েছে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি ( জেএনইউডিএস) ।
প্রতিযোগিতায় জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি থেকে অংশগ্রহণ করেন, মাঈন আল মুবাশ্বির, মো. মেহেদী হাসান এবং সাদিয়া আফরোজ মীম।
আইডিয়ার শিরোনাম ছিলো, "জুলাই অভ্যুত্থান বিতর্ক উৎসব-২০২৫"। আইডিয়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার ১০ লক্ষ টাকা। যা আইডিয়া বাস্তবায়নে খরচ করা হবে। অংশগ্রহণকারী বিজয়ী দল পুরো টাকা বিশ্ববিদ্যালয়টির ডিবেটিং সোসাইটিকে একটি জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য উৎসর্গ করেছে।
এ প্রসঙ্গে বিজয়ী প্রতিযোগী এবং জবি ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন , " এটা সত্যিই গর্বের বিষয় যে এত বড় একটা প্রজেক্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে এর মাধ্যমে আশা করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
আমাদের এ আইডিয়ার মূল লক্ষ্য ছিল বিতর্কের মাধ্যমে জুলাইয়ে স্পিরিট টা কে প্রতিষ্ঠা করা। আমরা চাই জুলাই কে নিয়ে চর্চা হোক, তরুণ প্রজন্ম রাজনীতি, শিক্ষানীতি, সমাজ, দেশ নিয়ে সচেতন হোক , জুলাইয়ে আত্মত্যাগকারীদের স্মরণ করুক। এজন্যই মুলতঃ স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন সেক্টরে জুলাই অভ্যুত্থান শিরোনামে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।"
জবি উপাচার্য অধ্যাপক মো: রেজাউল করিম বলেন, " সত্যি ই আনন্দিত হওয়ার মতোই খবর। আমি ডিবেটিং সোসাইটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। তাদের এ প্রজেক্ট বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেকোনো সহযোগিতার মাধ্যমে পাশে থাকবে।"
ফাইল ছবি
আমেরিকা ২০ বছর ধরে যুদ্ধ করে পরাজিত হয়ে আফগানিস্তান থেকে পালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির একজন কর্মকর্তা।
আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সারওয়ার দানিশের প্রেস সচিব মোহাম্মদ হেদায়েত শনিবার কাবুলে এক বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন। খবর তাসনিম নিউজের।
আফগানিস্তানে দুই দশক ধরে মার্কিন সেনা মোতায়েন রাখার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমেরিকা যেসব স্লোগান দিয়ে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন করেছিল তার একটিও বাস্তবায়িত করেনি।
মোহাম্মদ হেদায়েত বলেন, আমেরিকা ২০ বছর পর যা রেখে গেছে তা নিশ্চিতভাবে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নয়; বরং এখন আফগানিস্তানে যুদ্ধ ও সহিংসতা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।
২০০১ সালের শেষের দিকে ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালিয়ে তৎকালীন তালেবান সরকারের পতন ঘটায় এবং দেশটিতে একরকম বিশৃংখলা সৃষ্টি করে।
আমেরিকা ঘোষণা করে, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন করেছে। কিন্তু ২০ বছরে এসব লক্ষ্যের একটিও অর্জন করতে পারেনি আমেরিকা।
মার্কিন সরকার ঘোষণা করেছে, চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সকল সৈন্য সরিয়ে নেবে।