a
ফাইল ছবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর কাজী নূর হোসেনের বিরুদ্ধে উপাচার্য বরাবর অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মোঃ মাজহারুল ইসলাম।
অভিযোগপত্র থেকে জানা, ২৬ জুলাই আনুমানিক সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় মােঃ আনিছুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মনােবিজ্ঞান বিভাগে লাইট এবং ফ্যান, সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য যান। তিনি বিভাগের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে বেরিয়ে আসার সময় উক্ত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর জনাব মােঃ কাজী নূর হােসেন তাকে প্রশ্ন করেন কেন তার রুমের কাজ হয়নি। প্রতিউত্তরে আনিছুর বলেন, কি কাজ সেটা আমি জানিনা। তারপর, কাজী নুর হােসেন বলেন “তাের দপ্তরের দাড়িওয়ালা একটা আছে না, প্রধান প্রকৌশলীর সাথে ঘুরে, তাকে (মােঃ মাজহাল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী, বিদ্যুৎ) ধরে নিয়ে এসে উল্টো করে ঝুলিয়ে পাছার ছাল তুলে ফেলব এবং ইলেকট্রিশিয়ান পাঠিয়ে আধা ঘন্টার মধ্যে কাজ না করে দিলে তাের খবর আছে। আমি যে মেসেজটা দিলাম সেটা তাের প্রধান প্রকৌশলীকে জানিয়ে দিবি।
মনােবিজ্ঞান বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে একজন সম্মানিত শিক্ষক হয়ে পাশাপাশি প্রশাসনিক দায়িত্বে থেকে একজন কর্মকর্তার সাথে মানহানিকর মন্তব্য করায় খুবই মর্মাহত, মানসিক ভাবে বিপর্যন্ত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে লিখিত অভিযোগে জানান মো মাজহারুল ইসলাম। এমতাবস্থায়, উক্ত ঘটনার প্রতিকার এবং উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
এবিষয়ে মোঃ মাজহারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ভিসি স্যার বিষয়টি সুরাহা করবেন বলে জানিয়েছেন। পূর্বের বিরোধ আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে বলেন, স্যারের সাথে আমার পূর্বের কোনো বিরোধ নেই।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, আগামীকাল উভয়পক্ষকে ডেকে বিস্তারিত জানব। অভিযোগ যেহেতু এসেছে সমাধান করে দিব।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি ভিসি স্যার আগামীকাল ১টায় বসে সমাধান করতে চেয়েছেন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু শিক্ষার্থী কাজী নূর হোসেন সম্পর্কে বলেন, তিনি আমাদের সাথেও অকারণে রূঢ় ব্যবহার করেন।
এসব বিষয়ে কাজী নূর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি।
মনোবিজ্ঞান বিভাগের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলিং সেন্টারের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ মনে করেন, সকল শিক্ষকদেরকে বিশেষ করে মনোবিজ্ঞানের শিক্ষকদের আচার ব্যবহারে দায়িত্বশীল হতে হবে যেন তারা রোল মডেল হিসেবে সকলের কাছে অনুকরণীয় হয়।
ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং নির্যাতনকারী এডিসি হরুন অর রশিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ আছে। সর্বশেষ গতকাল রাতে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীতে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে।
নির্যাতনে আহত দুজন গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কালকে সে আমাকেও বিনা দোষে নির্যাতন করবে। তাই আমরা এডিসি হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এডিসি হারুনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মানুষকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু তারা মানুষকে রক্ষা না করে তাদেরই নির্যাতন করছে। প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারীর কাছে থেকে এই ধরনের আচরণ কখনোই কাম্য নয়। তাকে চাকরিচ্যুত করতে হবে। কারণ তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।
আহতরা হলেন— ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।
ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে বেদমভাবে পিটিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ জন পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পেটান। এর মধ্যে নাঈমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মুখমণ্ডল মারত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত বর্ণনায় ছাত্রলীগ নেতারা জানান, পুলিশের ৩১ ব্যাচের ক্যাডার এডিসি হারুন শনিবার রাতে ৩৩ ব্যাচের আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন ক্যাডার কর্মকর্তা।
তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এরই জেরে পুলিশ ডেকে এনে তাদের থানায় নিয়ে বেদম প্রহার করে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আমাদের সুরুক্ষা দিতে দিন-রাত প্রস্তুত থাকেন। সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হয় মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তবে এত সবের মাঝে কতটুকুই বা সময় নিজেকে দিতে পারেন? তার পুরোটাই অজানা তাদের। কিন্তু সেই অবসরে যদি মনের সুখে গান গেয়ে ফেলেন, আর সেই গান মানুষ মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনছেন তাহলে ব্যাপারটা অস্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায়।
তবে সম্প্রতি এই অস্বাভাবিক ব্যাপারটিকেও স্বাভাবিক করেছেন দীপু নামের একজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। ‘আমার মতো এতো সুখী নয় তো কারো জীবন…’ এই গানটি বাবা কেন চাকর চলচ্চিত্রে নায়ক রাজ রাজ্জাকের ঠোঁটে শোনা গেছে। এই গানের সঙ্গে চোখের জল ঝরেছে বাংলা চলচ্চিত্রের কত শত দর্শকের। এই গানটি গেয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মী দীপু।
উক্ত ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছেন দীপু একটি অব্যবহৃত তরলের প্লাস্টিকের ড্রামের মতো পাত্রের মধ্যে বসে সেটাকেই বাদ্যযন্ত্র বানিয়েছেন। নিজে সেটা বাজাচ্ছেন আর গাইছেন- ‘আমার মতো এতো সুখী, নয়তো কারো জীবন, কি আদর স্নেহ ভালোবাসায়, জড়ানো মায়ার বাধন, জানি এ বাঁধন ছিঁড়ে গেলে কভু, আসবে আমার মরণ…’ খালিদ হাসান মিলুর অসংখ্য জনপ্রিয় গানের মধ্যে একটি এই গান।
মিলুর গানটি মানুষ শোনেন এখনো। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী দীপুর খালি গলায় গাওয়া এই গান শুনেছেন এক কোটি ২০ লাখ মানুষ। অবিশ্বাস্য হলেও। ফেসবুকের ওই পেইজের মাধ্যমে ১২ মিলিয়ন বার শোনা হয়েছে গানটি।
দীপুর গানটি ভাইরাল হলেও দীপুর সবিস্তার পরিচয় জানা যায়নি। জানা যায়নি কোন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে বসে তিনি গানটি গেয়েছেন। একটি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে গানটি ভাইরাল হয়েছে। আর পেইজটিও চালানো হয় দেশের বাইরে থেকে।
উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ার আদলে দীপুর মতো হাজার হাজার মানুষ তাদের সোশ্যাল এক্টিভিটিসের মাধ্যমে তাদের মেধার বিকাশ করে থাকে এবং নিজেদের তুলে ধরে।