a
সংগৃহীত ছবি
আজ সোমবার (১২ জুলাই) থেকে দেশে গণটিকাদান শুরু হয়েছে। দেশের জেলা-উপজেলায় দেওয়া হচ্ছে চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকা। আর আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় দেওয়া হবে কোভ্যাক্সের মডার্নার টিকা।
গতকাল রবিবার (১১ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত করোনা বুলেটিনে অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামসুল হক জানান, সারাদেশের টিকা কেন্দ্রগুলোতে সিনোফার্মের টিকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এর আগে সিটি করপোরেশন এলাকায় মডার্নার টিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে সারাদেশে সিনোফার্ম এবং মঙ্গলবার থেকে মডার্নার টিকা প্রয়োগ শুরু হবে।
ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণহারে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। কিন্তু টিকা স্বল্পতায় মাঝে কিছুদিন সমস্যা হয়। পরে দেশে টিকা আসায় আবার গণটিকা শুরু হয়েছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেওয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বুধবার ভোর থেকে সারা দেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়েছে।ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র বুধবার ভোর থেকে 'কঠোর লকডাউন' কার্যকর করার জন্য পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়েছে। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হবার কারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। যেসব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সাথে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
বহু রাস্তা বেরিকেড বসিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেসব রাস্তায় জরুরি সেবা সংস্থার কোন যানবাহনও যেতে পারছে না, যেতে হচ্ছে বিকল্প রাস্তায়। সরকারের তরফ থেকে এটিকে 'কঠোর লকডাউন' হিসেবে বর্ণনা করা হলেও গার্মেন্টসসহ শিল্প কারখানা এবং ব্যাংক খোলা রয়েছে।
এ দফায় 'কঠোর লকডাউন' কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধি নিষেধে বলা হয়েছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার এবং টিকা নিতে যাওয়া) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
এর আগে ৫ থেকে ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেয়া হলেও সেটি মূলত কার্যকর হয়নি। পুলিশ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এজন্য 'মুভমেন্ট পাস' ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেয়া হবে না বলে পুলিশ জানায়।
এক ইসরায়েলি সাবেক সেনা কমান্ডার দাবি করেছেন, হামাসের বিপক্ষে এরইমধ্যে ইসরায়েল হেরে গেছে। আইজ্যাক ব্রিক নামের ওই ইসরাইলি মেজর জেনারেল হিব্রু সংবাদমাধ্যম মারিভে একটি কলাম লিখেছেন। সেখানে তিনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনি দীর্ঘ সময় ধরে অসংখ্য সাধারণ মানুষের সাথে মিথ্যাচার করতে পারেন না।’
ওই জেনারেল লিখেছেন, ‘গাজায় এবং হিজবুল্লাহর বিপক্ষে কী ঘটছে, তা অচিরেই কিংবা কিছুটা পরে আমাদের মুখে চুনকালি মেখে দেবেই। এটা হবে ইসরায়েলি সেনা বাহিনীর সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। আমরা এরই মধ্যে হামাসের সাথে হেরে গেছি। আমরা এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় আমাদের বিশ্ব মিত্রদেরও হারিয়ে দিয়েছি।’
আইজ্যক আরো বলেছেন, ইসরাইলি বাহিনী আঞ্চলিক যুদ্ধের জন্য কোনো রকম প্রস্তুতই ছিলো না। সামনে তাদের জন্য আরো হাাজারো কঠিন পরিস্থিতি আসন্ন। আর তা হবে গাজা যুদ্ধের চেয়েও ভয়ংকর। এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা আরো বলেছেন, ‘যদি আমরা হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের জীবিত ফিরিয়ে আনতে না পারি, তবে এটা জনগণের কাছে ইসরায়েলের বড় পরাজয় হিসেবেই গণ্য হবে।’ তার মতে ৭ অক্টোবরের পর থেকেই পদে পদে ব্যর্থ হয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। সূত্র: বিডি প্রতিদিন