a
ছবি সংগৃহীত: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করবেন। আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে এ সাক্ষাৎ হবে। বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শায়রুল কবীর খান আরও বলেন, আগামীকাল বিএনপির প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করবে প্রধান উপদেষ্টার সাথে। দলে কারা কারা থাকবেন তা এখনো ঠিক হয়নি। তবে দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েই সেখানে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন ঢাকার বাইরে থাকলেও গতকাল রাতে তিনি ঢাকায় পৌঁছেছেন।
এদিকে গতকাল সাড়ে তিনটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির ২ সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ ও সেলিমা রহমান। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি । পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন
আফগানিস্তানের কিছু মানুষকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে যুক্তরাষ্ট্র অনুরোধ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।
আজ সোমবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ওয়াশিংটনে আমাদের রাষ্ট্রদূতের কাছে এবং পরে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত কিছু আফগান নাগরিককে সাময়িকভাবে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ করেন।
আমরা জানতে চেয়েছিলাম, কোন কোন দেশকে তারা এ অনুরোধ জানিয়েছে। কত আফগান নাগরিককে কত দিনের জন্য রাখতে হবে। এ বিষয়ে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।’
‘এমনিতেই ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সমস্যা আছে। নতুন করে কোনো দেশের লোকজনকে আশ্রয় দেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের নেই। তাই আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছি’,- বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জনতার সরকারে বিশ্বাস করি। আমরা সেই সরকারকে বিশ্বাস করি, জনগণ যাকে পছন্দ করে। আমরা গণতান্ত্রিক সরকারে বিশ্বাসী। যদি তালেবান সরকার তার জনগণের সমর্থিত সরকার হয়, তাহলে বাংলাদেশের দরজা অবশ্যই খোলা থাকবে।’
অপরদিকে এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আফগানিস্তানের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ, যা আঞ্চলিক বা তার বাইরেও প্রভাব ফেলতে পারে।
ফাইল ছবি
দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকালেই চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, ফেনী ও নোয়াখালীতে বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আস্তে আস্তে রাজধানীসহ সারাদেশে বৃষ্টি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, বৃষ্টি হচ্ছে অনেক জায়গায়, আগে যেমন শুধু সিলেটে হচ্ছিল সেটা এখন চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে ছড়িয়ে পড়েছে। আস্তে আস্তে সারাদেশে এটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোর থেকেই নোয়াখালীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। সকাল ৮টার দিকে কয়েকটি স্থানে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর তা মাঝারি আকার ধারণ করে। এতে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
একইভাবে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। তবে স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩ মিনিট। সামান্য এ বৃষ্টির দেখা পেয়েও জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সামনে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে আশা স্থানীয়দের।
আবহাওয়া অফিসও জানায়, বৃষ্টিপাতের এ ধারা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। এরপর আবার তাপপ্রবাহ বাড়তে পারে।
এছাড়া সকালে বান্দরবানে থেমে থেমে বজ্রপাত ও বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং বৃষ্টি হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামও। সেখানেও ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় বজ্রপাতের খবরও পাওয়া গেছে। সূত্র: ইত্তেফাক