a
ফাইল ছবি । স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
আপাতত গণটিকা কার্যক্রম শুরু হবেনা বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘গণটিকা কার্যক্রম আপাতত হচ্ছে না। নিবন্ধন করেই করোনার টিকা নিতে হবে।’
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইজারের ৬০ লাখ টিকা আসবে। যখন যত টিকা আসবে তখন নিবন্ধন অনুযায়ীই টিকা দেওয়া হবে বলে জানান।
ফাইল ছবি
ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ঋতুর পালা বদল করে আজ বর্ষার প্রথম দিন। আষাঢ়ের শুরু। বাংলার প্রকৃতিতে বর্ষার আনুষ্ঠানিক আগমনের দিন। পত্র-পল্লবে, পুষ্প-বৃক্ষে, নতুন প্রাণের সঞ্চার করে, নতুন সুরের বার্তা আর সবুজের সমারোহ নিয়ে এসেছে বর্ষা।
এই সময়ে বাঙালি মননে সবচেয়ে বেশি রোমান্টিকতা-আধ্যাত্মিকতার সুর বাজে। গ্রীষ্মের রুদ্র প্রকৃতির গ্লানি আর জরাকে ধুয়ে মুছে প্রশান্তি, স্নিগ্ধতা আর সবুজে ভরে তোলে বর্ষা। শত অনাকাঙ্খিত ঘটনার ভীড়েও এনে দেয় এক চিলতে বিশুদ্ধ সুখ।
বর্ষার রিমঝিম শব্দ বাঙালি মনে উৎসবের ঝঙ্কার তোলে। প্রত্যাশা, মহামারীর এই কঠিন সময় কালো মেঘ ছাপিয়ে ভেসে যাক বর্ষায়। গ্রীষ্মের খরতাপের শুষ্ক প্রকৃতিকেই শুধু নয়, বর্ষা ভিজিয়ে দেয় মনকেও। কখনো অন্ধকার করা কালো মেঘ, কখনো ঝিরিঝিরি আবার কখনো বা মুষলধারে বৃষ্টি।
বর্ষায় প্রেম জাগে মনে, হৃদয় নেচে ওঠে ভালোবাসার টানে। গাছে গাছে ফোটে কদম-বকুল, সৌন্দর্য ছড়ায় বাংলার গ্রাম, নগর ও শহরে। ঘাসফুল, সন্ধ্যা মালতিও কম নয়। গানে-কবিতায় বাংলার কবিরা করেছেন বর্ষা-বন্দনা। গ্রীষ্মের খরতাপে অতিষ্ঠ প্রাণকে শীতলতা দানে জুড়ি নেই বর্ষাকালের।
প্রকৃতিপ্রেমিক মানুষের কাছে তাই বর্ষা নিয়ে আসে অভিনব ব্যঞ্জনা আর কবিদের ক্ষেত্রে তো কথাই নেই। তাই ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’ দিয়ে প্রণয় নিবেদন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। নজরুলের কাছে বর্ষাকে মনে হয়েছে ‘বাদলের পরী’।
প্রস্ফুটন মৌসুমে ছোট ছোট ডালের আগায় একক কলি আসে গোল হয়ে। বর্ষাকালেই মূলত নানা ফুল ফোটে। বর্ণে গন্ধে সৌন্দর্যে কদম এ দেশের রূপসী তরুর অন্যতম হলেও অবহেলা-অনাদরে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এ গাছ।
বর্ষার ঘন কালো মেঘ আর বৃষ্টি ভিজিয়ে দিক মহামারীকাল। প্রকৃতির সাথে সাথে উচ্ছ্বসিত হোক মানুষের হৃদয়। মনে লাগুক সজীবতার ছোঁয়া। আর বর্ষাবরণের উৎসবগুলো তোলা থাক আগামীর জন্য।
এ দিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারো কোথাও হচ্ছে না বর্ষাবরণ উৎসবের কোনো আনুষ্ঠানিকতা। তবে এ নিয়ে সরকারি- বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে থাকছে নানা আয়োজন।
ফাইল ছবি
নিউজ ডেস্ক: ভারতের পতাকা অবমাননার জেরে বাংলাদেশের কোনো রোগীকে চিকিৎসাসেবা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কলকতার জেএন রায় নামক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের কর্মকর্তা শুভ্রাংশু ভক্ত পিটিআইকে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজ এই মর্মে নোটিশ জারি করেছে যে এখন থেকে আগামী অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত জে এন রায় হাসপাতাল কোনো বাংলাদেশি রোগীকে ভর্তি করবে না এবং চিকিৎসা সেবা দেবে না। বাংলাদেশের নাগরিকরা ভারতের প্রতি যে অসম্মান প্রদর্শন করেছে, তার জেরেই নেওয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য হাসপাতালের সঙ্গে তাদের কথা হচ্ছে এবং তাদেরকেও বাংলাদেশি রোগীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা বর্তমানে সেখানে ব্যাপকভাবে ভারত বিদ্বেষ দেখতে পাচ্ছি। আমরা আশা করছি অন্যান্য হাসপাতালগুলোও বাংলাদেশের রোগীদের ব্যাপারে একই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মাটিতে ভারতের এবং ইসরাইলের পতাকার নকশা এঁকে সেটির ওপর হেঁটে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এ এমন ঘটনার পর এবার রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (আরএসটিইউ), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসটিইউ) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডিইউ) টিএসসি ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় এই পতাকার নকশাগুলো দেখা গেছে।
এর আগে ইসরাইলের পতাকা এঁকে সেটির ওপর হেঁটে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেলেও এবার ইসকন ইস্যুতে নতুন করে ভারতের পতাকা যুক্ত হয়েছে। মূলত ঘৃণা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত ছবি ও পোস্ট প্রকাশিত হওয়ার পর তা রীতিমতো ভাইরাল হয় এবং ভারতের অনেক নাগরিক এর তীব্র সমালোচনা শুরু করেন। এসবের কারণে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সেবা না দেওয়ার ঘোষণা দিলো জেএন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া