a
ফাইল ছবি : মাহবুব তালুকদার
মানবাধিকারের আলোচনা এখন সর্বত্রে। মানবাধিকার উৎসারিত হয় ভোটের অধিকার থেকে। আমাদের সংবিধানের স্পিরিটই হচ্ছে তাই। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা ও রক্ষা করা এখনও সুদূরপরাহত। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। একমাত্র নির্ভেজাল গণতন্ত্রই মানবাধিকারের গ্যারান্টি দিতে পারে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও এর প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের জন্য অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ আইনানুগ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
২। নির্বাচনি আইন ভঙ্গ করে আচরণবিধি লঙ্ঘন সুষ্ঠু নির্বাচনের গোড়া কর্তনের নামান্তর। কতিপয় সংসদ সদস্য সরাসরি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কলুষিত করেছেন। কেবল চিঠি দেওয়া ছাড়া তাদের সম্পর্কে আর কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।
আবার কেউ কেউ সেই চিঠি উপেক্ষা করেছেন। এজন্য আইনের কঠোর প্রয়োগ অনিবার্য ছিল। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়া সংস্কার না করা হলে তাদের সম্পর্কে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। অন্যান্য যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, তাদেরকে সামান্য অর্থদন্ড প্রদান ব্যতীত অন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ছাড়া আইনের কঠোর বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
৩। সন্ত্রাস ও সংঘর্ষ যেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে। এখন ভোটযুদ্ধে যুদ্ধ আছে, ভোট নেই। ইউপি নির্বাচনে এখন উৎসবের বাদ্যের বদলে বিষাদের করুণ সুর বাজছে। কিন্তু নির্বাচন ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। নির্বাচনি সন্ত্রাস প্রতিহত করতে হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের প্রতিঘাত আরও জোরদার করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সন্ত্রাসের কারণ অনুসন্ধান করে তা থেকে অব্যাহতির উপায় উদ্ভাবন অপরিহার্য।
তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রথা উঠিয়ে না দিলে সন্ত্রাস ও সংঘর্ষ উত্তরোত্তর বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আমরা অবশ্যই সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন চাই।
৪। নির্বাচনের মৌলিক শর্ত ভোটের আগে ও পরে ব্যালট পেপারের নিরাপত্তা বিধান। আমরা যথাযথভাবে তা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এর দায় এড়াতে পারবে বলে মনে হয় না। পত্রিকা মতে দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় যেমন টাঙ্গাইল (ডুবাইল), কুড়িগ্রাম (যাত্রাপুর), নেত্রকোণা (দূর্গাপুর), ফেনী (ছাগলনাইয়া), কুমিল্লার আদর্শ সদর (পাস্তুরি), সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর (জালালপুর), কিশোরগঞ্জ (ভৈরব), রাজশাহী (চারঘাট), হবিগঞ্জ (সদর), ঠাকুরগাঁও সদর (আখানগর), গোপালগঞ্জ (কোটালীপাড়া), গাইবান্ধা (জুমারবাড়ি), যশোর (কেশবপুর), সাভার (আশুলিয়া) ইত্যাদি স্থানে নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়ে গেছে।
যে কোনো মূল্যে ব্যালট পেপারের সুরক্ষা দিয়ে এই অবস্থার অবসান ঘটানো প্রয়োজন। স্মরণযোগ্য যে, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পূর্ব রাতে ব্যালট পেপারের ঘটনাটি বিবিসি প্রকাশ করার পর নির্বাচন কমিশন দিনের ভোট রাতে করে বলে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হই। এটি কোনভাবেই কাম্য ছিল না। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
বেগম খালেদা জিয়া । ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবারের ঈদ হাসপাতালেই উদযাপন করবেন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঈদের দিন পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। দলের সিনিয়র কয়েক নেতার চেয়ারপারসনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার কথা রয়েছে।
চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের সদস্য বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ঈদের দিন আমাদের নেত্রী হাসপাতালে থাকছেন।
ঈদের দিন নামাজের পর সকাল সাড়ে এগারটায় মহাসচিবসহ বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন। এই উপলক্ষে ঢাকা পুলিশ কমিশনারের কাছে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার চিঠি দিয়েছেন।
এছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবার ঢাকায় ঈদের জামাত আদায় করবেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ডক্টর আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুও ঢাকায় ঈদ করবেন। আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ ভারতের শিলং-এ ঈদের জামাত আদায় করবেন।
ফাইল ছবি
করোনার সংক্রমণের কারণে দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শেষনজটের কবলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যা তাদের শিক্ষাজীবনকে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন করে তুলেছে অনেকে আছেন স্নাতক/স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের পরীক্ষার জন্য আটকে আছেন।
এসব বিষয় চিন্তা করে এবার অনলাইনে বিশেষ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালো ইউজিসি। আজ ৬ মে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসির এক সভায় আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে পরীক্ষা নেবে। তবে কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেবে, সেটা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করে ঠিক করবে।
এ বিষয়ে তাঁরা একটি গাইড লাইন তৈরি করেছেন। সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয় সেটা পরিপত্র আকারে জারি করলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠানো হবে।
এর আগে গতকাল ৫ মে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি কোন উন্নতি না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে অনলাইনে সকল বর্ষের চূড়ান্ত (ফাইনাল) পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। ইউজিসির কোনো কোনো সদস্য মনে করছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের ফলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও উৎসাহী হবে।