a
ফাইল ছবি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ উপাধিতে ভূষিত করেছে আর্থ ইনস্টিটিউট, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক।
“২০৩০” সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন নিয়ে নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানানোর সময় ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
সম্মেলনে অংশ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ জেফ্রি স্যাক্স। অধিবেশনে জেফ্রি স্যাক্স বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার সঙ্গে এক হতে পেরে আমরা আনন্দে উদ্বেলিত।
আমরা আপনার কথা শুনতে চাই, বিশেষ করে এই জন্যে যে, আমরা যখন পৃথিবীর দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের অগ্রগতি বিশ্লেষণ করি যা প্রতি বছর জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক করে থাকে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অগ্রগতিতে বিশ্বে প্রথম হয়েছে। তাই আমরা সেই অর্জনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই।
ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভিসানীতি থেকে বাঁচতে সরকার ফল ও খাবার খাওয়ানোর নাটক করেছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আগামী সোমবার (৩১ জুলাই) সারাদেশে বিএনপির জনসমাবেশের কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বিনা উসকানিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। বহু নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। সরকার নিজেদের রক্ষার জন্য আমান উল্লাহ আমানকে ফল ও বাবু গয়েশ্বরকে দুপুরে খাওয়ানোর নাটক করেছে।
বিএনপি এগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সরকার ভিসানীতি থেকে বাঁচতে বিএনপি নেতাদের ফল ও খাবার খাওয়ানো এবং আটকের নাটক সাজিয়েছে।
তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে আমরা জানতে পেরেছি, তিন যুবক মোটরসাইকেলে এসে বাসে আগুন দিয়ে চলে যায়। পুলিশও আশপাশে ছিল। কারা এ কাজ করছে তা সবাই জানে। অথচ বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করা হচ্ছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্যসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ বিএনপির অনেক নেতা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাত খুলনায় সোনালী ব্যাংকে।
খুলনা সোনালী ব্যাংকে করপোরেট শাখার ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগে ৩ জনের নামে দুদকে’র মামলা দায়ের হয়েছে। স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. সালাউদ্দিন ও ব্যাংকের গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদারসহ তিনজনের নামে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৬ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মো. শাওন মিয়া খুলনার উপ-পরিচালক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মো. সালাউদ্দিন স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর খুলনা সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখা হতে প্লেজ ১৭ কোটি এবং হাইপো দেড় কোটি টাকাসহ মোট ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ গ্রহণ করেন। জামানত ছিল গোডাউনে রক্ষিত রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি এই ঋণের বিপরীতে। ব্যাংকের পক্ষ হতে গোডাউনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার ও সাপোর্টিং স্টাফ আব্দুর রহিম বাবু (গ্রেড : ২) ছিলেন। স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মো. সালাউদ্দিন ব্যাংকের গোডাউন কিপারের যোগসাজসে ২০১৭ সালের ১৫জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। গভীর রাতে গোডাউন খুলে চিংড়ি পাচারকালে ব্যাংকের তৎকালীন ডিজিএম মো. আবু হোসেন শেখ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) পুলিশের সহায়তায় গোপনে চিংড়ি বিক্রির প্রমাণ পান। এতে তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
দুদকের এজাহারে আরও উল্লেখ রয়েছে মো. আব্দুর রহিম বাবু ব্যাংকের সিবিএ নেতা হওয়াই তখনকার ডিজিএমকে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থাপনা না নেয়ার জন্য হুমকি দেন। ব্যাংকের ডিজিএম মো. আবু হোসেন শেখ সিবিএ নেতাদের চাপে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেননি। পরবর্তীতে দুর্নীতি দমন কমিশন ঘটনার তদন্ত শুরু করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়াই স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি মো. সালাউদ্দিন, ব্যাংকের গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার এবং ব্যাংকের স্টাফ আব্দুর রহিম বাবুসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার ডিজিএম শেখ শহিদুল ইসলাম মামলার কথা স্বীকার করে জানান, গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার সাময়িক বরখাস্ত আছেন। এছাড়া মামলার কপি পাওয়া গেলে অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অর্থঋণ আদালতে প্রায় ২০ কোটি টাকার মামলা দায়ের করা হয়েছে ঋণ খেলাপির। খুলনা দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মুজিবর রহমানও মামলা সত্যতা স্বীকার করেছেন।