a
ফাইল ছবি
মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তদের মধ্যে ১০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে।
শনিবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমন তথ্য জানান।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয় এবং প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। নুরুন্নবী চৌধুরী তার প্রশ্নে দেশের মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি কতজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করা হয়েছে তা জানতে চান।
জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, দেশে গেজেটধারী বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৬০ জন। ২০০২ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যাদের নাম বেসামরিক গেজেটে প্রকাশিত হয়েছিল যাচাই-বাছাই করে প্রায় ১০ হাজার বেসামরিক গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন অন্তর্ভুক্তি এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম বাতিল সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
সরকার দলের বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ইস্যুকৃত সাময়িক সনদের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ডিজিটাল সনদ (স্থায়ী সনদ) এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ডিজিটাল স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ডিজিটাল সনদ তৈরি সম্পন্ন হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে একযোগে বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
ফাইল ছবি: বেগম খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার গত সোমবার এ আবেদন করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে সোমবার আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি মতামত জানতে চেয়ে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে করা আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। খালেদা জিয়ার ভাইয়ের আবেদনটি অল্প সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
দেড় মাসের বেশি সময় ধরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় খালেদা জিয়া ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে অনেক দিন ধরে তাঁর লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে আসছে। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লিভার সিরোসিসের কারণে খালেদা জিয়ার হৃদ্যন্ত্র ও কিডনির জটিলতা বেড়েছে। তিনি হাসপাতালে কখনো কিছুটা ভালো থাকছেন, পরক্ষণেই তাঁর স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। ফলে তাঁকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতির লক্ষণ না থাকায় তাঁর পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি এখন সামনে এসেছে।
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে নেতিবাচক নানা কথা বললেও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের অনেকে মনে করেন, সরকার চাইলে আদালতে না গিয়ে এমতাবস্থায় তাঁকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিতে পারে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহদীন মালিক সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছে। ফলে এখন জেলে যাওয়া বা আদালতের আশ্রয় নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
৪০১ ধারাতেই বলা আছে, নির্বাহী আদেশে শর্ত ছাড়াই মুক্তি দেওয়া যায়। এমনকি সরকার সাজা মওকুফও করতে পারে। ফলে সরকারই শর্তহীন মুক্তি দিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে বলে মনে করেন তিনি। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি: মোল্লা জালাল ও উদয় হাকিম
সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল পুনরায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি ঢাকার সভাপতি পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিং বিডির প্রধান সম্পাদক উদয় হাকিম। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংগঠনটির প্রীতিভোজ ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলন শেষে মোল্লা জালাল ও উদয় হাকিমের নেতৃত্বে ৩৫ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন সমিতির বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক নুরুল হাসান খান। এ সময় বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ ৬ জেলার নেতারা সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। এ কমিটি আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে। কমিটির প্রথম বৈঠক আগামী ১০ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক উদয় হাকিম।
কমিটির সহ-সভাপতিরা হলেন- আশরাফ আলী (টাঙ্গাইল), মহসিন আব্বাস (কিশোরগঞ্জ), নুরুল হাসান খান (নেত্রকোনা), পল্লব মাহমুদ (জামালপুর), রুশো হায়দার (শেরপুর)। যুগ্ম সম্পাদকরা হলেন- ইব্রাহিম খলিল খোকন (কিশোরগঞ্জ), মোহাম্মদ শাহজাদা (জামালপুর), শওকত আলী খান লিথো (নেত্রকোনা), আকতার হোসেন (ময়মনসিংহ) ও তানজিল রিমন (শেরপুর)।
এছাড়া কমিটির কোষাধ্যক্ষ সরদার ফরিদ আহমদ, প্রচার সম্পাদক বাহরাম খান, দফতর সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া। সাংস্কৃতিক সম্পাদকের পদটি এখনো শূন্য রয়েছে। কার্যকরী কমিটির প্রথম সভায় তা পূরণ করা হবে।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা পদাধিকার বলে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তারা হলেন- কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি আজিজুল হক এরশাদ, সাধারণ সম্পাদক হামিদ মোহাম্মদ জসীম, টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি তালুকদার হারুন, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মান্না, ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি ঢাকার সভাপতি উৎপল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, জামালপুর সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল, নেত্রকোনা সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি ফারুক তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম, শেরপুর সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার আহবায়ক হকিকত জাহান হকি ও সদস্য সচিব মামুন আবদুল্লাহ।
এছাড়া ৬ জেলার নারী সদস্যরা হলেন- মফিদা আকবর (ময়মনসিংহ), শাকিলা জেসমিন (কিশোরগঞ্জ), শাহনাজ পারভীন এলিস (টাঙ্গাইল), বনশ্রী ডলি (নেত্রকোনা), খাতুনে জান্নাত কণা (জামালপুর) এবং তাছলিমা হোসেন শিখা (শেরপুর)।