a
ফাইল ছবি
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ শনিবার ( ১২ জুন) বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে বাণী প্রদান করেছেন: মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন-
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ বছর বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, শিশুশ্রমের অবসান’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। জাতিসংঘ ২০২১ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম নিরসন বছর’ হিসেবে ঘোষণা করায় এ বছরের ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ উদযাপন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
শিশুশ্রম একটি জাতীয় সমস্যা। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে শিশুর সার্বিক কল্যাণ নিশ্চত করে তাদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আর সেজন্যই শিশুশ্রম নির্মূল করে বাধ্যতামূলক শিক্ষাপ্রদানের মাধ্যমে শিশুর যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ এ বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে। তাই শিশুদের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করার এখনই সময়। সরকার এসডিজি-বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম-নিরসন এবং ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে সকল ধরনের শিশুশ্রম হতে মুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সরকার শিশুশ্রম-নিরসনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অঙ্গীকারবদ্ধ।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমবিষয়ক আইএলও-কনভেনশন অনুসমর্থনকারী দেশ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিবিষয়ক এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য শিশুশ্রম-নিরসনকে অন্যতম সূচক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি United Nations Periodical Review (UPR), European Union এর সাথে প্রণীত National Action Plan on Labour Sector of Bangladesh এ এজেণ্ডাভুক্ত আছে। শিশুশ্রম নিরসনে ২০১০ সালে ‘জাতীয় শিশুশ্রম-নিরসন নীতিমালা’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ নীতিমালা-বাস্তবায়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। শিশুশ্রম-নির্মূলে জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে কমিটিগঠনের মাধ্যমে চারস্তরবিশিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া এ বছর ৬টিসহ এ পর্যন্ত মোট ৮টি শিল্পখাতকে শিশুশ্রমমুক্ত করা হয়েছে। আমি আশা করি, সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সকল প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে শিশুশ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।
ফাইল ছবি
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাতে গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আতঙ্ক বিরাজ করে নগরবাসীর মাঝে। তবে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। সমাধান হয়েছে লাইনের সমস্যাও। গ্রাহকরা এখন চুলা ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানিয়েছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে তিতাসের জিএম (অপারেশন) সেলিম মিয়া জানান বলেন, গ্যাস লিকেজ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। এখন গ্রাহকরা চুলা জ্বালাতে পারবেন। লাইনে যে সমস্যা হয়েছিলো তার সমাধান করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
এর আগে সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ সময় বিভিন্ন এলাকার মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্যাসের চুলা না জ্বালানো এবং দেশলাই না জ্বালানোর অনুরোধ জানানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকা থেকে আমরা ফোনকল পেয়েছি। তাদের আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করেছি।
তিনি আরও জানান, আমাদের টিম প্রাথমিকভাবে জানতে পারে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে বিভিন্ন জায়গায় লিকেজ হচ্ছে। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঢাকা শহরের ফায়ার সার্ভিসের সবগুলো ইউনিট।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস আরও জানায়, ঈদে শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায়, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে (ওভার-ফ্লো) গন্ধ বাইরে আসছে। তিতাসের জরুরি ও টেকনিক্যাল টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তিতাস গ্যাসের লাইনে লিকেজের ঘটনা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১ টায় প্রতিমন্ত্রীর নিজস্ব ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল পৌনে ৯টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি নিউইয়র্কের জনএফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং।
এর আগে রোববার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৫ মিনিটে বিমানটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছায়। লন্ডনে চার ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করে।
প্রধানমন্ত্রী ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রথম দিনের উচ্চপর্যায়ের সাধারণ আলোচনায় যোগ দেবেন।
তিনি ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজেও যোগ দেবেন।
সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থসহ বেশ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন। সূত্র: যুগান্তর