a
ফাইল ছবি
প্রথম আলোর অনুসন্ধানী জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দেশের ১১ বিশিষ্ট নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে উক্ত ঘটনা তলিয়ে দেখা ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের কর্মকাণ্ডের তদন্ত করার দাবি জানান।
আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকেরা এই দাবি জানান। বিবৃতিদাতারা হলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, সারোয়ার আলী, মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীর, আবদুস সেলিম এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ। তাঁরা বলেন, আমরা মনে করি রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তিলাভে সরকার বিবেচকের ভূমিকা পালন করবেন। তথ্য প্রাপ্তির অধিকার এবং দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতা, সরকারের ঘোষিত এই দুই নীতির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকেরা বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য সংগ্রহকালে যেভাবে কর্মকর্তাদের দ্বারা হেনস্তাও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য অপহরণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন তা আমাদের বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। বর্তমান করোনা দুর্যোগকালে সংকট মোকাবিলায় সরকার ও জনগণের যে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস পরিচালিত হচ্ছে তা সর্বতোভাবে জোরদার করার লক্ষ্যে আমরা সবাই সমবেত রয়েছি।
এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গুরুদায়িত্ব পালন করে চলেছেন। একই সাথে মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মচারী-কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে সরকারও বিভিন্ন সময় বিব্রত হয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এ ক্ষেত্রে রোজিনা ইসলামসহ অন্যান্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সহযোগিতার মাধ্যমে সরকার উপকৃত হয়েছেন।
উল্লেখ্য গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিনা অনুমতিতে সরকারি কাগজ পত্রের ছবি তোলা এবং কিছু কাগজপত্র চুরি করার অভিযোগর ভিত্তিতে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় উক্ত মামলায় আজ পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে আদালত রিমান্ড না মঞ্জুর করে তাকে আদালতে প্রেরণ করেন।
ছবি সংগৃহীত: মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ (বাঁয়ে), মো. জহুরুল হক ও মোছা. আছিয়া খাতুন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ও কমিশনার (অনুসন্ধান) মোছা. আছিয়া খাতুন পদত্যাগ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার পর মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দুদক বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, তিনি ও দুই কমিশনার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ কী কারণে পদত্যাগ করেছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি । সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
সম্প্রতি বন্ধু ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাইডেনের ওপর কি স্যাংশন দিতে পারেন? যা মনে হয় প্রধানমন্ত্রী তাই বলেন।
খেয়াল করবেন, প্রায় অপ্রকৃতস্থ (একজনের) পাল্লায় পড়েছেন সেই দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনিও আরেক পাগল হয়েছেন— কা কা করতেই থাকেন।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর পুরোনা পল্টনের কালভার্ট রোডে ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে’ সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মান্না আরও বলেন, সে (ওবায়দুল) যাই করুক না কেন, ভদ্রলোক আমার একসময়ের বন্ধু ছিলেন, এখনো আছেন। একসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন করেছি। কেউ জিতেছি, কেউ হেরেছে সেটা অন্য কথা। উনি (কাদের) আজকাল এমন এমন কথা বলছেন, এসব শুনে মানুষ এখন হাসে।
কয়েক দিন আগে কাদের বললেন ‘তলে তলে আপস’ হয়ে গেছে। মানে কী? আপস করে কি স্যাংশন র্যারেব ওপর থেকে উঠে গেছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞা কি ওঠে গেছে। বলছেন আপস হয়ে গেছে। আবার বলছেন, আমরাও স্যাংশন দেব। এগুলো বলতে লজ্জা করে না তার।
তিনি আরও বলেন, তারা বলল আমেরিকা ভারতকে ছাড়তে পারবে না। আর আমরা ভারতের সঙ্গে আছি। তা হলে আমার প্রশ্ন— ভারতের সঙ্গে থাকলেই যদি কাজ হয়, তা হলে বাইডেনের সঙ্গে কেন সেলফি তোলা লাগে? কেন বাইডেনের সঙ্গে সেলফি তুলতে হয়— এটি আমার প্রশ্ন।
মান্না বলেন, কেন গ্রিন কার্পেট রেখে বাম পাশ দিয়ে সেলফি তোলার জন্য বাইডেনের কাছে গেলেন। কোনো একজন সরকারপ্রধানকে কেন বাধা দিতে হলো। সূত্র: যুগান্তর