a
ফাইল ছবি
বিদ্যুৎহীন রাজধানীর অনেক এলাকায় সোমবার রাতে সড়কবাতি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়েছে রাজধানীতেও। ঝড়ো হাওয়া, গাছ ভেঙে পড়া এবং বৃষ্টিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়া ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও, সবুজবাগ, শ্যামপুর, মগবাজার, উত্তরাসহ নগরীর বিভিন্ন জায়গার বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী।
ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি) সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর উলন গ্রিড বন্ধ রয়েছে। ফলে আশেপাশের একটা বড় অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া খিলগাঁও, মোহাম্মদপুর, শ্যামপুর, বাসাবোসহ অনেক এলাকায় গাছ পড়ে ও ঝড়ো বাতাসে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ বন্ধ হয়ে গেছে।
ঢাকা ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) সূত্র বলছে, গাছের ডাল পড়ে আর বাতাসে লাইন ছিড়ে উত্তরখান, মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় শট সার্কিট হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
সরবরাহ স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছে ডিপিডিসি ও ডেসকো। সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। শুক্রবার (১০ জুন) রাতে ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রাও এক থেকে দুই ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, আগামী মাসে ইউক্রেনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে। পোলিওর সংক্রমণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। সংক্রমণের কারণে রোগীদের সামলাতে হাসপাতালগুলোত কঠিন পরিস্থিতি পড়তে পারে। খবর রয়টার্সের।
ডব্লিউএইচও এর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে দেখছি। আমাদের আশঙ্কা সংক্রমণ আগামী মাসের শুরুতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যেতে পারে। পরিস্থিতি এমন হতে পারে যে রোগীদের সামলাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হতে পারে।’
ইসরায়েলের তেলআবিব শহরে ডব্লিউএইচওর ইউরোপবিষয়ক আঞ্চলিক কমিটির সম্মেলনে যোগ দিয়ে তেদরোস এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন স্বল্পতা রয়েছে। কারণ, ইউক্রেনের যেসব এলাকা থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় সেসব এলাকা বর্তমানে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেনের প্রয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা, নবজাতক, যুদ্ধে হতাহত মানুষেরও অক্সিজেন দরকার হতে পারে।
তেদরোস বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে পোলিওর সংক্রমণ বাড়তে পারে এবং দেশটির স্বাস্থ্য খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডব্লিউএইচও বলছে, ইউক্রেনের স্বাস্থ্য অবকাঠামোতে ৫০০–এরও বেশি হামলা হয়েছে। এসব হামলার কারণে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হওয়ায় পোলিও দ্রুত ছড়াতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’
করোনাভাইরাস ও পোলিওর সংক্রমণরোধে ইউক্রেনে টিকাদানের হার খুবই কম। ফলে ২০২১ সালে পোলিওর সংক্রমণে দেশটিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ বছর ইসরায়েল, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরে পোলিওর সংক্রমণ দেখা গেছে। পোলিওর সংক্রমণ বিশ্বের অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো