a
ফাইল ছবি
বিদ্যুৎহীন রাজধানীর অনেক এলাকায় সোমবার রাতে সড়কবাতি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়েছে রাজধানীতেও। ঝড়ো হাওয়া, গাছ ভেঙে পড়া এবং বৃষ্টিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়া ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও, সবুজবাগ, শ্যামপুর, মগবাজার, উত্তরাসহ নগরীর বিভিন্ন জায়গার বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী।
ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি) সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর উলন গ্রিড বন্ধ রয়েছে। ফলে আশেপাশের একটা বড় অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া খিলগাঁও, মোহাম্মদপুর, শ্যামপুর, বাসাবোসহ অনেক এলাকায় গাছ পড়ে ও ঝড়ো বাতাসে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ বন্ধ হয়ে গেছে।
ঢাকা ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) সূত্র বলছে, গাছের ডাল পড়ে আর বাতাসে লাইন ছিড়ে উত্তরখান, মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় শট সার্কিট হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
সরবরাহ স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছে ডিপিডিসি ও ডেসকো। সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার (২৬ মার্চ) ভোর পাঁচটা ৫০ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানানোর পর সেখানে তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল সশস্ত্র সালাম জানায় ।
এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আরও একবার শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, ৩ বাহিনীর প্রধান, মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশী কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর একে একে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ৬টা ৮ মিনিটের দিকে তারা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। সাভার থেকে ফিরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রীয় আয়োজন শেষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হয় সব শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য। ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে বিনম্র চিত্তে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের।
এদিকে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেছে সশস্ত্র বাহিনী। সূত্র: মানবকন্ঠ
ফাইল ছবি
জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকা থাকা তালেবান নেতা মোল্লা হাসান আকুন্দ যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পরবর্তী সরকারপ্রধান হতে যাচ্ছেন। তালেবানের কয়েকজন নেতার বরাত দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়- তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাই সরকার প্রধান হিসেবে হাসান আখুন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন। সোমবার সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিলেও অনিবার্য কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। বুধবার কাবুলে নতুন সরকার দায়িত্ব নিতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
২০০১ সালে কাবুলে তালেবান সরকারের পতনের পরে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে গঠিত তালেবান ‘কোয়েটা সুরা’র নেতৃত্বে দিয়েছিলেন হাসান আকুন্দ। আখুন্দজাদার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত হাসান আকুন্দ তালেবানের শান্তি আলোচনা বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘রেহবারি সুরা’র প্রধান ছিলেন।
গত ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান। এ সময় শুধু পাঞ্জশির ছাড়া ৩৪টি প্রদেশের ৩৩টির নিয়ন্ত্রণ ছিলো তাদের হাতে। নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সরকার গঠন নিয়ে চলছে দীর্ঘ আলোচনা। ইতিমধ্যে আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার নাম শোনা যাচ্ছিল। এরই মধ্যে আলোচনায় নাম না থাকা তালেবান নেতা মোল্লা হাসান আকুন্দ সরকারপ্রধান হচ্ছেন বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলা হচ্ছে।