a
সংগৃহীত ছবি
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে পেশ করা হবে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট। বাজেটে নতুন করে কর আরোপ না করায় চাল, ডাল, চিনি, লবণ, দেশে উৎপাদিত পেস্ট, ফলের জুস, পাউরুটি, সাবান, বোতলজাত পানি, মসলা ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়বে না। কর অব্যাহতি-রেয়াতি সুবিধা এবং আমদানি করা সমজাতীয় পণ্যে শুল্ক আরোপ করায় বিদেশি খেলনার দাম বাড়লেও কমবে দেশি খেলনার দাম। আমদানি করা পূর্ণাঙ্গ মোটরসাইকেলের চেয়ে দেশে সংযোজিত মোটরসাইকেল কম দামে পাওয়া যাবে।
তবে করোনাভাইরাস মহামারির এই সংকটকালে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা থাকছে আগামী অর্থবছরের বাজেটে। দেশে উৎপাদিত এবং বেশি ব্যবহার হয় এমন বেশির ভাগ পণ্যের দাম নাগালে রাখতে দেশি শিল্পে ব্যাপক হারে রাজস্ব ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে দেশে কম্পিউটারসহ কিছু পণ্যের উৎপাদন উৎসাহিত করতে সেসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বেশি হারে শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। তবে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে কৃষিযন্ত্র, স্বাস্থ্য সুরক্ষা পণ্য। এতে ওই সব পণ্যের দাম কমতে পারে।
সিগারেট, বিড়িসহ তামাকজাতীয় পণ্যের ওপর বাড়তি কর আরোপের ঘোষণা অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও থাকছে।
জানা গেছে, প্রথমবারের মতো জিডিপির ৬ শতাংশের বেশি ঘাটতি ধরে চূড়ান্ত করা হয়েছে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট। যার আকার হচ্ছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর চলতি সংশোধিত বাজেটের তুলনায় নতুন বাজেটের আকার বাড়ছে ৬৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। যা বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সব থেকে দুর্ভাগ্য হলো আমি যখন সিদ্ধান্ত নিলাম প্রত্যেকটা মানুষকে আমরা ঘর করে দেবো, আমাদের দেশের কিছু মানুষ এত জঘন্য চরিত্রের, আমি কয়েকটা জায়গায় হঠাৎ দেখলাম যে কীভাবে ঘর ভেঙে পড়ছে, কোন জায়গায় ভাঙা ছবি ইত্যাদি দেখার পরে পুরো সার্ভে করালাম কোথায় কী হচ্ছে। সেখানে আমরা প্রায় দেড় লাখের মতো ঘর তৈরি করে দিয়েছি। ৩শটা ঘর (ভেঙেছে) বিভিন্ন এলাকায় কিছু মানুষ নিজে থেকে গিয়ে হাতুড়ি-শাবল দিয়ে সেগুলো ভেঙে ভেঙে তারপর মিডিয়ায় সেগুলো ছবি তুলে দিচ্ছে। তাদের নাম-ধাম এগুলো একদম এনকোয়ারি করে সবগুলো বের করা হয়ে গেছে। আমার কাছে যে পুরো রিপোর্টটা আছে, মানে যারা গরিবের জন্য ঘর করে দিচ্ছি, তারা এইভাবে যে ভাঙতে পারে, সেই ছবিগুলো দেখলে, দেখা যায়।’
আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মিডিয়া এগুলো ধারণ করে প্রচার করে, তারা কিন্তু এটা কীভাবে হলো সেটা কিন্তু না। কয়েকটা জায়গায় গেছে, যেমন এক জায়গায় ৬শ ঘর সেখানে হয়তো ৩/৪টা ঘর, ঐ যে প্রবল বৃষ্টি হলো যখন এজন্যই মাটি ধসে কয়েকটা ঘর নষ্ট হয়েছে। মাত্র ৯টা জায়গায় আমরা পেয়েছিলাম যেখানে কিছুটা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে, মাত্র ৯টা জায়গায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখেছি যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মাণে প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। আমাদের ইউএনও-ডিসি সমস্ত কর্মচারীরা ছিল তারা কিন্তু অনেকে নিজেরা এগিয়ে এসেছে এই ঘরগুলো তৈরিতে সহযোগিতা করার জন্য। যারা ইট তৈরি করে তারাও এগিয়ে এসেছে, অল্প পয়সায় তারা ইট দিয়ে দিয়েছে। এভাবে সবাই। সবার সহযোগিতা, আন্তরিকতাটাই বেশি। কিন্তু এর মধ্যে দুষ্টু বুদ্ধির কিছু... এটাই হচ্ছে সবচেয়ে কষ্টকর। যখন এটা গরিবের ঘর, সেখানে হাত দেয় কীভাবে?’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় সম্মেলন পবিত্র হজের মূলপর্ব শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে আরাফাতের ময়দান সংলগ্ন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা শুরু হয়।
এ বছর হজে খুতবা দিচ্ছেন সৌদি আরবের বিশিষ্ট আলেম, মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. বান্দার বিন আবদুল আজিজ বালিলা। তিনি সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদ এবং গবেষণা-মুফতি বোর্ডের সদস্য।
খুতবার শুরুতে তিনি আল্লাহতায়ালার প্রশংসা, রাসুলুল্লাহর (সা.) ওপর দরুদ পাঠ করেন। উপস্থিত হাজীদের সুস্থতা কামনা করেন। তাদের জন্য দোয়া করেন।
খুতবায় রাসূলের (সা.) একটি হাদিস পড়েন, যার মূলকথা হলো- কোনো মুসলমানের যদি সক্ষমতা অর্জন হয়, তাহলে জীবনে একবার হলেও তাকে অবশ্যই হজ করতে হবে।
শায়খ শায়খ ড. বান্দার বালিলা বলেন, তাওহিদ ও খতমে নবুওয়তের সাক্ষী ইসলামের মৌলিক রোকন। এছাড়াও নামাজ ও জাকাত ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। জাকাতের মাধ্যমে গরিব অসহায়দের ব্যাপক কল্যাণ সাধিত হয়।
চলতি বছরও পবিত্র হজের আরবি খুতবা অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষায়ও অনুবাদ করা হচ্ছে।
বাংলাসহ অন্য যে ভাষায় সম্প্রচার হবে হজের খুতবা তা হলো- ইংরেজি, ফ্রেন্স, তুর্কি, মালাইউ, চায়নিজ, উর্দু, ফার্সি, রাশিয়ান ও হাউসা।
হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি বছর আরবি জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফাত ময়দানে হজের খুতবা অনুষ্ঠিত হয়। এই আরাফাতের ময়দানেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এবারও ‘সীমিত আকারে’ হজ্ব পালনের ব্যবস্থা করেছে সৌদি আরব।
ভিডিং লিংকঃ youtube.com/embed/r3MkrHUjrkE