a
ফাইল ছবি । ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের অবস্থার অবনতি হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বুকে তীব্র ব্যাথার সাথে তার হার্টের বিট অনেক দ্রুত ও অনিয়মিত হচ্ছে। সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
বর্তমানে গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বলে বিএসএমএমইউ’র একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে তারা জানান, দীর্ঘদিন সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। কিছুদিন হলো বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু হৃদকম্পন দ্রুত ও অনিয়মিত হওয়ায় কিছুদিন হলো তাকে পুনরায় সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে সম্রাটের পরিবারের দাবি, আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগে ওপেন হার্ট সার্জারী ও ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয় সম্রাটের। দীর্ঘদিন বন্দী থাকায় উন্নত চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন যুবলীগের এই নেতা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণফোরাম নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সংবিধান প্রনয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ এবং গণফোরাম এর মূখপাত্র সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন-সরকারের উদাসীনতা, অব্যবস্থাপনা ও সিদ্ধান্তহীনতায় পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে। করোনাকালে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ায় এবং গণ পরিবহন ও মার্কেটগুলো একবার বন্ধ করে আবার খুলে দেওয়া, প্রণোদনার নামে জনগণের সাথে প্রতারণা ও দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণ এর বাইরে চলে যাচ্ছে।
একদিকে রমজানকে সামনে রেখে চাল, ডাল, তেল এবং শাক-সবজিসহ জীবন ধারণের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বেড়েই চলছে। সরকারের কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। টিসিবি'র মাধ্যমে কম দামে যে সকলখাদ্য দ্রব্য বিক্রয় করা হত, তার দামও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনার বিস্তাররোধে সরকারের আমদানীকৃত টিকার এখনো দেখা মিলছেনা। সীমিত পরিসরে সমাজের সুবিধা ভোগীরা করোনার টিকা পাচ্ছে, কিন্তু ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে টিকা দানের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছেনা।
এই মর্মে নেতৃবৃন্দ আরো উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় এখন আকাশচুম্বী। সংকটময় ও আতঙ্কময় পরিস্থিতে হাসপাতালগুলো কসাইখানায় পরিণত হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার নামে সেখানে রোগীদের ও স্বজনদের সর্বশান্ত করা হচ্ছে। আইসিইউ তে রোগীকে নিতে পারলে কোন কথাই নেই। প্রতিদিন হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা ব্যয় চাপিয়ে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ওষুধের দাম নাগালের বাইরে।
১ বছর সময় কালের মধ্যে আইসিইউ এর সংখ্যা বাড়াতে সরকারের কোন কার্যকর উদ্দ্যোগ বা ম্যাথা ব্যথা নেই। বসুন্ধারা কনভেনশন সেন্টারে পার্শে সরকারী অর্থ ব্যয়ে গত বছর যে বিশাল আকারের অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল তা করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় কোন কাজে আসে নাই। বরং জনগণের বিশাল অংকের অর্থের অপচয় হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মহাখালীস্থ এক স্থাপনাকে আবারো বিশাল অংকের টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল বানানো হচ্ছে। এইভাবে একটার পর একটা হাসপাতাল বানানো হচ্ছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা।
কোভিড ১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসার নামে এক শ্রেণীর সরকার ঘনিষ্ঠ অসাধু তাবেদাররা রাতারাতি শত কোটির টাকার মালিক বনে যাচ্ছে। সরকারের উদাসীনতা ও অব্যবস্থাপনা দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দান এবং দক্ষতা ও জবাবদিহিতার অভাবে করোনা আক্রান্ত পরিস্থতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে। সরকারের একের পর এক সিদ্ধান্তহীনতার কারণে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবাহ রূপ ধারণ করেছে ।
ছবি সংগৃহীত: ইসরায়েলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ নিজ ঘর-বাড়িতে ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা
আজ ১৯ জানুয়ারি, রোববার সকাল থেকে গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে নিশ্চিত করা হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলোতে। ৪৬০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার প্রতিটি পরিবার। তবে ইসরাইলের মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি ও ‘জিম্মি’ মুক্তির চুক্তি অনুমোদন পাওয়ায় স্বস্তির আশায় প্রহর গুনছেন ফিলিস্তিনিরা। আজ রোববার সকাল থেকেই তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে এবং প্রাণ ভরে ভোগ করবে স্বাধীনতার স্বাদ।
গতকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সামাজিক মাধ্যম এক্সের এক পোস্টে ঘোষণা করেছেন, স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টা ৩০ মিনিট (গ্রিনিচ সময় ৬টা ৩০ মিনিট) থেকে গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি শনিবার এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘পক্ষগুলোর মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে... গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি রোববার সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে। আমরা আমাদের ভাইদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার এবং সরকারি সূত্র থেকে নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছি।’
আল-জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার সকালের দিকে ইসরাইলি সরকার ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠকের পর চুক্তিটি অনুমোদন করেছে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
আল-জাজিরা আরো জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর ৪৬০ দিনেরও বেশি সময় পর এই চুক্তিটি অনুমোদিত হয়েছে। এ সময়ে ইসরাইলি বাহিনী ৪৬ হাজার ৭৮৮ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ১ লাখ ১০ হাজার ৪৫৩ জনকে আহত করেছে।
চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে বন্দী ৩৩ ইসরাইলিকে মুক্তি দেয়া হবে। বিনিময়ে ইসরাইল কর্তৃক বন্দী শত শত ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হবে।
জর্ডান থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক হামদাহ সালহুত বলেছেন, ‘সকলের নজর এই মুহূর্তে গাজার দিকে। এই শেষ মুহূর্তে ইসরাইলি সেনাবাহিনী কী করতে চলেছে তা দেখার জন্য। কারণ ঐতিহাসিকভাবে, যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আগে ইসরাইলি সেনাবাহিনী তার সমস্ত শক্তি দিয়ে গাজা উপত্যকায় আক্রমণ করে।’
তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে সেখানে ‘অনেক ভয় ও উদ্বেগ থাকবে।’
এদিকে, বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে গত বুধবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা আসার পরও ইসরাইলি বাহিনী এলোপাতাড়ি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। সূত্র: আলজাজিরা