a
ফাইল ছবি । ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের অবস্থার অবনতি হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বুকে তীব্র ব্যাথার সাথে তার হার্টের বিট অনেক দ্রুত ও অনিয়মিত হচ্ছে। সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
বর্তমানে গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বলে বিএসএমএমইউ’র একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে তারা জানান, দীর্ঘদিন সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। কিছুদিন হলো বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু হৃদকম্পন দ্রুত ও অনিয়মিত হওয়ায় কিছুদিন হলো তাকে পুনরায় সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে সম্রাটের পরিবারের দাবি, আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগে ওপেন হার্ট সার্জারী ও ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয় সম্রাটের। দীর্ঘদিন বন্দী থাকায় উন্নত চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন যুবলীগের এই নেতা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘটনায় ছাত্র, যুব ও শ্রম অধিকার পরিষদের ৫৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই সংগঠনের নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ছাত্র ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেনকে ক্যাম্পাস থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে যায় এবং তার দুদিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ছাত্রী, কিশোর, চাকরিজীবীসহ অন্তত ১০ জন রয়েছেন, যাদের নাম মামলার এজাহারে নেই। মামলাগুলো তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা।
ছাত্র, যুব ও শ্রম অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক এ বিষয়ে বলেন, সব কটি মামলাই হয়রানিমূলক। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তাদের আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল রাস্তায় নামলেই তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা জানিয়েছিলেন, সভা-সমাবেশ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং যেকোনো মূল্যে তারা কর্মসূচি পালন করবেন। সে অনুযায়ী গত ২৫ মার্চ তাঁরা মতিঝিলে মিছিল নিয়ে যান। সেখান থেকেই তাদের ৩৮ জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় বলে জানায়।
এক দিন পর ২৭ মার্চ ভাসানী অনুসারী পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং নতুন একটি মামলা দেওয়া হয়। সফরকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে চারজন উধাও হয়েছিলেন। তাদের একজন নাজমুস সাকিবকে ৮৪ ঘণ্টা আটকে রেখে পুলিশ ছেড়ে দেয়। বাকি তিনজনকে দুদিন আটকে রাখার পর গ্রেফতার দেখানো হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গত ২৫ মার্চ পল্টন ও শাহবাগ থানায় দুটি এবং ২৭ মার্চ শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়।
পল্টন থানার মামলায় হত্যাচেষ্টা, ‘মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র’ নিয়ে দাঙ্গা ঘটানো, বেআইনি সমাবেশ, সরকারি কর্মচারীকে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয় ৫১ জনের নামে। এর বাইরে শাহবাগ থানায় ‘আসামি’ ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১১ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় মতিঝিলের মামলায় গ্রেপ্তার আসামি আবুল কালাম আজাদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়। শাহবাগ থানার অপর মামলায় অভিযোগ ছিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বাসে আগুন দিতে উদ্যত হওয়া’।
ফাইল ছবি
হেফাজতে ইসলামের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টা বৈঠক করেছেন। মঙ্গলবার (৪ মে) রাত ৯টা ২০ মিনিটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় বৈঠক হয়। বৈঠকটি শেষ হয় রাত ১২টায়। হেফাজতের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।
সূত্রানুযায়ী, বৈঠকে হেফাজতের পক্ষ থেকে ৪টি দাবি প্রস্তাব করা হয়েছে। দাবিগুলো হচ্ছে-
১) হেফাজতে ইসলামের গত আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে গ্রেফতার হওয়া আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া ২) আলেম-উলামা এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের গ্রেফতার-হয়রানি আতঙ্ক থেকে মুক্তি দেওয়া ৩) ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নামে যে মামলাগুলো হয়েছে পূর্ব আলোচনা অনুযায়ী এ সেগুলো প্রত্যাহার করা ও ৪) দ্রুত কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা।
হেফাজতের আহ্বায়ক কমিটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দাবিগুলোর বিষয়ে অবহিত করেন। তিনি বলেছেন, আমাদের এই ৪টি দাবি মন্ত্রীকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তিনি আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন।