a জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল
ঢাকা শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩২, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ২৮ আগষ্ট, ২০২৪, ০৩:৫০
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল

ছবি: সংগৃহীত


জামায়াত ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে জারি করা আদেশটি বাতিল করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের আদেশক্রমে এতে সই করেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
   

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেহেতু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই এবং যেহেতু সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত নহে, সেহেতু সরকার, সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা সংক্রান্ত এ বিভাগের বিগত ১৭ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১ আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখের প্রজ্ঞাপন এস, আর, ও. নং, ২৮১/আইন/২০২৪ এতদ্বারা বাতিল করা হইলো।  

উক্ত আইনের তফসিল-২ হইতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন এর তালিকাভুক্তি বাতিল করা হইলো। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে। সূত্র: মানবজমিন
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

কাটপিস করা হয়েছে আমার বক্তব্য: মির্জা আব্বাস


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৩৫
কাটপিস করা হয়েছে আমার বক্তব্য: মির্জা আব্বাস

ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, মিডিয়ায় আমার বক্তব্য কাটপিস করা হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে সামনে রেখে হঠাৎ করে কেন আমাকে টার্গেট করা হলো আমি জানি না। আমার নামে যে বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে তা আমার নয়। এর দায়িত্ব আমার এবং আমার দলের নয়।

আজ বিকেল তিনটায় শাহজাহানপুরে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১৭ এপ্রিলের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি আমাকে বাধ্য করেছে এই সংবাদ সম্মেলনে ডাকতে। বিএনপির বিরুদ্ধে যত কথা দরকার লেখা যাবে কিন্তু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লেখা যাবে না। সংবাদপত্রের এমন স্বাধীনতা জিয়াউর রহমান দেননি। আধা ঘণ্টার মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়া এটাও একটা ষড়যন্ত্র।

‘বিএনপি নেতারা ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে আমি স্থায়ী কমিটির সদস্য এমন কথা বলতে পারি? আমি এমন কোনো কথা বলিনি। আমার বক্তব্য কাটপিস করে সামনের অংশ পেছনের অংশ বাদ দিয়ে নিজেদের ইচ্ছে মতো লেখা লিখেছে। হঠাৎ মিডিয়া কেন আমাকেই টার্গেট করে এ ধরনের কাজ করলো তা আমি জানি না।’

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

লাইন সংস্কার না করায় দিনকে দিন বাড়ছে রেল দুর্ঘটনা


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪, ০৮:৫১
লাইন সংস্কার না করায় দিনকে দিন বাড়ছে রেল দুর্ঘটনা

ছবি সংগৃহীত

রেলওয়েতে এক দিনের ব্যবধানে পৃথক দুই স্থানে দুটি দুর্ঘটনার এখনো কোনো কারণ শনাক্ত করতে পারেনি রেলপথ অধিদপ্তর। সোমবার দুপুরে কুমিল্লার লাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেল স্টেশনের কাছে চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পরে সাতটি কোচ লাইনচ্যুত হয়। এই ঘটনার এক দিন পর সোমবার রাত ৯টায় ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশনের কাছে একটি কোচ লাইনচ্যুত হয়। দুই ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

একের পর এক ঘটে যাওয়া রেল দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে কেন এসব দুর্ঘটনা ঘটছে, তার কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে দুর্ঘটনার সঠিক তথ্য পেতে ট্রেনে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) স্থাপন ও দুর্ঘটনার আগে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন বন্ধের জন্য সেন্সর সিস্টেম চালুর সুপারিশ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম  চৌধুরী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, শফিকুল ইসলাম শিমুল, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মো. শফিকুর রহমান ও  মোছা. নুরুন নাহার বেগম।

সারা দেশে রেলওয়ের উন্নয়নে একাধিক নতুন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেও সংস্কার হচ্ছে না পুরোনো রেললাইন ও সেতু। সারা দেশের ৩ হাজার ৪০০ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-জয়দেবপুর এবং যশোর-আব্দুলপুর রেললাইন ডাবল রেললাইন। বাকি রেললাইন সিংগেল রেললাইন এবং বেশির ভাগই জরাজীর্ণ। তাই প্রতিনিয়ত লাইনচ্যুতিসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা ও লাইনচ্যুতির প্রায় ৬৩ শতাংশই হয় ঝুঁকিপূর্ণ লাইন ও দুর্বল সেতুর কারণে।

গত পাঁচ বছরে ২ হাজারের বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছে দেড় শতাধিক যাত্রী ও পঙ্গু হয়েছে ৫০০ যাত্রী। এর মধ্যে গত চার মাসে সারা দেশে রেল দুর্ঘটনা ও নাশকতার ঘটনা ঘটেছে ১৬০টি। এসব ঘটনায় ১৮ জন যাত্রী নিহত হয়। আহত হয় ২০০ যাত্রী। বেসরকারি গবেষকরা বলছেন, কর্তৃপক্ষের যথাযথ নজরদারি না থাকায় এসব দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।

পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যোগাযোগব্যবস্থায় রেলওয়েকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। উন্নয়ন বাজেটেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এর পরও তেমন কোনো সুফল মিলছে না। একের পর এক স্টেশন বন্ধ, মেয়াদোত্তীর্ণ রোলিং স্টক, জরাজীর্ণ রেল কারখানা, জনবলসংকট, সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে না পারা, টিকিট পেতে ভোগান্তি, টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্যসহ নানা অব্যবস্থাপনা লেগেই আছে। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি