a জিএম কাদের ও চুন্নুকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন রওশন এরশাদ
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

জিএম কাদের ও চুন্নুকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন রওশন এরশাদ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৫:১৭
জিএম কাদের ও চুন্নুকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন রওশন এরশাদ

ফাইল ছবি

আজ রবিবার রাজধানীর গুলশানে রওশন এরশাদের বাসায় এক সভায় জিএম কাদের ও চুন্নুকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন রওশন এরশাদ। জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ ক্ষমতাবলে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে এই বহিষ্কার আদেশ দেন।

সেই সঙ্গে রওশন এরশাদ নিজেকে পার্টির চেয়ারম্যান ও কাজী মামুনুর রশীদকে মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

আজ রবিবার রাজধানীর গুলশানে রওশন এরশাদের বাসায় এক সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন। এসময় দলের বহিষ্কার, প্রত্যাহার হওয়া নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারও করেন তিনি।

রওশন এরশাদ এই ঘোষণা করে বলেন, ‘দলের সংকট নিরসনে ২০/১ ধরার ক্ষমতাবলে জিএম কাদের ও মহাসচিব চুন্নুকে পার্টি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। নেতাকর্মীদের অনুরোধে পার্টির আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত মামুনুর রশীদকে মহাসচিব ঘোষণা করা হলো। যাদের অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে তারা স্বপদে বহাল থাকবেন।’

এই ঘোষণার আগে সভায় রওশন এরশাদ বলেন, ‌‘জাতীয় পার্টির ক্ষতি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যাদের বিনা কারণে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের চলে যেতে দিতে পারি না, তাই আজ পার্টিকে রক্ষার জন্য কিছু সাংগঠনিক ব্যবস্থা ঘোষণা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ক্রান্তিকাল পার করছে। নির্বাচনে ২৮৭ আসনে প্রার্থী দিয়ে তারা আবার সমঝোতা করেছে ২৬ আসনে। চেয়ারম্যান-মহাসচিব খোঁজখবর না নেওয়ার কারণে সবার ভরাডুবি হয়েছে। পরাজিতদের সান্ত্বনা না দিয়ে করা হয়েছে বহিষ্কার। তাদের এই আদেশ বাতিল করতে অনুরোধ করা হলেও তারা সেই কথা রাখেনি।’সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতি আজ গভীর উদ্বিগ্ন!


কর্নেল(অব.) আকরাম, কলাম লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ২৮ ফেরুয়ারী, ২০২৫, ০৩:৫৮
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতি আজ গভীর উদ্বিগ্ন!

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: আমরা সবাই দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান নিজেও সামগ্রিক অবস্থা, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে তিনি RAOWA-তে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছেন। তার বক্তব্য জনমনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং জনগণের জন্য এটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুশীল সমাজ এটিকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে দেখছে।  

সেনাপ্রধান ও প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে কোনো ধরনের মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে কিনা, তা আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। জনগণ চায়, তারা ভবিষ্যতেও দৃঢ়ভাবে একসঙ্গে কাজ করুক।  

BDR হত্যাকাণ্ড নিয়ে তার মন্তব্যকে অনেকে সম্প্রতি গঠিত তদন্ত কমিশনের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। এটি একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও জাতীয় ইস্যু, যা গভীর মনোযোগ দাবি করে। কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি আগাম মন্তব্য করলে সত্য উদঘাটনের কাজ ব্যাহত হতে পারে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  

এটাই প্রথম নয় যে তিনি জাতিকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। কয়েক মাস আগে, সেনা সদর দপ্তরের প্রাঙ্গণে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার সময়ও তিনি কঠিন সময়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলে। 

নিঃসন্দেহে, আগস্ট ২০২৪ সালে ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের পর থেকে আমরা একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। বাংলাদেশের জনগণ অতীতে কখনো এত সংকটময় সময় দেখেনি। আমরা ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি—এখানে হয় আমরা জিতব, নয়তো হারব। গোটা জাতি জাতীয় ঐক্যের কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, এবং আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যদি জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে দেশীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো হুমকিই আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।  

আমরা ১৯৭৫ সালের নভেম্বরেও আমাদের জাতীয় জীবনের অনুরূপ এক সংকটময় মুহূর্ত দেখেছি। তবে তখন আমাদের সৌভাগ্য ছিল যে, আমাদের দূরদর্শী নেতা জিয়াউর রহমান সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সফলভাবে উত্তরণ ঘটিয়েছিলেন। তিনি অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয় সংকটকে প্রজ্ঞা ও কৌশলে মোকাবিলা করে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন।  

বাংলাদেশের জনগণ তার নেতৃত্বে এক অভাবনীয় আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছিল। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পেরেছিল এবং তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করে জাতিকে রক্ষা করেছিলে। তিনি কেবল নিজেই ইতিহাস গড়েননি, বরং সমগ্র জাতির জন্য এক গৌরবময় অধ্যায় সৃষ্টি করেছেন।  

ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তরিকভাবে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চেষ্টা করছে, তবে দৃঢ়তা প্রদর্শনে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। তবুও জাতি তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। সরকারকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, তারা একা নয়—পুরো জাতি তাদের পাশে আছে। তাদের উচিত ‘জুলাই বিপ্লব’-এর চেতনা ধারণ করে কাজ করা এবং মনে রাখা যে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের সঙ্গে রয়েছে।  

সরকারের উচিত জিয়াউর রহমানের নীতিকে অনুসরণ করা। তিনি দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মেধাবী ও অভিজ্ঞ মানুষদের খুঁজে বের করে জাতীয় উন্নয়নে কাজে লাগিয়েছিলেন। তিনি প্রাক্তন CSP ও সেনাবাহিনীর জেনারেলদের দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগিয়ে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার মহান লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছিলেন। অপরদিকে, শেখ মুজিব এই দক্ষ জনবলকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, বরং পুরো আমলাতন্ত্র ও সামরিক বাহিনীকে ক্ষুব্ধ করেছিলেন, যার পরিণতি তাকে ভুগতে হয়েছিল।  

সরকারের সাত মাস অতিক্রান্ত হয়েছে, তবুও তারা এখনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে, বিশেষ করে ঢাকায়। এটি কোনোভাবেই ভালো লক্ষণ নয় এবং মানুষ এ নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন। মূল্যস্ফীতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি, ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণি ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়ছে। এই সমস্ত বিষয় সরকার ও জনগণের জন্য বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, এবং সমাজে যেকোনো মুহূর্তে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।  

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। জাতিকে অবশ্যই এটি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। বিপ্লবের অংশীদারদের অবশ্যই যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত সর্বোচ্চ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা।  

যদিও কিছু মানুষ সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন, আমরা বিশ্বাস করতে চাই যে তিনি ড. ইউনুসের সরকারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন। আমাদেরও উচিত আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরকারকে সমর্থন দেওয়া, যাতে তারা তাদের লক্ষ্যে সফল হতে পারে।  

জাতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দেশ। প্রতিটি নাগরিকের উচিত দেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া। জুলাই বিপ্লব ২০২৪-এর মাধ্যমে তৈরি হওয়া বর্তমান সুযোগকে ধ্বংস করার জন্য যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জাতির ঐক্যই একমাত্র পথ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

দেশে পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে আনার সুযোগ দুর্নীতিকেই উৎসাহিত করবে টিআইবি


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২, ০৬:১৯
দেশে পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে আনার সুযোগ দুর্নীতিকেই উৎসাহিত করবে: টিআইবি

ফাইল ছবি

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশ থেকে পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনার সুযোগ রাখা হয়েছে। এই সুযোগকে অনৈতিক, অসাংবিধানিক ও বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলছে, এই সুযোগ অর্থ পাচারের মতো অপরাধকে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা দেওয়ার নামান্তর। এতে অর্থ পাচারসহ সার্বিকভাবে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা হবে।

আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশ থেকে পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনতে বাজেটে আয়কর অধ্যাদেশে নতুন বিধান সংযোজনের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। নামমাত্র কর দিয়ে প্রশ্নহীনভাবে পাচার করা অর্থ বিদেশ থেকে আনার সুযোগ স্পষ্টতই অর্থ পাচারকারীদের অনৈতিক সুরক্ষা প্রদান। অথচ অর্থ পাচার রোধ আইন অনুযায়ী অর্থ পাচার গুরুতর অপরাধ। দেশের আইন অনুযায়ী যার শাস্তি পাচার করা অর্থ বাজেয়াপ্ত এবং তার দ্বিগুণ জরিমানা ও ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড।

পাচার করা অর্থ বৈধ করার সুযোগকে কালোটাকা সাদা করার বেআইনি সুযোগের ধারাবাহিকতা বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, বারবার সুযোগ দিয়েও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যাশিত ফল বয়ে আনেনি। যাঁরা অর্থ পাচার করেছেন, তাঁরা এ ধরনের প্রণোদনায় উৎসাহিত হয়ে পাচার করা অর্থ ফেরত নিয়ে আসবেন, এ রকম দিবাস্বপ্নের কোনো ভিত্তি নেই। অর্থ পাচারকে এভাবে লাইসেন্স দেওয়া হলে দেশে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার আরও বিস্তৃতি পাবে। সূত্র: প্রথম আলো

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - রাজনীতি