a জিএম কাদের ও চুন্নুকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন রওশন এরশাদ
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

জিএম কাদের ও চুন্নুকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন রওশন এরশাদ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৫:১৭
জিএম কাদের ও চুন্নুকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন রওশন এরশাদ

ফাইল ছবি

আজ রবিবার রাজধানীর গুলশানে রওশন এরশাদের বাসায় এক সভায় জিএম কাদের ও চুন্নুকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন রওশন এরশাদ। জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ ক্ষমতাবলে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে এই বহিষ্কার আদেশ দেন।

সেই সঙ্গে রওশন এরশাদ নিজেকে পার্টির চেয়ারম্যান ও কাজী মামুনুর রশীদকে মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

আজ রবিবার রাজধানীর গুলশানে রওশন এরশাদের বাসায় এক সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন। এসময় দলের বহিষ্কার, প্রত্যাহার হওয়া নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারও করেন তিনি।

রওশন এরশাদ এই ঘোষণা করে বলেন, ‘দলের সংকট নিরসনে ২০/১ ধরার ক্ষমতাবলে জিএম কাদের ও মহাসচিব চুন্নুকে পার্টি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। নেতাকর্মীদের অনুরোধে পার্টির আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত মামুনুর রশীদকে মহাসচিব ঘোষণা করা হলো। যাদের অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে তারা স্বপদে বহাল থাকবেন।’

এই ঘোষণার আগে সভায় রওশন এরশাদ বলেন, ‌‘জাতীয় পার্টির ক্ষতি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যাদের বিনা কারণে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের চলে যেতে দিতে পারি না, তাই আজ পার্টিকে রক্ষার জন্য কিছু সাংগঠনিক ব্যবস্থা ঘোষণা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ক্রান্তিকাল পার করছে। নির্বাচনে ২৮৭ আসনে প্রার্থী দিয়ে তারা আবার সমঝোতা করেছে ২৬ আসনে। চেয়ারম্যান-মহাসচিব খোঁজখবর না নেওয়ার কারণে সবার ভরাডুবি হয়েছে। পরাজিতদের সান্ত্বনা না দিয়ে করা হয়েছে বহিষ্কার। তাদের এই আদেশ বাতিল করতে অনুরোধ করা হলেও তারা সেই কথা রাখেনি।’সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে জনগণকে তাদের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিন: ডা: জাহিদ


আরাফাত আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ০৭:০৩
দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে জনগণকে তাদের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিন: ডা: জাহিদ

ছবি সংগৃহীত



ঢাকা প্রতিনিধি: বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘আজকে অনেকে সংস্কারের কথা বলে কিন্তু অতীতের দিকে তাকিয়ে দেখেন সংস্কারের দলই হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)। সংস্কার দিয়েই যার যাত্রা শুরু। বাকশাল থেকে বহুদলীয় গনতন্ত্র এই দেশে প্রথম যিনি দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য অর্থনীতির শৃঙ্খলা ও সংস্কার শুরু করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং জনগণের অধিকার আদায়ের এই ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি থেকে পার্লামেন্ট্রি ফর্ম অব গর্ভমেন্ট এটি অত্যন্ত বড় সংস্কার ছিল। সেটিও কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কৃতিত্ব।
ডা: জাহিদ বলেন, ‘আজকে নারী শিক্ষায় অগ্রগতি বলেন,নারীদের ক্ষমতায়ন বলেন প্রতিটি ক্ষেত্রে অবদান হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের। কাজেই সংস্কারে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। আর জনগনের ভোটাধিকারের বিশ্বাস করে দেখেই সংসদে প্রস্তাব পাশ করে সংবিধানে ইন কর্পোরেট করা হয়েছিল যার কারণে ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী পরবর্তীতে ৯৬ এ আরেকটি নির্বাচন হয়েছিল তত্বাবধায়ক সরকার প্রথা সংবিধানে সন্নিবেশিত করে। অর্থাৎ বিএনপি কোন অবস্থাতেই নিজের দলের কথা স্বার্থের কথা চিন্তা করে নাই। বিএনপি সব সময় চিন্তা করেছে,দেশের কথা,দেশের মানুষের কথা,জনগনের কথা। সংস্কারের কথা। সেজন্যই মানুষের অধিকারে বিশ্বাস করা যে দল সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। যে দল মানুষের পাশে থাকে। যে দল দেশের মানুষকে ফেলে পালিয়ে যায় না। যে দলের নেত্রী অনেক প্রলোভন অনেক সুযোগ সুবিধার প্রস্তাবনা আসার পরেও শত বাধাবিপত্তির মুখেও বাংলাদেশে থেকেছেন। নিজের অসুস্থতাকে গ্রহণ করেছেন। স্বীকার করেছেন। কিন্তু কোন ধরনের নতি স্বীকার করেন নাই। আপোষ করেন নাই। সেই দল হচ্ছে,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’। 

তিনি আরও বলেন,‘সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা যেটি এটিও বিএনপি’র সংস্কারের ধারাবাহিকতার কর্মসূচীর একটি অংশ। তাই যতো দ্রুততার সঙ্গে আগামীদিনে জনগনের অধিকার প্রয়োগে সুযোগ সৃষ্টি হবে,জনগন তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। এবং আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব জনগণ যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে দিতে পারে সেই জন্যই অন্ত:বর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে,তাদের নামই হচ্ছে,অন্ত:বর্তীকালীন। অর্থাৎ তাদের মেয়াদ খুবই ক্ষণস্থায়ী র্দীঘস্থায়ী নয়। তাদেরকে বুঝতে হবে জনগনের অধিকার জনগণকে ফেরত দেয়ার জন্য অতিদ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে জনগণকে তাদের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ গ্রহণ করবে। জনগন যাকে খুশি তাদের ইচ্ছামতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এবং জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই আগামীদিনের সিদ্ধান্ত নিবে দেশ কোন দিকে এগোবে’।

আজ বুধবার (১৪ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের অভিজাত বেঙ্গল কনভেনশন হলে আয়োজিত জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ুনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুর রিপনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ জিকে গউছসহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন,মিফতাহ সিদ্দিকী, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান। এতে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী,জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। 

ডা: জাহিদ হোসেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর ইউনিটের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ কিভাবে সুন্দর করা যায় সেজন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। আগামীর বাংলাদেশ সুন্দর করার জন্য,সুন্দর ভাবে গড়ে তোলার জন্যদেশের মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এবং সূখী সমৃদ্ধশালী সার্বভৈৗম একটি বাংলাদেশ যেখানে সুশাসন থাকবে। আইনের শাসন থাকবে। মানবাধিকার থাকবে। জনগণের অধিকার থাকবে। সকল ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকবে এবং সকল শ্রেণী পেশোর মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে সামনেরদিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ৩১ দফা কর্মসূচী প্রণয়ন করে তারেক রহমান সহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শুধু নয়, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামি অন্যান্য রাজনৈতিকদল ৩১ দফাকে জনগণের দফায় এবং জনগণের দাবিতে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, ‘এ ৩১ দফাকে সুন্দরভাবে বাস্তবায়নের জন্য মৌলভীবাজারকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একটি দুর্গ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে অতীতেও কাজ করেছেন এখনও কাজ করছেন এবং সংগঠনকে আরও কিভাবে সুসংগঠিত করা যায়, সংগঠনকে কিভাবে আরও জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো যায় এবং আগামীদিনে জনগনের অধিকার আদায়ের যে সুযোগ আসবে সেই সময় ৩১ দফার পক্ষে জনগনকে কিভাবে ঐক্যবদ্ধ করে জনগনের সমর্থন আদায় করা যায় সেই লক্ষেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সকল ইউনিটের নেতৃবৃন্দরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। 

ডা: জাহিদ আরও বলেন,জনগনের দাবী আদায়ের জন্য ঐক্যের বিকল্প কিছু নেই। ঐক্যবদ্ধ যদি থাকি তাহলে আমরা বিশ্বাস করি তারেক রহমানের ৩১ দফাকে দেশের দেশের জনগণ যেভাবে গ্রহণ করেছে একইভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া টু জিরো ত্রি জিরো ভিশনের মাধ্যমে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, এর পূর্বে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসুচীর মাধ্যমে দিয়েছিলেন। যেটি আজ জনগনের দাবিতে পরিণত হয়েছে। 

মনে রাখতে হবে আমাদের দলের সবার মধ্যে কিভাবে ঐক্যকে ধারণ করা যায় এবং ঐক্যবদ্ধভাবে এগোতে পারলেই ৫ ই আগষ্ট ২০২৪-এ যেরকম স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে ঐক্যের কারণে একইভাবে ৩১ দফার পেছনেও জনগনের সমর্থন আদায় করা যাবে যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে জনগনের সামনে যেয়ে দাঁড়াতে পারি’।

বিএনপি মিডিয়া সেল থেকে সংগৃহীত। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ০৯ আগষ্ট, ২০২১, ১২:১৯
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল

ফাইল ছবি । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।

রায় প্রদানকারী বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের স্বাক্ষরের পর আজ সোমবার (৯ আগস্ট) ৮৬ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেয় হাইকোর্ট।

২০১৭ সালের ২০ আগস্ট গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ জঙ্গির সর্বোচ্চ শাস্তি দেন। আদালত গুলি করে প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। এছাড়াও চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদানের আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন মামলা করেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি