a
ফাইল ছবি
আজ রবিবার রাজধানীর গুলশানে রওশন এরশাদের বাসায় এক সভায় জিএম কাদের ও চুন্নুকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন রওশন এরশাদ। জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ ক্ষমতাবলে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে এই বহিষ্কার আদেশ দেন।
সেই সঙ্গে রওশন এরশাদ নিজেকে পার্টির চেয়ারম্যান ও কাজী মামুনুর রশীদকে মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
আজ রবিবার রাজধানীর গুলশানে রওশন এরশাদের বাসায় এক সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন। এসময় দলের বহিষ্কার, প্রত্যাহার হওয়া নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারও করেন তিনি।
রওশন এরশাদ এই ঘোষণা করে বলেন, ‘দলের সংকট নিরসনে ২০/১ ধরার ক্ষমতাবলে জিএম কাদের ও মহাসচিব চুন্নুকে পার্টি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। নেতাকর্মীদের অনুরোধে পার্টির আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত মামুনুর রশীদকে মহাসচিব ঘোষণা করা হলো। যাদের অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে তারা স্বপদে বহাল থাকবেন।’
এই ঘোষণার আগে সভায় রওশন এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টির ক্ষতি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যাদের বিনা কারণে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের চলে যেতে দিতে পারি না, তাই আজ পার্টিকে রক্ষার জন্য কিছু সাংগঠনিক ব্যবস্থা ঘোষণা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ক্রান্তিকাল পার করছে। নির্বাচনে ২৮৭ আসনে প্রার্থী দিয়ে তারা আবার সমঝোতা করেছে ২৬ আসনে। চেয়ারম্যান-মহাসচিব খোঁজখবর না নেওয়ার কারণে সবার ভরাডুবি হয়েছে। পরাজিতদের সান্ত্বনা না দিয়ে করা হয়েছে বহিষ্কার। তাদের এই আদেশ বাতিল করতে অনুরোধ করা হলেও তারা সেই কথা রাখেনি।’সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
টানা তিন দিন মাঠে থাকবে বিএনপি। অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আজ সারা দেশে লিফলেট বিতরণ এবং শনিবার সব মহানগর ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা।
এছাড়া ‘অবৈধ, লুটেরা ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে’ শুক্রবার যুগপৎ আন্দোলনের ধারায় ঢাকা মহানগরসহ সব মহানগরে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করবে। এসব কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের প্রতিটি সাংগঠনিক থানায় লিফলেট বিতরণে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নেবেন। শুক্রবার ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি গণমিছিল শুরু করবে বেলা ৩টায় গুলশান-২ থেকে। গুলশান-১, তিতুমীর কলেজ হয়ে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হবে।
একই সময়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি রাজধানীর দয়াগঞ্জ থেকে গণমিছিল শুরু করবে। গণমিছিল সায়েদাবাদ ব্রিজ, ধলপুর কমিউনিটি সেন্টার, গোলাপবাগ, কমলাপুর, বৌদ্ধমন্দির হয়ে খিলগাঁও, শাজাহানপুর, ফকিরাপুল হয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হবে।
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ঢাকায় পদযাত্রা শুরু হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশের জনগণ সরকারের পদত্যাগ চায়। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। দাবি আদায়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আন্দোলনে আছি। ঢাকা মহানগরের কর্মসূচিতে মানুষের ঢল নামবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন বলেন, ‘আমাদের হারানোর কিছু নেই, এখন অস্তিত্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেতাকর্মীরা ঘরে থাকলেও মামলা-হামলা, গ্রেফতার, গুম আর হত্যার শিকার হন। কবরে গিয়েও গায়েবি মামলা থেকে রেহাই পান না।
এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য যে কোনো আন্দোলনে, যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছেন।’ সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
ঢাকায় আগামীকাল শুক্রবার গণমিছিলের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। শর্তসাপেক্ষে এ অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার।
তিনি বলেন, বিএনপি গণমিছিলের জন্য ডিএমপি কমিশনার বরাবর আবেদন করেছিল। আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শুক্রবার রাজধানীতে এই গণমিছিল করবে বিএনপি।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে পৃথক দুটি গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে গণমিছিল কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে আরও অংশ নেবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সিনিয়র নেতারা। গণমিছিলটি দয়াগঞ্জ মোড় থেকে শুরু হয়ে কমলাপুর স্টেডিয়ামে পাশ দিয়ে খিলগাঁও চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত গণমিছিলটি গুলশান-২ নম্বর ডিসিসি মার্কেট সামনে থেকে শুরু হয়ে গুলশান-১ নম্বর গোলচক্বর হয়ে তিতুমীর কলেজের সামনে দিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে শেষ হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। গণমিছিলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খানসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
অন্যদিকে গণতন্ত্র মঞ্চগণ- বিকাল ৪টা ২০ মিনিট জাতীয় প্রেস ক্লাব সামনে থেকে গণমিছিল শুরু হবে, ১২ দলীয় জোট বিকাল ৪টায় বিজয় নগর পানির ট্যাংক সামনে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট-বিকেল ৪টায় পুরানা পল্টন আলরাজী কমপ্লেক্স সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করবে।
এছাড়া এলডিপি বিকাল ৩টা কারওয়ানবাজার এফডিসি সংলগ্ন এলডিপি অফিস সামনে থেকে, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি বিকাল ৪টায় মতিঝিল নটরডেম কলেজ উল্টো দিকে গণফোরাম চত্বর সামনে থেকে, গণঅধিকার পরিষদ, বিকাল ৪টা কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুরানা পল্টন সামনে থেকে, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) মালিবাগ মোড় বিকাল ৫টা ৩০মিনিট থেকে, লেবার পার্টি বিকাল ৩টায় নয়াপল্টন মসজিদ গলি অফিস সামনে, গণঅধিকার পরিষদ (ডক্টর রেজা কিবরিয়া-ফারুক হাসান) গণস্বাক্ষর কর্মসূচি সকাল ১০টায় রামপুরা ব্রিজ, বিকাল ৪টায় পুরানা পল্টন মোড় থেকে গণস্বাক্ষর ও পদযাত্রা, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য সকাল ১০টায় সেগুনবাগিচা স্কুল থেকে পল্টন মোড় হয়ে প্রেস ক্লাবে সামনে, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বিকাল ৪টা শাহবাগ মোড়, সমমনা গণতান্ত্রিক পেশাজীবী জোট সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করবে।
এছাড়া সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সকাল ১১টায় বিজয়নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে (হোটেল ৭১ এর উল্টা পার্শ্বে) বিক্ষোভ সমাবেশ করবে আমার বাংলাদেশ (এবি পার্টি)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন