a
ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ সুইডেন ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সুইডেন রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেনের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টা ১০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের শেষে দুই রাষ্ট্রদূত চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আমীর খসরু বলেন, ‘তাঁরা এসেছেন মূলত বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, সার্বিক যে ঘটনাগুলো ঘটছে, বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা—এককথায় সবকিছু মিলিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ভেতরে কী আলোচনা হয়েছে, সেটা তো আমি বলতে পারব না। তবে আলোচনা সম্পর্কে আমি এতটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যে বিষয়গুলো আছে, সবকিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে আলোচনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘নির্বাচন তো অবশ্যই। কারণ, নির্বাচন সবার মাথায় আছে এখন। দেশে ও দেশের বাইরে সবার কাছে নির্বাচনটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সবার তো কনসার্ন বা উদ্বেগ আছেই।’
আমীর খসরু বলেন, ‘জাতিসংঘের ঢাকার প্রধান গোয়েন লুইসও আজকে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন। এটা তো বিশ্বজুড়ে সবার উদ্বেগ। সবাই তো চাইবে, বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা নির্বাচিত সরকার আসুক, একটা নির্বাচিত সংসদ আসুক—সবার সেটা প্রত্যাশা স্বাভাবিক। সেটার ওপর তাঁরা আলাপ করেছেন, জানতে চেয়েছেন। আগামী দিনগুলো কী হতে পারে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা—সবকিছু মিলিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
আগামী .১২ জুলাই, বুধবার ঢাকায় সমাবেশ করে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেবে বিএনপি। ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করেছে দলটি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোও একই দিন ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সমাবেশ করে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।
বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাংগঠনিক যৌথসভায় দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানও এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
১২ জুলাই থেকে নতুন পর্যায়ের আন্দোলনের ঘোষণা আসছে বলে জানান আমানউল্লাহ। নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘১২ জুলাইয়ের সমাবেশে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে আপনাদের আসতে হবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। সেখান থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নতুন পর্যায়ের আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের ঘোষণায় তাঁদের নতুন কর্মসূচিও থাকবে। তাঁরা এই সমাবেশের প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছেন।
সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে সমমনা কয়েকটি জোট ও দলের সঙ্গে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে গত ডিসেম্বর থেকে। অনেক দিন ধরে তাঁরা এক দফার আন্দোলনে যাওয়ার কথা বলে আসছিলেন।
বিএনপির নেতারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের মাত্র ছয় মাস বাকি। এই অল্প সময়ের মধ্যে তাঁদের আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নেওয়ার তাগিদ থেকে এখন এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন তাঁরা।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান সভায় বলেন, এই সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করতে চাচ্ছে। তেমন কোনো নির্বাচন এই দেশে হবে না। জনগণ সেই নির্বাচন করতে দেবে না।
সরকার পতনের দাবিতে শুধু দলের নয়, সাধারণ মানুষও মাঠে নেমে এসেছেন বলে দাবি করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘আগামী ১২ জুলাই থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি সফল করার মাধ্যমে, নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার কায়েম করে এক দফা বাস্তবায়ন না করে ঘরে ফিরব না।’
সভায় বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে নেতা-কর্মীদের ১২ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে আসার আহ্বান জানান। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সাত দিন কষ্ট করবেন, সারা জীবন ভালো থাকবেন। সেই প্রস্তুতি নেন। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে অবৈধ সরকারের পতন ঘটাব। গত ১৫ বছর অনেক কষ্ট করেছেন। এখন কিন্তু ফসল ঘরে তোলার সময়। সকল ইউনিট নিয়ে নাইটিঙ্গেল মোড়ে উপস্থিত হতে হবে।’ সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি । মোসলেমা পারভীন
আজীবন নিমজ্জিত
মোসলেমা পারভীন
তুমি আমার সামনে থেকে
সব সুন্দর মুছে দিতে পারো,
সরিয়ে নিতে পারো সুন্দর,
ঢেকে দিতে পারো আঁধারে,
তবু আমার দুচোখ খুঁজে নেবে সুন্দর।
সুন্দরকে দেখার যে চোখ,
যে মন ও মনন,
সে আমারই থেকে যাবে আজীবন—
অন্ধ বধির তো হয় মন,
দৃষ্টি কিংবা শ্রবণ নয়।
যে মন যে চোখ চিরকাল
খুঁজে ফেরে সুন্দর
সে আঁধারেও সুন্দরের দেখা পায়!
আঁধারের সৌন্দর্য তো
কেড়ে নেয়া যায়না!
অতল আঁধারে ডুবে দেখেছো কোনদিন?
চেয়ে দেখেছো কি কখনও, কোন সুন্দর
লুকানো সেখানে?
ভালোবাসা সুন্দর,
ভালোবেসে সুন্দরকে খুঁজে দেখেছো কখনও?
সৃষ্টি সুন্দর, ভালোবাসাই সৃষ্টি,
ভালোবাসায় সুন্দরের সৃষ্টি।
যে চোখে, যে মনে ভালোবাসা থাকেনা
সে চোখে, সে মনে সুন্দর অপসৃয়মান।
মমতার আর্দ্রতা ছাড়া
কোন সুন্দর সৃষ্ট হয়নি কোনদিন!
আমার পৃথিবী চিরকাল সুন্দর,
আমার আকাশ চিরকাল কথা কয়।
মানুষ যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে
আমার আদিগন্ত আকাশ,
আমার সুষ্ময় পৃথিবী
আর্দ্রতায় স্নিগ্ধ করে রেখেছে আমাকে।
আমি আজীবন নিমজ্জমান
অন্তঃহীন সুন্দরের সমুদ্রে।