a
ফাইল ছবি: নুরুল হক নূর
রাজধানীর মতিঝিলে মোদিবিরোধী আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নূর আহত হয়েছেন বলে খবর প্রচার হয়। তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবরটি সঠিক নয়।
আজ দুপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইয়ামিন মোল্লা বলেন, নূর পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলে আহত হয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হননি। ফেসবুকে নুরুল হক নূর নামের একটি পেজ থেকে ভিপি নুর গুলিবিদ্ধ উল্লেখ করে পোস্ট দিলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ। মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ছবি সংগৃহীত
প্রিয় ইসলামপুরবাসী, আমার প্রিয় নেতাকর্মীবৃন্দ,
আসসালামু আলাইকুম।
আজ সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ বিভাগ, ফরিদপুর ও কুমিল্লার আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীগণকে গুলশান দলীয় কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এক মতবিনিময় সভায় ডেকেছিলেন।
এ সভায় জনাব তারেক রহমান এক অভূতপূর্ব, আবেগঘন ও নির্দেশমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এটি শুধু একজন নেতার বক্তব্য নয়, এটি একজন রাষ্ট্রনায়কের ভাষণ। এ ভাষণে আমরা আবেগাপ্লুত না হয়ে পারিনি।
তিনি বলেছেন, নিজেদের অস্তিত্বের জন্য দলকে ভালোবাসতে হবে। দলে অনৈক্য কখনোই কাম্য নয়। দলে শুধু ঐক্য চাই — চাই ইস্পাত-কঠিন ঐক্য। ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, পরস্পরের মধ্যে বিভেদ কখনোই কাম্য নয়। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও বন্ধুত্বই ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে। নেতাকর্মীদের মধ্যে কটু কথা ও অশোভন বচন দলের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনে। এজন্য অশ্লীল বাক্য সর্বদা পরিত্যাজ্য।
তিনি আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, এই দলের, দলের নেতাকর্মীদের জন্য এবং এ দেশের আপামর জনসাধারণের জন্য তার পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবন দিয়েছেন। তাঁর মাতা, গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া — যিনি নেতাকর্মী এবং এ দেশের মানুষকে নিজের সন্তানের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন — তিনিও এই জনগণের জন্য ছয়বার মৃত্যুকূল থেকে ফিরে এসেছেন। কিন্তু এদেশের মানুষকে ফেলে তিনি কোথাও যাননি।
দেশমাতার এই নিঃস্বার্থ ত্যাগের তুলনা হয় না। এসব কথা বলতে গিয়ে জনাব রহমান অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি। তিনি বলেন, দল, দলের নেতাকর্মী এবং দেশের সাধারণ মানুষকে ভালোবাসলেই সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হওয়া যায়। দলে বিভেদ কমিয়ে আনতে হলে পরস্পরের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ অন্তরে ধারণ করতে হবে। দলীয় কর্মকাণ্ডে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার বন্ধ রাখতে হবে।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দলীয় কোনো কোনো কর্মকাণ্ডে অকারণ মিষ্টান্ন বিতরণ ইত্যাদি তাঁকে ক্ষুব্ধ করেছে। এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কাজ না হয়, সে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এই কারণে যে, আজকের সভায় শুধুমাত্র প্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল; কিন্তু অনেকেই অনেক নেতাকর্মীকে সঙ্গে এনেছেন, ফলে রাস্তায় এবং অফিস প্রাঙ্গণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, এমনকি যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে। এজন্য তিনি ক্ষুব্ধতা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভবিষ্যতে এমনটি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
দলকে তিনি তাঁর বক্তব্যে আমাদের নিজ নিজ সন্তানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এই সন্তানকে লালন-পালন করা, বড় করে তোলা, সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলা, এর নিরাপত্তা ও মঙ্গল দেখা — এ দায়িত্ব আমাদের, দলীয় নেতাকর্মীদের। দলের প্রতি আমাদের সবার স্নেহ, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা থাকা বাঞ্ছনীয় এবং কর্তব্য।
মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোনয়ন প্রসঙ্গে বলেন, যেসব নির্বাচনী এলাকায় একাধিক প্রার্থী রয়েছেন, সেখানে মাত্র একজনকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। এর ব্যত্যয় ঘটানোর কোনো সুযোগ নেই। কাজেই একজন খুশি হবেন, অন্যজন নমিনেশন না পেলে অখুশি হবে — এটাই স্বাভাবিক। দলের স্বার্থে এবং দেশের স্বার্থে আমাদের এটি মেনে নিতে হবে। এজন্য পরস্পরের মধ্যে হিংসা, বিবাদ বা অনৈক্য সৃষ্টি করা যাবে না।
কারো প্রতি কোনো কটু কথা বা অশালীন বাক্য ব্যবহার করা ঠিক হবে না। মনে রাখতে হবে, মানুষের মনে দুঃখ দেওয়া দৈহিক আঘাতের চাইতেও অনেক কঠিন ও ক্ষতিকর।
মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজকে যে ভাষণ দিয়েছেন, তা দিকনির্দেশনামূলক তো বটেই — তার এই ভাষণের মধ্যে অন্তর্নিহিত রয়েছে বাংলাদেশের গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা। আগামী দিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যেন সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে, সে লক্ষ্যেই তিনি শুধু একজন সত্যিকারের নেতার মতো নয় — একজন রাষ্ট্রনায়কের মতো মূল্যবান ভাষণ প্রদান করেছেন।
তবে তিনি মনোনয়ন কবে ঘোষণা করবেন, সে বিষয়ে কিছু বলেননি। সুতরাং, মনোনয়ন নিয়ে কোনো নেতাকর্মীর দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
সকলকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানাচ্ছি।
_________________________________________
এ.এস.এম. আব্দুল হালিম
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা
ফাইল ছবি
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে এ সময় সীমিত পরিসরে চলবে ব্যাংকিং কার্যক্রম। আজ রবিবার ঈদের ছুটি শেষে গ্রাহক চাহিদামতো শাখা খোলা থাকবে।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে।
এতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে) বিধিনিষেধ চলাকালে সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে ব্যাংক। এ সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে।
লেনদেন-পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন করে সীমিতসংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগসমূহসহ ব্যাংক স্বীয় বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখতে পারবে।