a মহাসমাবেশ করতে নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়ে পুলিশকে চিঠি
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

মহাসমাবেশ করতে নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়ে পুলিশকে চিঠি


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩, ১০:১৬
মহাসমাবেশ করতে নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়ে পুলিশকে চিঠি

ফাইল ছবি

ঢাকায় ২৭ জুলাই মহাসমাবেশ করার ঘোষণা আগেই দিয়েছিল বিএনপি। নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওই মহাসমাবেশ করার জন্য পুলিশের কাছে চিঠি দিয়েছে দলটি।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে আজ সোমবার চিঠি দেয় বিএনপি। নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান—যেকোনো একটি স্থানে দলটি মহাসমাবেশ করতে চায় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএনপির সমাবেশের আবেদনের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগ।

ইতিপূর্বে ১২ জুলাই ঢাকায় সমাবেশ করে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। ১৮ ও ১৯ জুলাই গাবতলী থেকে রায় সাহেব বাজার ও আবদুল্লাহপুর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পদযাত্রা করেছে দলটি। 

এছাড়া ২২ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ করেছে বিএনপি। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা —


আরাফাত আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ০৮:৩২
বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা —

ছবি সংগৃহীত

বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত 
রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা —
১. জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন।
২. সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্রসত্ত্বা (Rainbow-Nation) ও 'জাতীয় সমন্বয় কমিশন ('National Reconciliation commission') গঠন।
৩. অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন।
8. আইনসভা, মন্ত্রীসভা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিচার বিভাগের মাঝে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা।
৫.  প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা অনুর্ধ্ব পরপর দুই মেয়াদ নির্ধারন।
৬. বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আইন সভায় উচ্চকক্ষের প্রবর্তন।
৭. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন।
৮. নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংশোধন।
৯. স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরনে সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করন।
১০. বর্তমান বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃপ্রবর্তন ও সংবিধানের আলোকে বিচারপতি নিয়োগ আইন প্রণয়ন।
১১. গণমুখী ও জনকল্যাণমূলক প্রশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন।
১২. মিডিয়া কমিশন গঠন করে তথ্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ।
১৩. দূর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ।
১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা।
১৫. আত্মত্মনির্ভরশীল জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন।
১৬. ধর্মীয় স্বাধীনতার সর্বোচ্চ ও কার্যকর নিশ্চয়তা প্রদান।
১৭. মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির আলোকে শ্রমজীবি মানুষের ন্যায্য মজুরী নিশ্চিত করা।
১৮. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং নবায়নযোগ্য ও মিশ্র জ্বালানী ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ খাত আধুনিকায়ন।
১৯. জাতীয় স্বার্থের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করে বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন।
২০. প্রতিরক্ষা বাহিনীর অধিকতর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা।
২১. প্রশাসন ও সেবা বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলি স্বশাসিত ও ক্ষমতাবান করা।
২২. শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান। 
২৩. কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বেকার ভাতা প্রবর্তন।
২৪. নারীর মর্যাদা সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ।
২৫. চাহিদা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা।
২৬. "সবার জন্য স্বাস্থ্য" এবং "সার্বজনীন চিকিৎসা"ব্যবস্থা
কার্যকর করা। প্রাথমিক ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত নারী ও পুরুষ পল্লী স্বাস্থ্যকর্মীর ব্যবস্থা করা এবং সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা সুবিধা নিশ্চিত করা।
২৭. কৃষকের উৎপাদন ও বিপণন সুরক্ষা দিয়ে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা।
২৮. সড়ক, রেল, নৌ পথের আধুনিকায়ন ও বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।
২৯. জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ এবং নদী শাসন ও খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৩০. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং আণবিক শক্তির উন্নয়ন ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৩১. যুগোপযোগী, পরিকল্পিত, পরিবেশ বান্ধব আবাসন এবং নগরায়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

 

....বিএনপি মিডিয়া সেল থেকে সংগৃহীত 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

যে ঘটনায় কলকাতা ছেড়ে পালিয়েছিল উত্তম কুমার


বিনোদন ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৫:০০
যে ঘটনায় কলকাতা ছেড়ে পালিয়েছিল উত্তম কুমার

ফাইল ছবি

উত্তম কুমার নায়ক তো নয়, ছিলেন তিনি মহানায়ক। সুদর্শন চেহারা আর অভিনয় নৈপুণ্যের মাধ্যমে জয় করেছিলেন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়। তাইতো যুগ যুগ পেরিয়েও এখনো তিনি সবার স্বপ্নের নায়ক হয়েই আছেন।

আজ ৩ সেপ্টেম্বর উত্তম কুমারের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনটিতে তার সম্পর্কে একটি অজানা ঘটনা জানাতে চাই।

উত্তম কুমারের ক্যারিয়ারের শুরুটা মোটেও সুখকর ছিলোনা। বলা হতো ফ্লপ মাস্টার। টানা ৭টি ফ্লপ সিনেমার পর তার উত্থান হয়। এরপর রচিত হয় এক ইতিহাস। ষাটের দশকের শেষ ভাগে তার একের পর এক সিনেমা সফল হয়। সত্তরের দশকেই তিনি মহানায়ক খ্যাতি পেয়ে যান।

সত্তর দশকের শুরুতে কলকাতায় শুরু হয় নকশাল আন্দোলন। একদিন নিউ থিয়েটারস স্টুডিওর মেকআপ রুমে বসে ছিলেন উত্তম কুমার। তখনই কয়েকজন ব্যক্তি অস্ত্রসহ হানা দেয় সেখানে। তার কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে জোরালো হুমকি। মুহূর্তেই ভয়ে কুপোকাত উত্তম। প্রাণনাশের হুমকি দিয়েই তারা চলে যায়।

কিন্তু ওই ঘটনায় উত্তম কুমার এতোটাই ভয় পেয়েছিলেন যে, কলকাতা ছেড়েই পালিয়ে যান। দ্রুত নিজের চুল ছোট করে উঠে পড়েন মুম্বাইয়ের ট্রেনে। যাতে কেউ চিনতে না পারে। চলে যান মুম্বাই। সেখানে গিয়ে ওঠেন অভিনেতা অভি ভট্টাচার্যের বাড়িতে। মাস খানেক ওই বাড়িতে থাকার পর উত্তম যান অভিনেতা বিশ্বজিত্‍ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে।
 
উত্তম প্রায় ঠিক করে ফেলেছিলেন, আর কলকাতায় ফিরবেন না। একদিন তো বিশ্বজিতকে বলেই ফেলেন, ‘চল, তুই আর আমি মিলে এখান থেকেই বাংলা সিনেমা বানাব।’ অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বন্ধু-সহকর্মীদের আশ্বাসে ফিরে যান কলকাতায়।

১৯৮০ সালে উত্তম কুমার শুটিং করছিলেন ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ সিনেমার। শুটিং চলাকালীন স্ট্রোক করেন। তাকে ভেলভিউ ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৬ ঘণ্টা চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৪ জুলাই না ফেরার দেশে চলে যান উত্তম কুমার।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি