a
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান এক বক্তব্যে বলেছেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. একে আবদুল মোমেন দলের কেউ নন। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট আওয়ামী লীগের ২ ইউনিটে সম্মানিত সদস্য এবং উপদেষ্টা হিসেবে আছেন।
জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বর্তমানে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।
গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি।’
এরপর রাজনৈতিক অঙ্গনে- এমনকি খোদ আওয়ামী লীগে এ বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন- ‘ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে কোনো অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না, করেনি। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকেও কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। যিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এ কথা বলেছেন, তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। এটা আমাদের সরকার বা দলের বক্তব্য নয়।’
এ বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আব্দুর রহমান শনিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে এক আলোচনা সভায় বলেন- ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের কেউ নন। সুতরাং তার বক্তব্যে দলের বিব্রত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: তারুণ্যের শক্তিতে আইনজীবীদের উদ্যোগে- জনতার বাংলাদেশ পার্টি হোক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে - এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবং বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণ বয়ে আনার জন্য ২০ দফা দাবি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করলো নতুন রাজনৈতিক দল "জনতার বাংলাদেশ পার্টি"।
দলের সভাপতি - এ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম সবুজ খানের সভাপতিত্বে আইনজীবীদের উদ্যোগে বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয় আজ ১৩ই মার্চ ২০২৫, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকার আব্দুস সালাম হলে। দলের সাধারণ সম্পাদকের সঞ্চালনায় এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান এর বলিষ্ঠ ও গঠনমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
নতুন এই দলের সভাপতি এ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম সবুজ খান তার মূল বক্তব্যে বলেন, আজ জনতার বাংলাদেশ পার্টির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ আনুষ্ঠানিক বীজ রোপণ করা হলো। একদিন ফুলে ফুলে ছেয়ে যাবে পুরো দেশ। তার সৌরভ উপলব্ধি করবে মানুষ। তার মূল উদ্দেশ্য একটি সুস্থ, সুন্দর, মানবিক ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আজন্ম বিপ্লবী ভূমিকায় থাকবে। এই দেশ সকলের, কৃষকের, শ্রমিকের, ছাত্র ও জনতার, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীর সকল মানুষের বাংলাদেশ এই ধারণাটা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই বাংলাদেশ হবে জনতার, কোন ফ্যাসিবাদের নয়। যখনই বাংলাদেশ রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে '৭১ থেকে ২০২৪ এই ছাত্র-জনতা বাংলাদেশকে প্রকৃত বাংলাদেশে '৭১-এর চেতনা ফিরিয়ে দিতে জীবন দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করেছে।
আগামী প্রজন্ম কোন বাংলাদেশে বাস করবে? ক্ষমতার না জনতার, দিন দিন অনিরাপদ বদ্ধভূমিতে পরিণত হচ্ছে। ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে যতক্ষণ না জনতার কাতারে দাঁড়াবে ততক্ষণ দেশ উন্নত হবে না। সবাই চায় ক্ষমতা। আর জনতার বাংলাদেশ পার্টি চায় জনতা, জনতা ও মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।
আজ পুলিশের গায়ে মানুষ হাত তোলে। পুলিশ জনতার না হয়ে ক্ষমতার হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ হবে রাষ্ট্রের, কোন দলের নয়। পুলিশ হবে জনতার, নেতাদের নয়। পুলিশ আজ বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ? সারা দেশে হাসিনার ছাত্রলীগের পুলিশ ছেয়ে আছে। বর্তমানে পুলিশ দর্শকের ভূমিকায় নিজেদের অবস্থান ও হাসিনার শোকে এখনও কেঁদে চলছে, তাই অপরাধীরা দেশটাকে অস্থির করে তুলছে। পুলিশ হয় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক, অন্যথায় দ্রুত নিরপেক্ষ পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হোক। দেশকে তো আর সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেওয়া যায় না। জনতার বাংলাদেশ পার্টি রাজনীতিতে টাকার প্রভাবকে ঘৃণা করে, সততা, আদর্শ ও যোগ্যতাকে সম্মান করে।
রাজনীতি হয়ে উঠেছে অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের দাবার খেলা। এই রাস্তা আমাদের বদলাতে হবে। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ (Invest) করবে, মনোনয়ন নিবে, তারপর এমপি-এর পর হাজার হাজার কোটি টাকা উপার্জন করবে, এটা আর হতে দেওয়া যায় না। এই লোভের রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ণ থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। এখনি ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের শপথ নিতে হবে, অন্যথায় দেশ আরও পিছিয়ে যাবে। যে মানুষ আল্লাহকে ভয় পায় না, নবী-রাসুলের নিয়ম-কানুন মানে না সে কখনও আদর্শ নেতা হতে পারে না। তার দ্বারা নিজের লাভ হতে পারে কিন্তু দেশের লাভ হয় নাই। আমরা মানুষকে মূল্যায়ন না করে টাকাকে মূল্যায়ন করি। আর কত বছর গেলে আমরা ব্যক্তিত্ববান হবো? আমাদের চরিত্র ক্যানভাসারের মতো হয়ে গেছে।
আমরা আগামি নির্বাচনে যদি নিবন্ধন লাভ করি তাহলে ২০০ আসনে আইনজীবী প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাকি ১০০ আসন হবে অন্যান্য পেশাজীবীর। দেশের রাজনীতিতে নির্মূল হোক টাকার প্রভাব। সততা আর যোগ্যতা হোক প্রশংসিত। ফিরে আসুক সত্যের উদ্ভাসিত সূর্য ও
তারুণ্যের জয়গান।
জনতার বাংলাদেশ টাকার রাজনীতি নয়, যোগ্যতার রাজনীতি করতে চায়, দেশের সেবা করতে চায়। মিথ্যার বদ্ধভূমিতে দাঁড়িয়ে সত্যের জয়গান করতে চায়।
জনতার বাংলাদেশ পার্টি ২০ দফা নিম্নরূপ :
১। যানজট নিরসন ।
২। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ।
৩। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা ।
৪। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ।
৫। মাদকদ্রব্য নির্মূল করা।
৬। সুশিক্ষা বা নৈতিক শিক্ষার প্রসার ।
৭। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা ।
৮। দুর্নীতি রোধ।
৯। মানবাধিকার সুরক্ষা ও নাগরিক হিসাবে সর্বোচ্চ জীবনযাপন করা।
১০। বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
১১। নিরাপদ বাসযোগ্য ভূমি ।
১২। রাজনীতিতে টাকার প্রভাব ও পেশিশক্তি কমিয়ে মেধাবিদের অগ্রাধিকার ।
১৩। মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা।
১৪ । কৃষিকে উৎসাহিত করা বা কৃষি বিপ্লব ঘটানো ।
১৫। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও সুস্থ মালিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করা।
১৬। ইসলামি ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা।
১৭। জনসংখ্যাকে প্রকৃত মানব সম্পদে রূপান্তরিত করা।
১৮। দেশকে উৎপাদনমুখী করা ।
১৯ । প্রশাসনকে শক্ত করে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়া।
২০। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা।
সভাপতি আরো বলেন, এই অসুস্থ সমাজকে ৭ মাসে বদলে দেওয়া যায়, যেটি যুগ যুগ ধরে নষ্ট হয়ে আছে। এই আইন- আদালত ও আইন-শৃঙ্খলার প্রতি কি মানুষের আস্থা থাকবে? মানুষ কোথায় যাবে?
জনতার বাংলাদেশ পার্টির স্লোগান ও উদ্দেশ্য :
২৬ মে ২০২১ সালে জনতার বাংলাদেশ পার্টির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হয়। মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষ হিসাবে মানুষের সেবা করা, করোনা, বন্যায়, দুর্যোগে, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের পাশে থেকে সেবা ও কথা বলে আসছে। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করায়, দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলায় পুলিশ অসংখ্যবার আমার উপর আক্রমণ করে। আমাকে ২ বার গ্রেফতার করে ও আমার বিরুদ্ধে ২২টি রাষ্ট্র বিরোধী মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু জনতার বাংলাদেশ সকল বাধাকে অতিক্রম করে অনলাইন, অফলাইনে মিছিলে সরকার বিরোধী প্রোগ্রামে সরব অবস্থানে নিজেকে জানান দিয়ে গেছে। এখন জুলাই-২০২৪ বিপ্লবের পরে ফ্যাসিবাদী সরকার বিদায় নেওয়ায় সকলের জন্য রাজনীতি করার একটি উন্মুক্ত প্লাটফার্ম তৈরি হয়েছে। তাই জনতার বাংলাদেশ পার্টি সেই প্লাটফর্ম থেকে সারা বাংলাদেশকে জানান দিচ্ছে এবং সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান করছে।
বাংলাদেশে আমাদের ইতিহাস মৃত্যুর '৭১-এ জীবন দিতে হয়েছে। বিভিন্ন ধাপে ধাপে জীবন দিতে হয়েছে, আর '২৪ সালেও হাজার হাজার ছাত্র-জনতার জীবন দিতে হয়েছে। বার বার আমরা মরে জেগে উঠি। দেশের প্রয়োজনে রেড়ে উঠি। এভাবে আর কত মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হবে? প্রাণঘাতি শূন্যে নামিয়ে আনা উচিত। জনতার বাংলাদেশ আপনাকে স্পষ্ট বার্তা দিতে এসেছে, বাস্তবতা তুলে ধরবে, সত্য তুলে ধরবে, রাজনীতিতে টাকার প্রভাবকে নির্মূল করার চেষ্টা করবে, যতই কঠিন পরিস্থিতি হোক।
আইনজীবীরা সমাজের দর্পণ। A Natural Leader of Society সকল পেশার মানুষের অনুভূতি অনুধাবন করে আইনজীবীরা, মেধা আর যোগ্যতার বদৌলতে রাজনৈতিক হয়ে উঠছে পেশিশক্তি আর টাকার বাহার, এখন থেকে আর না। রাজনীতি হবে সৎ, একজন স্কুল শিক্ষকের জন্য, খেটে খাওয়া মানুষের জন্য, মেধাবিদের জন্য, সাংবাদিকদের জন্য, আইনজীবীদের জন্য ও আদর্শ ছাত্র নেতাদের জন্য । টাকার ছড়াছড়ি রাজনীতি বন্ধ হোক।
আমরা যদি সুযোগ পাই, বাংলার মাটিতে কোন ভাড়াটিয়া থাকবে না। আমি বাংলাদেশী, আমি সরকারকে ট্যাক্স দেই। আমার দেওয়া ভোটে সরকার হয়। তাহলে আমি ভাড়া থাকব কেন? আমরা যদি ক্ষমতায় যেতে পারি তাহলে প্রত্যেক পরিবারকে ধাপে ধাপে একটি করে ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করে দিব ইনশাল্লাহ। কেহ গৃহহীন থাকবে না। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। গুলিস্তান থেকে রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল ফ্লাই ওভার পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণ করা, গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, সাইনবোর্ড, কাঁচপুর পর্যন্ত ফ্লাই ওভার নির্মাণ করা। যদি আপনারা আমাদেরকে সুযোগ দেন।
সংগৃহীত ছবি
জীবনে সফলতা পেতে কে না চায়। সফলতার জন্য মানুষ কত কী-ই না করে, তার শেষ নেই। তবে প্রকৃত সফলতা কী, তা আমরা অনেকে জানি না। মহান আল্লাহ যাদের সফল হিসেবে ঘোষণা করেছেন, তারাই প্রকৃত সফলকাম। তিনি পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে সফলকাম মানুষদের বর্ণনা দিয়েছেন। নির্দেশনা দিয়েছেন সেসব বিষয়ে, যেগুলো একজন মানুষকে প্রকৃতপক্ষে সফল করতে পারে।
°
পবিত্র কোরআনে তাকওয়া, ঈমান বিল গায়েব, পবিত্র কোরআন ও আগের কিতাবের ওপর বিশ্বাস, কিয়ামত ও আখিরাতে বিশ্বাস, সৎকাজে আদেশ অসৎ কাজে নিষেধ, নামাজ কায়েম, জাকাত প্রদান, আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ ব্যয়, রাসুল (সা.)-এর ওপর ঈমান আনা ও তাঁর সহযোগিতা করা, তাঁর সুন্নতের অনুসরণ করা, শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিজের জীবন-সম্পদ ব্যয় করে আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করা, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর জন্য কাউকে ভালোবাসা বা ঘৃণা করা, সংকীর্ণ মনোভাব ত্যাগ করাকে সফলতা অর্জনের মাধ্যম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। নিম্নে সেসব আয়াত তুলে ধরা হলো, যেখানে মহান আল্লাহ এই গুণে গুণান্বিতদের সফলকাম বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
°
ঈমান আনাঃ-
‘যারা অদৃশ্যের প্রতি ঈমান আনে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। আর যারা ঈমান আনে তাতে, যা তোমার প্রতি নাজিল করা হয়েছে এবং যা তোমার আগে নাজিল করা হয়েছে। আর আখিরাতের প্রতি তারা পূর্ণ বিশ্বাস রাখে। তারা তাদের রবের পক্ষ থেকে হিদায়েতের ওপর রয়েছে এবং তারাই সফলকাম।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৩-৫)
°
রাসুল (সা.)-এর অনুসরণঃ-
‘যারা অনুসরণ করে রাসুলের, যে উম্মি নবী; যার গুণাবলি তারা নিজদের কাছে তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত পায়, যে তাদের সৎকাজের আদেশ দেয় ও বারণ করে অসৎ কাজ থেকে এবং তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে, আর অপবিত্র বস্তু হারাম করে। আর তাদের থেকে তাদের ওপর থাকা বোঝা ও শৃঙ্খল অপসারণ করে। সুতরাং যারা তাঁর প্রতি ঈমান আনে, তাঁকে সম্মান করে, তাঁকে সাহায্য করে এবং তাঁর সঙ্গে যে নূর নাজিল করা হয়েছে তা অনুসরণ করে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৫৭)
°
নামাজ কায়েম ও আখিরাতে দৃঢ় বিশ্বাসঃ-
‘এগুলো প্রজ্ঞাপূর্ণ কিতাবের আয়াত, সৎকর্মশীলদের জন্য হিদায়েত ও রহমতস্বরূপ, যারা নামাজ কায়েম করে এবং জাকাত দেয়, আর তারাই আখিরাতে দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করে; তারাই তাদের রবের পক্ষ থেকে হিদায়েতের ওপর এবং তারাই সফলকাম।’ (সুরা : লুকমান, আয়াত : ২-৫)
°
আল্লাহর রাস্তায় আহ্বানকারীঃ-
‘আর যেন তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি দল হয়, যারা কল্যাণের প্রতি আহ্বান করবে, ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। আর তারাই সফলকাম।’ (সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ১০৪)
°
যারা সেই আহ্বানে সাড়া দেয় তারাও সফলকাম। ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর প্রতি এ মর্মে আহ্বান করা হয় যে তিনি তাদের মধ্যে বিচার মীমাংসা করবেন, তাদের কথা তো এই হয় যে তখন তারা বলে, ‘আমরা শুনলাম ও আনুগত্য করলাম।’ আর তারাই সফলকাম।’ (সুরা : নূর, আয়াত : ৫১)
°
অধিক নেক আমলের অধিকারীঃ-
কিয়ামতের দিন যাদের আমলের পাল্লা ভারী হবে, তারাও সফলকাম। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর সেদিন পরিমাপ হবে যথাযথ। সুতরাং যাদের পাল্লা ভারী হবে, তারাই হবে সফলকাম।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৮)
°
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর যাদের পাল্লা ভারী হবে তারাই হবে সফলকাম।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ১০২)
°
শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াইকারীঃ-
বিশ্বব্যাপী আল্লাহর দ্বিন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জাহিলিয়াতের ঘোর অন্ধকার থেকে উম্মাহকে মুক্ত করার জন্য জান-মাল দিয়ে লড়াই করেছেন সাহাবায়ে কেরাম। যারা তাদের মতো বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করবে, আল্লাহ তাদের সফলকাম বলে ঘোষণা করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘কিন্তু রাসুল ও তাঁর সঙ্গে মুমিনরা তাদের মাল ও জান দিয়ে লড়াই করে, আর সেসব লোকের জন্যই রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ এবং তারাই সফলকাম।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৮৮)
°
যারা মানুষের হক আদায় করেঃ-
প্রত্যেক মানুষের ওপরই তার আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও মিসকিন-মুসাফিরদের হক রয়েছে। যারা তা যথাযথভাবে পালন করবে আল্লাহ তাদের সফল করবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘অতএব আত্মীয়-স্বজনকে তাদের হক দিয়ে দাও এবং মিসকিন ও মুসাফিরকেও। এটি উত্তম তাদের জন্য, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি চায় এবং তারাই সফলকাম।’ (সুরা : রুম, আয়াত : ৩৮)
°
যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসা প্রাধান্য দেয়
‘তুমি পাবে না আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী এমন কোনো সম্প্রদায়, যারা ভালোবাসে আল্লাহ ও (পাশাপাশি) তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধাচরণকে (ভালোবাসে)—হোক না এই বিরুদ্ধাচরণকারী তাদের পিতা, অথবা পুত্র, অথবা ভাই, অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। এদের অন্তরে আল্লাহ সুদৃঢ় করেছেন ঈমান এবং তাদের শক্তিশালী করেছেন তাঁর পক্ষ থেকে রুহ দ্বারা। তিনি তাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; সেথায় তারা স্থায়ী হবে; আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। এরাই আল্লাহর দল। জেনে রেখো, আল্লাহর দলই সফলকাম।’ (সুরা : মুজাদালা, আয়াত : ২২)
°
যারা অন্য মুমিনকে নিজের ওপর প্রাধান্য দেয়
‘আর মুহাজিরদের আগমনের আগে যারা মদিনায় নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং ঈমান এনেছিল (তাদের জন্যও এ সম্পদে অংশ রয়েছে), আর যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে তাদের ভালোবাসে। আর মুহাজিরদের যা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য এরা তাদের অন্তরে কোনো ঈর্ষা অনুভব করে না। এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর তাদের অগ্রাধিকার দেয়। যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা : হাশর, আয়াত : ৯)
°
মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন