a
ফাইল ছবি
যশোরে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা স্মরণকালের ঐতিহাসিক জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সন্ধ্যায় যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামের জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পনিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।
জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি তার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলবেন জানিয়ে তিনি বলেন, নেত্রীর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কথা বলবেন। জনগণের জন্য তিনি কী করেছেন, কী করবেন, তার স্বপ্ন কী- মানুষের চোখের ভাষা, মনের ভাষা নিয়ে কথা বলবেন তিনি। সূত্র: যুগান্তর
সংগৃহীত ছবি
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলছেন, বন্দুকের নল দিয়ে ভয় দেখিয়ে হেফাজতে ইসলামকে স্বব্ধ করা যাবে না। মামুনুল হক বলেন, কেউ যদি চিন্তা করেন বন্দুকের নল দেখিয়ে হেফাজতকে স্তব্ধ করবেন, তাহলে তাদের বলব, আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
তিনি জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে শুক্রবার (২ এপ্রিল) এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি বিশ্ব মানবাধিকার কর্মীদের বলতে চাই, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থাকে বলতে চাই- যথাযথভাবে তদন্ত করুন। পুলিশি হেফাজতে থাকা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা এসব হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে, তারা কীভাবে এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় আমি তার জবাব চাই।
মামুনুল হক বলেন, মাদরাসায় সংরক্ষিত ছুরিগুলো কেরাবানির কাজে ব্যবহৃত হয়। এগুলো নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই। সাংবাদ মাধ্যমগুলোকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানাই। যথাযথ ঘটনা তুলে ধরা তাদের দায়িত্ব। আর ভুলক্রমে সাংবাদিকদের ওপর হেফাজতের কিছু কর্মী হামলা করে থাকতে পারে। আমরা এজন্য কেন্দ্রীয়ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
সমাবশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি জোনায়েদ আল হাবীব বলেন, করোনার দোহাই দিয়ে মসজিদ বন্ধ করা যাবে না। করোনা আল্লাহ দিয়েছেন। তার কাছে মসজিদে বসেই মুক্তি চাইতে হবে। সরকারের প্রজ্ঞাপনে কওমি মাদ্রাসা বন্ধের কোনো নির্দেশনা নেই। তবে এই করোনার দোহাই দিয়ে কওমি মাদ্রাসা বন্ধ ও ইসলামী সভা-সমাবেশ বন্ধ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদি এবার করোনার দোহাই দিয়ে মাদ্রাসা বন্ধ করা হয়, তবে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
জোনায়েদ আল হাবীব বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিটি গ্রামের বাড়ি-ঘরে মানুষ রাতে ঘুমাতে পারেন না। পুলিশ প্রত্যেক রাতে গ্রামের বাড়িগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছে। যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের স্বজনরাও রাতে বাড়িতে থাকতে পারেন না। তাদের পরিবার পরিজন আতঙ্কিত। আজ তাদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে ফের রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, বেড়েছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৬৬ জন এবং সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ২১৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৩৮৪ জনে। আর দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জনে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৬৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৩ জন।