a যশোরের আওয়ামী জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে: ওবায়দুল কাদের
ঢাকা বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

যশোরের আওয়ামী জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে: ওবায়দুল কাদের


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ০১:৩৭
যশোরের আওয়ামী জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি

যশোরে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা স্মরণকালের ঐতিহাসিক জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার সন্ধ্যায় যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামের জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পনিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।

জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি তার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলবেন জানিয়ে তিনি বলেন, নেত্রীর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কথা বলবেন। জনগণের জন্য তিনি কী করেছেন, কী করবেন, তার স্বপ্ন কী- মানুষের চোখের ভাষা, মনের ভাষা নিয়ে কথা বলবেন তিনি। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

মাদ্রাসাছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় যা বললেন বাবুনগরী


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১, ০৬:৪৯
মাদ্রাসাছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় যা বললেন বাবুনগরী

ফাইল ছবি: আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

হেফাজতে ইসলামের আমির ও হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, এ আন্দোলন দেশ কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে ছিল না। এই আন্দোলন ছিল নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে।

তিনি বলেন, এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে জনতার ওপর এমন বর্বরোচিত হামলা বরদাশত করা যায় না। পুলিশের গুলিতে নিহতদের প্রতি ফোটা রক্তের বদলা নেওয়া হবে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

শনিবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজত আমির এসব কথা বলেন।

জনতার বিক্ষোভে হামলায় নেতাকর্মী নিহত ও আহত হওয়ার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের ডাকে শনিবার সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ পালনের ঘোষণা দেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

এসময় তিনি রোববার সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে হরতাল কর্মসূচী পালন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে আমিরে হেফাজত বলেন, মোদির আগমনের প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকার বায়তুল মোকাররম, হাটহাজারী, যাত্রাবাড়ী, বি-বাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনরত জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করে আনুমানিক ছয়জনকে শহীদ করা হয়েছে। গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে প্রায় চারশত প্রতিবাদীকে রক্তাক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এভাবে গুলিবর্ষণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। কার নির্দেশে নিরীহ-নিরস্ত্র ছাত্রদেরকে এভাবে হামলা ও শহীদ করা হল—এর জবাব প্রশাসনকে অবশ্যই দিতে হবে এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

আল্লামা বাবুনগরী বলেন, মোদির আগমনের প্রতিবাদে ঢাকা ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তৌহিদি জনতা। বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনরতের ওপর হামলার সংবাদ পাওয়া গেছে।

‘হাটহাজারীতে আমার কলিজার টুকরা চার ভাইকে শহীদ করা হয়েছে। শহীদদের গা থেকে ঝরা এ রক্ত কভু বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।’

পুলিশের গুলিতে নিহতদের ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকার প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান আল্লামা বাবুনগরী।

হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আমিরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরও বলেন, যদি আর একজন তৌহিদি জনতার রক্ত ঝরে বা ওলামায়ে কেরামকে হামলা মামলা ও হয়রানি করা হয়; তাহলে এর প্রতিবাদে পুরো দেশে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। প্রয়োজনে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শ করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

জুম-এর উত্থান ও একটি ইতিহাস


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৭:২৭
জুম-এর উত্থান ও একটি ইতিহাস

ফাইল ছবি

চীনে উৎপত্তি হ্ওয়া করোনা বিশ্বব্যাপী মহামারী রোগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ কোভিড-১৯ নামে। এই ভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের মার্চে থেকেই পুরো বিশ্বে আতঙ্ক চরমে ওঠে। অফিস, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে সকল প্রতিষ্ঠান এক এক করে বন্ধ হয়ে যায়। করোনার ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেয়। ধীরে ধীরে ব্যবসা, পড়াশোনা, যোগাযোগ সব বন্ধ হয়ে গেলো। তখন মানুষ ব্যাপকভাবে প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হতে লাগলো। 

আর মানুষের সেই কাজকে সহজ করে দিয়েছে অডিও-ভিডিও কনফারেন্সিং মাধ্যম জুম। ইন্টারনেটের সাহায্যে ডিভাইসে (যেমন, মোবাইল, কম্পিউটার) অ্যাপ ব্যবহার করে এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে কয়েকজন ব্যবহারকারী একসঙ্গে ভিডিও কলে যুক্ত হতে পারেন। বলতে গেলে যোগাযোগকে সহজ এবং আরও বাস্তব করে তুলেছে জুম।

করোনাকালীন জুমের জনপ্রিয়তা:
মানুষ যখন করোনার কারনে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে তখন একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য জুমের উপর নির্ভর হচ্ছিলো। লকডাউন শুরুর পর এই অ্যাপের ব্যবহার জনপ্রিয়তা কতটা বেড়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। জুমে কী না করেছে মানুষ? অনলাইন ক্লাস, ক্লাসপার্টি, অফিসের কাজ, মিটিং, আদালতের বিচারকাজ, সরকারি মিটিং, এমনকি বিয়ের আয়োজনও হয়েছে জুমে। 

কতক ক্ষেত্রে যে জুম মানুষকে পথ দেখিয়েছে, তা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে। ফেব্রুয়ারিতে জুম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২ দশমিক ২২ মিলিয়ন অর্থাৎ ২২ লাখ। যার পরিমান ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ছিল প্রতিদিনের ব্যবহারকারীর প্রায় ১০ মিলিয়নের মতো। সেখান থেকে ২০২১ সালের এপ্রিলে দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০০ মিলিয়নে।

জুমের জনপ্রিয়তার রহস্য :
অনেকেরই প্রশ্ন থাকতে পারে অন্যান্য অ্যাপ থাকতে জুম এত জনপ্রিয় কেন? কারন হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে, জুমের ফ্রি ভার্সনে একসঙ্গে ১০০ জন ব্যবহারকারী একসঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং এ যুক্ত হতে পারেন। যেখানে মাইক্রোসফটের ফ্রি ভার্সনে মাত্র ৫০ জন এর বেশি ব্যবহারকারী একসাথে  যুক্ত হতে পারেন না। 

আবার ৪০ মিনিটের বেশি সময় কনফারেন্সিংয়ে যুক্ত থাকতে হলে মাসে খরচ করতে হয় ১৪ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার। তবে এন্টারপ্রাইজ ব্যবহারকারীদের খরচ করতে হয় ১৯ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার। জুমে রয়েছে, প্রাইভেট কল, সরাসরি মেসেজ পাঠানোর সুবিধা এবং পারসোনালাইজড টুলসহ নানা ফিচার।

জুমের যাত্রা:
২০১১ সালের শুরুরদিকে ৪০ জন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে নতুন একটি কোম্পানি চালু করেন এরিক ইউয়ান। শুরুতে এর নাম ছিল ‘সাসবি’। কোম্পানিটি প্রথমদিকে  বিনিয়োগ অভাবে কাজ করতে পারেনি। সকলের মত ছিল বর্তমানে ভিডিও টেলিফোনোর বাজার পড়ে গেছে। এ কারণেই কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান এর পেছনে বিনিয়োগে আগ্রহী ছিল না। ভাগ্যক্রমে সে বছরই বছরের জুন মাসে বেশ কিছু পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ পায় কোম্পানিটি। পরের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালে ‘সাসবি’ জুম নামটি ধারণ করে। 

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটি একটি বেটা ভার্সন চালু করে যেটির মাধ্যমে ১৫ জন ব্যবহারকারী ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হতে পারতেন। একই বছরের নভেম্বরে প্রথম গ্রাহক হিসেবে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে আরও কোম্পানিটি আরও বিনিয়োগ পায়। সেসময় জুম ১.১ ভার্সন চালু করে। এতে ২৫ জন ব্যবহারকারী একসঙ্গে যুক্ত হতে পারতেন। চালুর এক মাসের মধ্যে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ লাখ। এরপর মে মাসের মধ্যেই ব্যবহারকারীর সংখ্যা পৌঁছে ১ মিলিয়নে।  

তবে মজার ইতিহাস হলো, জুমের আবিস্কার হয়েছে এরিক ইউয়ান এর একান্ত এক ব্যক্তিগত এক সম্পর্ক থেকে। কলেজে পড়ার সময় তার এক বান্ধবি ছিল তার সাথে দেখা করতে তাকে অনেকটা পথ পেরিয়ে যেতে হতো। সময় লেগে যেত প্রায় ১০ ঘণ্টা। তখন থেকেই চিন্তা করতেন যদি এমন কোনো মাধ্যম থাকতো, যার সাহায্যে দূর থেকেও একে অপরকে মূহুর্তেই মন চাইলে দেখে দেখে কথা বলা যেত। তখন হয়তো চিন্তাও করেন নাই তিনিই একদিন সেই মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষকে যুক্ত করে সেবা দিতে পারবেন। তার সেই ভাবনা- আজকের জুম। যা তাকে বিশ্বের শীর্ষ ৪০০ ধনীর কাতারে এনে দিয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি