a সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মুহিতের প্রথম জানাজা গুলশানে সম্পন্ন
ঢাকা শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মুহিতের প্রথম জানাজা গুলশানে সম্পন্ন


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ০৪:৩৮
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মুহিতের প্রথম জানাজা গুলশানে সম্পন্ন

ছবি : আবুল মাল আবদুল মুহিতে

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রথম জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে।  শনিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর গুলশান আজাদ মসজিদে নানা শ্রেণি–পেশার মানুষের অংশগ্রহণে মুহিতের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। 

এর আগে সংসদ প্লাজায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের দ্বিতীয় জানাজার কর্মসূচি বাতিল করা হয়।

গুলশান আজাদ মসজিদের জানাজায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, আবুল মাল আবদুল মুহিতের ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জানাজা নামাজ শেষ মসজিদের দক্ষিণ ফটকে আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহ দেখতে তার বন্ধ, শুভাকাঙ্খীরা ভিড় করেন। বেলা সোয়া ১১টায় সবার দেখা শেষে মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নিয়ে যান তার পরিবারের সদস্যরা।

শুক্রবার রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

বার্ধক্যের নানা জটিলতায় সাবেক অর্থমন্ত্রী বেশ কিছুদিন থেকে অসুস্থ ছিলেন। মাঝে তাকে কয়েক দফায় হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। আবুল মাল আবদুল মুহিত লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন। করোনার মধ্যে দেড় বছর আগে এই রোগ সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি। বিষয়টি পারিবারিকভাবেই গোপন রাখা হয়। এর মধ্যে করোনায়ও আক্রান্ত হন মুহিত।

আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরী ও বাবা আবু আহমদ আবদুল হাফিজ। মা-বাবা দুইজনই তৎকালীন সিলেট জেলার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৪ ভাইবোনের মধ্যে তার অবস্থান তৃতীয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তার ছোট ভাই।  সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

বিএনপি শর্তসাপেক্ষে গণমিছিলের অনুমতি পেল


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১৭ আগষ্ট, ২০২৩, ০৯:২৩
বিএনপি শর্তসাপেক্ষে গণমিছিলের অনুমতি পেল

ফাইল ছবি

ঢাকায় আগামীকাল শুক্রবার গণমিছিলের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। শর্তসাপেক্ষে এ অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার।

তিনি বলেন, বিএনপি গণমিছিলের জন্য ডিএমপি কমিশনার বরাবর আবেদন করেছিল। আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শুক্রবার রাজধানীতে এই গণমিছিল করবে বিএনপি।

শুক্রবার বিকাল ৩টায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে পৃথক দুটি গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে গণমিছিল কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে আরও অংশ নেবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সিনিয়র নেতারা। গণমিছিলটি দয়াগঞ্জ মোড় থেকে শুরু হয়ে কমলাপুর স্টেডিয়ামে পাশ দিয়ে খিলগাঁও চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত গণমিছিলটি গুলশান-২ নম্বর ডিসিসি মার্কেট সামনে থেকে শুরু হয়ে গুলশান-১ নম্বর গোলচক্বর হয়ে তিতুমীর কলেজের সামনে দিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে শেষ হবে।  এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। গণমিছিলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খানসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন।  

অন্যদিকে গণতন্ত্র মঞ্চগণ- বিকাল ৪টা ২০ মিনিট জাতীয় প্রেস ক্লাব সামনে থেকে গণমিছিল শুরু হবে, ১২ দলীয় জোট বিকাল ৪টায় বিজয় নগর পানির ট্যাংক সামনে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট-বিকেল ৪টায় পুরানা পল্টন আলরাজী কমপ্লেক্স সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করবে।

এছাড়া এলডিপি বিকাল ৩টা কারওয়ানবাজার এফডিসি সংলগ্ন এলডিপি অফিস সামনে থেকে, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি বিকাল ৪টায় মতিঝিল নটরডেম কলেজ উল্টো দিকে গণফোরাম চত্বর সামনে থেকে, গণঅধিকার পরিষদ, বিকাল ৪টা কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুরানা পল্টন সামনে থেকে, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) মালিবাগ মোড় বিকাল ৫টা ৩০মিনিট থেকে, লেবার পার্টি বিকাল ৩টায় নয়াপল্টন মসজিদ গলি অফিস সামনে, গণঅধিকার পরিষদ (ডক্টর রেজা কিবরিয়া-ফারুক হাসান) গণস্বাক্ষর কর্মসূচি সকাল ১০টায় রামপুরা ব্রিজ, বিকাল ৪টায় পুরানা পল্টন মোড় থেকে গণস্বাক্ষর ও পদযাত্রা, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য সকাল ১০টায় সেগুনবাগিচা স্কুল থেকে পল্টন মোড় হয়ে প্রেস ক্লাবে সামনে, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বিকাল ৪টা শাহবাগ মোড়, সমমনা গণতান্ত্রিক পেশাজীবী জোট সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করবে।

এছাড়া সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সকাল ১১টায় বিজয়নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে (হোটেল ৭১ এর উল্টা পার্শ্বে) বিক্ষোভ সমাবেশ করবে আমার বাংলাদেশ (এবি পার্টি)।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

হেফাজতে ইসলাম আসছে নতুন মোড়কে সে-ই পুরাতন হেফাজত


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শনিবার, ১৯ আগষ্ট, ২০২৩, ০১:৩৮
হেফাজতে ইসলাম আসছে নতুন মোড়কে সে-ই পুরাতন হেফাজত

ফাইল ছবি

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ পুরনো নেতারাই নতুন মোড়কে নেতৃত্বে আসছেন। জানা গেছে, কারাবন্দি সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ প্রয়াত আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে করা কেন্দ্রীয় কমিটির বেশির ভাগই থাকছেন নতুন কমিটিতে। এরই মধ্যে ২০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির খসড়াও করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে ঘোষণা দেওয়া হবে পূর্ণাঙ্গ কমিটির।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘আগে থেকেই যাদের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরির অভিযোগ ছিল, তারাই হেফাজতে পুনর্বাসন হচ্ছেন। এটি হলে সরকারকে ফের বিব্রতকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।’

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, ‘১৬ আগস্ট সাব কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া করেছে। আমির এবং মহাসচিব ওই কমিটি অনুমোদন দেওয়ার পর ঘোষণা দেওয়া হবে। এ মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব হবে না।’
জানা যায়, ২০২১ সালের ২৬ মার্চের পর দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর অভিযানে গ্রেফতার হন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের বেশির ভাগ নেতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে একই বছরের ২৫ এপ্রিল সারা দেশের কমিটি বিলুপ্ত করেন তৎকালীন আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। সম্প্রতি একে একে জামিনে মুক্ত হন কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা। এরপর নতুন কমিটি গঠনের দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫ আগস্ট বৈঠকে বসেন নেতারা। ওই বৈঠকে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে করা কমিটির নেতাদের সদস্য পদ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্বহাল করা হয়। এ ছাড়া যোগ্যতা অনুযায়ী নেতাদের পদায়ন করতে মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের সাব কমিটি করা হয়। ওই সাব কমিটি ১৬ আগস্ট ঢাকার ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে জামে মসজিদে বৈঠকে বসে। সেখানে ২০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় খসড়া কমিটি তৈরি করা হয়।

ওই বৈঠকে বর্তমান যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী ও মাওলানা কাইয়ুম সোবহানীকে নায়েবে আমির করা হয়। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে করা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে সাংগঠনিক পদে পুনর্বহাল করা হয়। বর্তমানে সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিসকে করা হয় যুগ্ম মহাসচিব। মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন রাজি, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা মুফতি বশির উল্লাহকে যুগ্ম মহাসচিব পদে পুনর্বহাল করা হয়। যুগ্ম মহাসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় মাওলানা হারুন ইজহার, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরীকে। সাবেক প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়জীকে পদোন্নতি দিয়ে করা হয় সহকারী যুগ্ম মহাসচিব। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে হাটহাজারীর মাদরাসায় বৈঠক করে হেফাজতে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - রাজনীতি