a
ফাইল ছবি
‘কুমিল্লায় কোরআন অবমাননা’র খবরকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলরা সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। তিনি বলেন, কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। সবাই ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখুন।
বুধবার (১২ অক্টোবর) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত জরুরি ঘোষণায় তিনি এই আহ্বান জানান।
জরুরি ঘোষণায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননা সংক্রান্ত একটি খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খবরটি খতিয়ে দেখার জন্য ইতোমধ্যে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশে কেউ যদি এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকে তাহলে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না।
প্রসঙ্গত, এর আগে কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ে রাস্তার পাশে নির্মিত একটি পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির পায়ের উপরে পবিত্র কোরআন রেখে অবমাননার খবর ছড়িয়ে পড়লে নগরজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকালে প্রাতঃভ্রমণকারী লোকজন বিষয়টি দেখে থানা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে হনুমানের পায়ের উপর থেকে একখানা পবিত্র কোরআন শরীফ উদ্ধার করে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেছেন, ‘আমরা পবিত্র কোরানের মর্যাদা বুঝি। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা আমাদের বলেছেন, পূজা বন্ধ রাখতে। আমরা তাদের পূজা চালিয়ে যেতে বলেছি। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ইসলামেও কারও ধর্ম পালনে বাধা দেওয়ার বিধান নেই।’
এ বিষয়ে কুমিল্লাহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা অব্যাহত আছে। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বদরুদ্দোজা, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহানবী (সাঃ)-কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবমাননা করার দাবিতে নাহিদ হাসান নলেজের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ২২ ফেব্রæয়ারি বাদ মাগরীবের নামাজ শেষে থানাহাট বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মুসল্লিগণ একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে মিছিলটি বাজার, কলেজ মোড হয়ে চিলমারী মডেল থানার সামনে গিয়ে নাহিদ হাসান নলেজের দ্রæত গ্রেফতারসহ শাস্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করেন।
এরপর আবারো উপজেলা পরিষদের সামনে রাস্তা অবরোধ করে মিছিল টি শেষ হয়। এসময় স্থানীয় মুসল্লী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বক্তব্য রাখেন, লিটন ইসলাম শাকিব, সদস্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা ও চিলমারী ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল করিম, সাব্বির সরকার প্রমুখ । তারা বলেন নাহিদ হাসান নলেজ একজন চাঁদাবাজ ও নাস্তিক। সে মহানবী কে কটুক্তি করেছে তাই এই নাস্তিক ও কুলাঙ্গার কে অতি সত্বর আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান। তারা আরো বলেন চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কুলাঙ্গার নলেজ কে গ্রেফতার করা না হলে বৃহৎ কর্মসূচি করা হবে মর্মে প্রশাসন কে হুঁশিয়ারী প্রদান করেন।
অভিযুক্ত নাহিদ হাসান নলেজ উপজেলার রমনা ইউনিয়ন এর ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। চিলমারী ইউনিয়নের চর শাখাহাতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং এলাকায় নাস্তিক হিসেবে পরিচিত।
ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ- এর একটি ফেসবুক পোস্ট শেয়ার দিয়ে লিখেছিলেন "কওমী জননী ডাকা কুলাঙ্গাররা হত্যার হুমকি দিয়েই চলছে তাদের কি গ্রেফতার করা হবে না" মর্মে একটি লেখা পোস্ট করেন। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে এটি ছড়িয়ে পরলে। এমন মন্তব্য করার পর মুসলিম জনতা ক্ষিপ্ত হলে কিছুসময় পরই সেই পোস্ট তিনি সরিয়ে নেন। স্থানীয় সুশীল সমাজ ও সচেতন মহল প্রতিবাদস্বরূপ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মোশাহেদ খান বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফাইল ছবি
করোনার (কোভিড-১৯) প্রকোপের বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশের মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ থেকে ৯ম) শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ স্থগিত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
শুক্রবার এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। এর আগে গত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল।
গতকালের আদেশে বলা হয়েছে, ‘দেশে করোনাভাইরাস মহামারির বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হলো।’