a
ছবি সংগৃহীত: মেট্টোরেল, বাংলাদেশ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন মেট্টোরেল চালু হতে এক বছর সময় লাগবে। কারন হিসেবে বর্ননা করেন দূর্বত্তরা আগুন দিয়ে এটার যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তা মেরামত করতে এক বছর সময় লাগবে। অথচ ৩৭ দিন বন্ধ থাকার পর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার (২৫ আগস্ট) থেকে যাত্রী সেবা দেওয়া শুরু করেছে মেট্রোরেল। সকাল ৭টা ১০ মিনিট এবং ৭টা ২০ মিনিটে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে দুটি ট্রেন মতিঝিলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এর আগে শনিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৬) অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া জানিয়েছিলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মেট্রোরেলের ট্রায়াল (পরীক্ষামূলকভাবে চালানো) হয়েছে। এতে রোববার মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে ওইদিন বিকাল পাঁচটায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।
নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ১১ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, ১৭ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চালু হবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করবে। তবে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে আপাতত ট্রেন থামবে না। কারণ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় এ দুটি স্টেশন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এরপর ১৫ আগস্ট ডিএমটিসিএল সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৭ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চালু সম্ভব হচ্ছে না বলে জানানো হয়। এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে প্রয়োজনীয় কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি।
ডিএমটিসিএল সূত্রে সম্প্রতি জানা যায়, মেট্রোরেলের লাইন, কোচ ও সংকেত ব্যবস্থা সবই ঠিক ছিল। এরপরও মেট্রোরেল চালু না হওয়ার কারণ ছিল নিচের দিকের কর্মীদের কর্মবিরতি। বড় কর্মকর্তারা বাড়তি সুবিধা নিচ্ছেন, এমন অভিযোগ এনে কর্মবিরতিতে যান মেট্রোরেলের কর্মচারীরা। এ জন্যই কারিগরি কোনো সমস্যা না থাকার পরও মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। পরে কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার পর তাদের দাবি পূরণের বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়।
গত ১৮ আগস্ট সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান সাত দিনের মধ্যে মেট্রোরেল চলাচল শুরুর আশ্বাস দেন। মেট্রোরেলের কর্মচারীরা ২০ আগস্ট থেকে কাজে যোগ দেন। সেই হিসেবে মেট্রোরেল আজ (রোববার) থেকে চালু হলো। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
বাংলাদেশে বেড়ে গেছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন বিভিন্নভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তাই এবার যুক্তরাজ্য ছাড়া গোটা ইউরোপ ও অন্য আরও ১২টি দেশ থেকে বিমানপথে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ করা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
১২টি দেশ হচ্ছে- আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, ব্রাজিল, চিলি, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, পেরু, কাতার, সাউথ আফ্রিকা, তুরস্ক ও উরুগুয়ে। ৩ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
ফাইল ছবি: নবনির্মিত ডাক ভবন
নবনির্মত ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর ‘ডাক ভবন ’ এর আগামীকাল আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে। ডাক বাক্সের মডেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নান্দনিক এই ভবনটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে অনলাইনে শুভ উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে নিজে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিনসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থা সমূহের কর্মকর্তাগণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে আগারগাঁও প্রান্ত থেকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।
৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজধানীর ঢাকার আগারগাঁওয়ে দৃষ্টিন্দন এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ২টি বেইজমেন্টসহ ১৪ তলা ভবন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের সদরদপ্তর শীর্ষক প্রকল্পটি গত ২০ মার্চ ২০১৮ তারিখ একনেকে অনুমোদিত হয়। নবনির্মিত ডাক ভবনটিতে থাকছে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিক্যাল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার এ বিষয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৎকালীন ঢাকা জিপিও ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে ডাক অধিদপ্তরের যাত্রা আরম্ভ হয়। তীব্র স্থান সংকটের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা জিপিও ভবন এর তৃতীয় তলায় ডাক অধিদপ্তরের প্রশাসনিক সদর দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ঢাকা জিপিও প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির উর্ধমুখী সম্প্রসারণ এখন সম্ভব নয়। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দাপ্তরিক কর্মপরিবেশ ও গতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল। এ অবস্থায় ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ও নান্দনিক স্বতন্ত্র ডাক ভবন স্থাপন করা ছিল একান্ত জরুরী। এ সংকট নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য আন্তরিকতায় বর্তমান সরকার তাঁর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় উন্নত কর্মপরিবেশ ও প্রশাসনিক কাজে উদ্যম ও গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি স্বতন্ত্র ভবন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি এই অনন্য ভবনটি নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।