a শেখ হাসিনা বলেছিলেন মেট্টোরেল চালু হতে ১ বছর লাগবে, অথচ ৩৭ দিন পর যাত্রী নিয়ে ছুটে চললো মেট্রোরেল
ঢাকা বুধবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

শেখ হাসিনা বলেছিলেন মেট্টোরেল চালু হতে ১ বছর লাগবে, অথচ ৩৭ দিন পর যাত্রী নিয়ে ছুটে চললো মেট্রোরেল


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ২৫ আগষ্ট, ২০২৪, ০৯:৫৩
শেখ হাসিনা বলেছিলেন মেট্টোরেল চালু হতে ১ বছর লাগবে, অথচ ৩৭ দিন পর যাত্রী নিয়ে ছুটে চললো মেট্রোরেল

ছবি সংগৃহীত: মেট্টোরেল, বাংলাদেশ

 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন মেট্টোরেল চালু হতে এক বছর সময় লাগবে। কারন হিসেবে বর্ননা করেন দূর্বত্তরা আগুন দিয়ে এটার যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তা মেরামত করতে এক বছর সময় লাগবে। অথচ ৩৭ দিন বন্ধ থাকার পর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার (২৫ আগস্ট) থেকে যাত্রী সেবা দেওয়া শুরু করেছে মেট্রোরেল। সকাল ৭টা ১০ মিনিট এবং ৭টা ২০ মিনিটে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে দুটি ট্রেন মতিঝিলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এর আগে শনিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৬) অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া জানিয়েছিলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মেট্রোরেলের ট্রায়াল (পরীক্ষামূলকভাবে চালানো) হয়েছে। এতে রোববার মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে ওইদিন বিকাল পাঁচটায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।

নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ১১ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, ১৭ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চালু হবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করবে। তবে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে আপাতত ট্রেন থামবে না। কারণ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় এ দুটি স্টেশন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এরপর ১৫ আগস্ট ডিএমটিসিএল সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৭ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চালু সম্ভব হচ্ছে না বলে জানানো হয়। এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে প্রয়োজনীয় কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি।

ডিএমটিসিএল সূত্রে সম্প্রতি জানা যায়, মেট্রোরেলের লাইন, কোচ ও সংকেত ব্যবস্থা সবই ঠিক ছিল। এরপরও মেট্রোরেল চালু না হওয়ার কারণ ছিল নিচের দিকের কর্মীদের কর্মবিরতি। বড় কর্মকর্তারা বাড়তি সুবিধা নিচ্ছেন, এমন অভিযোগ এনে কর্মবিরতিতে যান মেট্রোরেলের কর্মচারীরা। এ জন্যই কারিগরি কোনো সমস্যা না থাকার পরও মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। পরে কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার পর তাদের দাবি পূরণের বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়।

গত ১৮ আগস্ট সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান সাত দিনের মধ্যে মেট্রোরেল চলাচল শুরুর আশ্বাস দেন। মেট্রোরেলের কর্মচারীরা ২০ আগস্ট থেকে কাজে যোগ দেন। সেই হিসেবে মেট্রোরেল আজ (রোববার) থেকে চালু হলো। সূত্র: ইত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ট্রেনের টিকিট কাউন্টারেই মিলবে ৮ জুন হতে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ০২ জুন, ২০২১, ১০:৩৩
ট্রেনের টিকিট কাউন্টারেই মিলবে ৮ জুন হতে

ফাইল ছবি

বর্তমানে শুধু অনলাইনেই টিকিট বিক্রি হলেও আগামী ৮ জুন থেকে কাউন্টারগুলোতেও পওয়া যাবে ট্রেনের টিকিট। 

বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে মঙ্গলবার (১ জুন) কাউন্টারে টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে বলা হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রীবাহী ট্রেনসমূহের টিকিট ইস্যুর ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রবর্তন করা হয়েছে। আগামী ৮ জুন থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হবে। 
 
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিচালন) শাহাদাত আলী সরদার এ বিষয়ে বলেন, করোনাকালে সরকারি নির্দেশনা অনুসারে, ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করবে যাত্রীবাহী ট্রেন। এখন টিকিট বিক্রি হচ্ছে শুধু অনলাইনে। আগামী ৮ জুন থেকে অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টারেও টিকিট পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, নতুন নির্দেশনা অনুসারে, আগামী ৮ জুন থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের ৫০ ভাগ টিকিট অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে এবং অবশিষ্ট টিকিট রেলওয়ে কাউন্টারে সকাল ৮টা থেকে অগ্রিম ব্যবস্থাপনায় ইস্যু করা হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

বাসর রাতে চিৎকার করেনি ফুলি, রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু



শনিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:৪৭
বাসর রাতে চিৎকার করেনি ফুলি রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু

সময় রাত ২টা ৪৫ মিনিট। ডিউটি ডাক্তার সবে মাত্র বিশ্রা'ম নেয়ার জন্য ঘুম ঘুম চোখে বিছানায়। ইমারজেন্সি থেকে কল আসল। চোখের পাতায় ঘুম ঠেসে, ইমারজেন্সিতে এসে চমকে যাওয়ার মত অবস্থা।

মহিলা রোগী, পরনের চাদর র’ক্তে ভেজা। মুখের রঙ ফ্যাকাসে, সাদা। কাপড় দেখেই বো'ঝা যাচ্ছে নতুন বিয়ে হয়েছে। রোগীর নাম ফুলি (ছদ্ম নাম)। হিষ্ট্রি নেয়ার জন্য ডাক্তার জানতে চাইল, কি হয়েছে?

রোগীর সাথে সদ্য বিবাহিত জামাই, জা এবং আরও ৪/৫ জন এসেছে। ডাক্তারের প্রশ্ন শুনেই রোগীর বর চোরের মত, রুম থেকে বের হয়ে গেল। রোগীর সঙ্গে আসা এক মহিলা তেজের সাথে বলল, ‘ডাক্তার হইছেন, বুঝেন না কেরে, সব বলতে হইবো!’

ওদের গ্রামে গাছের মাথায় বাধা মাইকটিতে একটির পর একটি বিয়ের গান বেজে চলছে। বিয়ে বাড়িতে সবা'ই ব্যস্ত। বর পক্ষের যারা এসেছে, কথা বার্তায় অভিজাত ও ব্যক্তিত্ব দেখানোর চেষ্টায় ব্যস্ত।

দর কষাকষি করার পরে, কনে পক্ষ থেকে যৌতুক হিসেবে যা পাওয়া গেছে, তা নেহাতই কম নয়। কিন্তু কম হয়ে গেছে কনের বয়স। বাচ্চা মেয়ে, নাম ফুলি বেগম, সবে মাত্র ১৪ পেরিয়ে ১৫ বছরে পড়েছে।

মেয়ের বাবাও মোটামুটি ভাবে লাল শাড়ি পড়িয়ে মেয়েকে বিদায় দিতে পেরে খুশি। মেয়ে হলে তো বিদায় দিতেই হবে। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত মেয়েকে পড়িয়েছে। কম কি! তাছাড়া, শোনা যাচ্ছে ছেলেও নাকি ভাল।

বাড়ির উঠোনে বসে মুখে পান চিবোতে চিবোতে ছেলের মামা বলল, ‘এমন ছেলে কো'থায় পাবেন মিয়া। তাছাড়া, ছেলে মানুষের একটু দোষ থাকলেও সমস্যা নেই, বিয়ের পর ঠিক হয়ে যাবে।’

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মেয়েকে নিয়ে আসা হল তার নতুন ঘরে। যে মেয়েটি সবে মাত্র জীবনের সংজ্ঞা শিখতে শুরু করেছে, শৈশব থেকে কৈশোরে পা রাখতে যাচ্ছে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই, তার আজ বাসর রাত।

পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে সতীত্ব যাচাই করার উৎসব। আর বিয়ে তো একটি সামাজিক বৈধতা মাত্র। সমাজ অনেক এগিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিয়ের সময় মেয়ের মতামতটা এখনও গৌন।

মেয়ের যদি মতামত না নেওয়া হয় বা পরিবারের কারও ধমকে মতামত দানের পর বিয়ে হয়, তাহলে তাকে ধ’র্ষণ না বলে উপায় নেই। ফুলির ইচ্ছে করছে, চিৎকার করতে, কিন্তু বাসর ঘরে চিৎকার করা যে উচিত নয়, এতটুকু বুঝতে শিখেছে ফুলি।

হাত পা ছুঁড়ে বরের লালসার যজ্ঞ থেকে বেরিয়ে আসার মিথ্যে চেষ্টা। সমাজ বিধীত ‘বর’, যখন আদিম পশুত্ব থেকে বাস্তবে ফিরে আসে, তখন ফুলি র’ক্তে ভেজা। তখনও ফিনকির মত র’ক্ত যাচ্ছে।

ক্রমান্বয়ে সাদা ফ্যাকাসে হয়ে আসছে মুখের রঙ! ফুলি এখন হাসপাতালের বেডে অ’চেতন হয়ে শুয়ে আছে। তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে, ফুলির চোখ পড়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর।

তারা যে কানাকানি করে কথা বলছিল, ব্যঙ্গাত্মক হাসি তামাশা করছিল। যেন সব দোষ ফুলির। লজ্জায় কারও দিকে তাকাতেও ভ’য় করে। তারপর ইঞ্জিন চালিত গাড়ীর প্রচণ্ড শব্দ।

আরও এলোমেলো কিছু মুহূর্ত। কিছুক্ষণ পর, সাদা এপ্রোন পড়া একজন ডাক্তার এসে তার হাত ধরেছে। মনে আছে শুধু এটুকুই। ডাক্তার নার্সকে সাথে নিয়ে, ফুলি বেগমকে পরীক্ষা করলেন।

ভয়াবহ রকমের পেরিনিয়াল টিয়ার (যৌ’নাঙ্গ ও তার আশপাশ ছিঁড়ে গেছে)। তখনও র’ক্ত যাচ্ছে প্রচুর। হাতে পালস দেখা হল। খুবই কম। জরুরি ভিত্তি'তে রোগীকে র’ক্ত দেয়া দরকার।

জরুরি অবস্থায় অ’পারেশন করে ছিঁড়ে যাওয়া অংশ ঠিক করতে হবে। এই ভয়াবহ সংকটাপন্ন রোগীকে নিয়ে হিমসিম খাওয়ার অবস্থা কর্তব্যরত ডাক্তারের। ম্যাডামকে ফোন করা হল…

প্রাথমিক ভাবে ম্যানেজ করার জন্য র’ক্ত দরকার… রোগীর সাথে যারা এসেছে এতক্ষণ ইমারজেন্সি রুমের সামনে চিল্লা পাল্লা করছিল। ডাক্তার এসে জানালো জরুরি ভিত্তিতে র’ক্ত দরকার।

তখন সবাই চুপ। কেউ কেউ কেটে পড়ার জন্য পাশে সরে গেল। কিছুক্ষণ পর রোগীর লোক জানালো, তারা র’ক্ত জোগাড় করতে পারবে না। যা হয় হবে! ডাক্তার তাদের বুঝানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু লাভ হল না…

রাত সাড়ে তিনটায় ম্যাডাম আসলেন। তার ধমকে শেষ পর্যন্ত তারা র’ক্ত জোগাড় করতে রাজি হল। কিন্তু র’ক্ত আর সেই রা'তে জোগাড় হল না। অ’পারেশন থিয়েটারে ফুলিকে নিয়ে গিয়ে টিয়ার রিপেয়ার করা হল।

সকালে রোগীর শ্বশুরবাড়ির লোক সবাই উধাও। ফুলির বাবা আসলেন সেই ভোরে, র’ক্ত জোগাড় হল কোন রকমে। ছয়দিন পর, রোগীর সেপ্টিসেমিয়া ডেভলপ করলো। ইনফেকশন র’ক্তে ছড়িয়ে গেছে। ভাল অ্যান্টিবায়োটিক দরকার।

রোগীর বাবা এসে বললেন, তারা আর খরচ চালাতে পারবেন না। ডাক্তার পরামর্শ দিলেন, কোন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে, তাহলে ঔষধ কেনার খরচ কিছুটা বাঁচবে।

কিন্তু, হাসপাতাল মানে তো, কাজকর্ম রেখে একজনকে রোগীর পাশে থাকতে হবে। রিলিজ দিয়ে বাসায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন, যা হবার হবে। রিলিজ নিয়ে ফুলিকে বাসায় নেয়া হল।

আরও বেশি অসুস্থ হওয়ায় চারদিন পরে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হল। পরদিন ভোর ভোর সময়। একবার চোখ খুলে আবার বন্ধ করলো ফুলি। সেই বন্ধ শেষ বন্ধ।

এই সমাজের প্রতি ঘৃ’ণায় চোখ জ্বল জ্বল করছিল কি না কেউ দেখতে পারেনি। ভোরের স্বল্প আলোয় বিদায় জানালো জীবনের নিষ্ঠুরতাকে! ফুলি ‘একিউট রেনাল ফেইলরে’ মারা গেছে।

ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ডায়ালাইসিসের জন্য বলা হয়েছিল, তারা রোগী নিয়ে এত ঝামেলা করতে পারবে না। শ্বশুর'বাড়ি থেকে সেই বাসর রাতের পর, কেউ আসেনি। তাদেরই বা এত চিন্তা কি, একটা বউ মরলে দশটা বউ পাওয়া যায়!

ফুলি একা নয়, এ রকম ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। এই ঘটনা গুলো চক্ষু লজ্জার ভয়ে প্রকাশ হয় না। কিন্তু সচেতনতা জরুরি।    লেখাটি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - ভ্রমন

সর্বোচ্চ পঠিত - ভ্রমন

ভ্রমন এর সব খবর