a সিঁড়ি ছাড়াই মেট্রো ট্রেনে উঠা নামা করা যাবে
ঢাকা শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সিঁড়ি ছাড়াই মেট্রো ট্রেনে উঠা নামা করা যাবে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০২১, ১১:২০
সিঁড়ি ছাড়াই মেট্রো ট্রেনে উঠা নামা করা যাবে

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে সাধারণত ট্রেনে উঠতে সিঁড়ির প্রয়োজন হয়। তবে এবার মেট্রো ট্রেনে উঠতে লাগবে না কোন সিঁড়ি। মেট্রো রেলস্টেশনের প্লাটফর্মগুলো সমতল হওয়ায় যাত্রীরা সহজেই প্লাটফর্ম থেকেই ট্রেনে উঠতে পারবেন। মেট্রোরেল প্রকল্পের অধীনে প্রথম ট্রেন চালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাসরুল্লাহ ইবনে হাকিম গণমাধ্যমকে বলেন, ট্রেনের প্রত্যেক কোচের দু’পাশে চারটি দরজা থাকবে। ট্রেন স্টেশনে পৌঁছালে একপাশের দরজা খুলে যাবে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মেট্রো রেল স্টেশন তিন তলা হবে। দ্বিতীয় তলায় টিকিট কাউন্টার। দ্বিতীয় তলা থেকে টিকিট সংগ্রহ করে চলন্ত সিঁড়িতে তৃতীয় তলায় যাবেন। সেখানে যাত্রীদের বসার চেয়ার থাকবে। ট্রেন স্টেশনে এলে উঠবেন যাত্রীরা।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, মেট্রো রেলের দুটি সেট মোংলা বন্দরে চারটি বার্জে নামানো হয়। শুল্ক ও ভ্যাট সম্পর্কিত প্রক্রিয়া শেষে বার্জযোগে মেট্রো ট্রেন সেটগুলো আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকায় উত্তরার ডিএমটিসিএল ডিপোতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন এন ছিদ্দিক গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ চলছে। ঢাকায় আনা দুটি মেট্রো ট্রেনের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা ডিপোর ভেতরে চলছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আজ থেকে ট্রেনের টিকটে কাটতে লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্র


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ০১ মার্চ, ২০২৩, ০৯:০৮
আজ থেকে ট্রেনের টিকটে কাটতে লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্র

ফাইল ছবি

আজ থেকে যাত্রীদের ট্রেনের টিকেট কাটতে লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ। রেলের কর্মকর্তারা পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিনের মাধ্যমে টিকিট যাচাই করবেন।কেউ অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে টিকিট কেটে ভ্রমণ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানানো হয়। এ ব্যবস্থায় বিদেশি নাগরিকদের ট্রেনে ভ্রমণে পাসপোর্ট দেখিয়ে টিকিট নিতে হবে।

রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের মাধ্যমে আন্তনগর ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে এবং  এই ব্যবস্থাকে ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ বলছে রেলওয়ে। টিকিট কালোবাজারি বন্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সরকারি উদ্যোগের অংশ এটি। আজ সকাল সাড়ে আটটায় কমলাপুর রেলস্টেশনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম।

তবে এর মাধ্যমে অনেক যাত্রীই ট্রেনে চড়তে পারবেন না বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। কিছু রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ব্যবস্থায় যাত্রীদের হয়রানি ও কষ্ট বাড়বে। কারণ, এই ব্যবস্থায় টিকিট কাটতে হলে ১২ বছরের বেশি বয়সী দেশের জনসংখ্যার সবাইকে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটতে হলে অন্তত একটি ই-মেইল আইডি লাগবে। কারণ, ই-মেইল আইডি দিয়ে সাইন আপ ছাড়া নিবন্ধন কিংবা টিকিট কাটা যাবে না। আর যাঁরা কাউন্টার থেকে টিকিট কাটবেন, তাঁদেরও আগে থেকে নিবন্ধন থাকতে হবে। এই বিবেচনায় দেশের একটা বড় জনগোষ্ঠী টিকিট কাটার সুযোগই পাবে না।

এই পদ্ধতি চালু হলে অনেক যাত্রীই ট্রেনে চড়তে পারবেন না বলে আশঙ্কা করছেন।

এদিকে নতুন পদ্ধতি চালু হওয়ার খবরে অনলাইন ও কাউন্টারে রেলের অগ্রিম টিকিট নেওয়ার হিড়িক পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আগামী কয়েক দিনের কোনো টিকিট অনলাইনে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া আগামী শনিবার পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট গতকাল বিক্রি হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত যেসব যাত্রী টিকিট নিয়েছেন, তাঁদের ওপর আগামী চার দিনের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি কার্যকর করা সম্ভব নয়। নতুন ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর হতে শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এই পদ্ধতি কার্যকর করা কঠিন হবে। কারণ, আন্তজেলা পর্যায়ে অনেক যাত্রী টিকিটই কাটেন না। আর ট্রেনে পরীক্ষা করার মতো লোকবল নেই। আগের মতো টিটিইদের বাড়তি আয়ের পথ তৈরি হবে।

যাত্রীরা এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন বা পাসপোর্টের মাধ্যমে নতুন ব্যবস্থায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। দেশের বিভাগীয় শহরের রেলস্টেশন ও আন্তনগর ট্রেনের প্রারম্ভিক স্টেশনগুলোতে সর্বসাধারণের নিবন্ধনপ্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্য একটি করে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে বলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সবার সাথে জোট করতে পারলেও জাসদের একাংশ অন‍্য অংশকে সহ‍্য করতে পারেনা: ব্যারিস্টার ফারাহ খান


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১২:২৫
সবার সাথে জোট করতে পারলেও জাসদের একাংশ অন‍্য অংশকে সহ‍্য করতে পারেনা: ব্যারিস্টার ফারাহ খান

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  আমরা যদি আওয়ামীলীগের সাথে জোট করতে পারি, যদি বিএনপির সাথে জোট করতে পারি তবে আমরা জাসদের একাংশ অন‍্য অংশকে সহ‍্য করতে পারিনা কেন? জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সকলকে এই প্রশ্ন ছুড়লেন ব্যারিস্টার ফারাহ খান।

আজ ১৫ ই মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে বরিশাল প্রেসক্লাবে, খুলনা বিভাগের পর এবার বরিশাল বিভাগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সকল অংশকে একত্রিত করার লক্ষ‍্যে মতবিনিময় সভা করেছেন ব্যারিস্টার ফারাহ খান। তিনি স্বাধীনতার রুপকার নিউক্লিয়াস প্রধান জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খান দাদার ভাতিজি। ব্যারিস্টার ফারাহ খান বলেছেন, ১৯৭১ সালে যে স্বপ্নের সোনার বাংলার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি।

আমরা দেখেছি স্বাধীনতার পরে দেশের গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিলো, মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিলো, আমরা দেখেছি সারাদেশে লুটপাট শুরু হয়েছিলো, দেশে এক দলীয় শাষন ব্যাবস্থা কায়েম করা হয়েছিলো। আমরা এমন স্বাধীনতা চাইনি বলেই সিরাজুল আলম খান দাদার নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ গঠিত হয়েছিলো। জাসদ একটি আদর্শের ভিত্তিতে গঠিত হয়েছিলো কিন্তু সেই জাসদ ব‍্যক্তি স্বার্থে বিভিন্ন খন্ডে বিভক্ত হয়ে ব্রাকেট বন্দি জাসদে পরিনত হয়েছে। জাসদ নেতাদের দল নয়, কর্মিদের দল। জাসদের কর্মীরাই অদলের প্রান ভোমরা। তাই জাসদকে আবারো কর্মিদের কাছে ফিরিয়ে নিতে হবে। আমরা কোন অংশের কোন নেতা কে বাদ দিচ্ছিনা কিন্তু আপাতত আমরা নেতাদের ঐক‍্য করবো না। আমরা কর্মীদের ঐক‍্য করবো আগে কারণ আমরা নেতাদের ঐক‍্য হতে দেখেছি ১৯৯৭ সালে, আবার সেই ঐক‍্য আমরা ভাঙতেও দেখেছি বছর ঘুরতে না ঘুরতে যখন নেতাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে। তাই এবার কর্মীদের ঐক‍্যবদ্ধ করতে হবে আগে তারপর নির্চাবনের মাধ‍্যমে কর্মীরা দলের নেতা নির্বাচন করবেন। ব্রাকেট বন্ধি জাসদকে ঐক্যবদ্ধ জাসদে পরিনত করতে হবে।

শনিবার দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে জাতীয় সমাজতান্তিক দল জাসদের বিভক্ত বিভিন্ন গ্রুপের নেতাকর্মিদের সাথে মত বিনিময় সভায়  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পটুয়াখালী জেলা জাসদের প্রবীন নেতা সাবেক সংসদ সদস্য সরদার রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার ১ বছর পর সিরাজুল আলম খান দাদা ভাই একদল তরুন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু আমাদের জন্মলগ্ন থেকে বিভিন্ন সরকার আমাদের উপর বিভিন্ন সময় অন‍্যায় অবিচার করলেও, আমরা কখনো আওয়ামীলীগ কখনো বিএনপি আবার কখনো এরশাদের হাতকে শক্তিশালী করেছি। আমরা নিজেদের হাতকে শক্তিশালী করতে পারিনি। ৭২ সালে আমরা ছিলাম একটা বিশালাকৃতির বট গাছ, ৫৩ বছর পর আমরা হয়ে গেছি পরগাছা। বড় দলের নেতারা আমাদের একটি দুটি আসন দেয় আর আমরা সেই আসন নিয়ে খুশি হয়ে যাই। কিন্তু জাসদই হতে পারতো এই দেশের মুল কান্ডারী।

আমরা দেখি আমরা আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সাথে জোট বেঁধে রাজনীতি করে এলাকায় যেতে পারিনা কিন্তু আমরা অন‍্য দলের দল‍্য কেন শাস্তি ভোগ করবো। জাসদ ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। একটি বা দুটি আসনের জন্য বড় বড় দলের সাথে যুক্ত হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার দরকার নেই। কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন, আমরা যদি বিএনপি-জামাত ও আওয়ামী লীগের সাথে জোট বাধতে পারি তবে কেন আমরা ঐক্যবদ্ধ জাসদ হতে পারবো না, কেন সব ভুল ও মান অভিমান ভুলে নিজেদের ভাইদের সাথে আমরা এক হতে পারবো না। তিনি বলেন আপনারা আমাকে সাহায‍্য করুন। আমাদের জাসদের কোন অংশ বা নেতারা নতুন প্রজন্ম তৈরী করেননি। তিনি আরো বলেন সিরাজুল আলম খান সেটি উপলব্ধি করে নিজে উদ্দ‍োগী হয়ে আমাকে তার জীবদ্দশায় এই দলের রাজনীতিতে প্রবেশ করিয়েছেন। জাসদের ঐক‍্য নিয়ে তাঁর সাথে আমার বিস্তর কথা হতো, আমি উনাকে কথা দিয়েছি আমি জাসদের ঐক‍্য করবো যত বাঁধা আসুক না কেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য ব‍্যারিস্টার ফারাহ খান বলেন আমাকে বাঁধা দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে জাসদেরই ভেতর থেকে। আপনারা আমাকে সাহায‍্য করুন। আমি হেরে গেলে, আমরা হেরে যাবো, এই দল হেরে যাবে, জাসদের লক্ষ লক্ষ কর্মীর স্বপ্ন ভেঙে যাবে। আমার পরে এই প্রজন্মের আর কেউ নেই যে আপনাদের কাছে এমন করে জেলায় জেলায় বিভাগে বিভাগে আসবে এবং জাসদ ঐক‍্যের জন‍্য লড়াই করবে।

কর্মি সভায় বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বরিশাল জেলা জাসদের সাবেক সভাপতি মো: শহিদুল ইসলাম মীরন, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বাদল, বীর মুক্তযোদ্ধা ও জাসদ নেতা আব্দুল বারেক, জেএসডি নেতা সিরাজ উদ্দিন সিকদার, জাসদ নেতা হাসান মাহামুদ দুলাল, জাসদ নেতা চন্দ্র শেখর হালদার, জাসদ নেতা আল আজম খান সহ বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার জাসদের বিভিন্ন গ্রুপের নেতাকর্মিরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সকল নেতাকর্মিরাই দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবন্ধ জাসদ গড়ে তোলার পক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন। অবশেষে ব‍্যারিস্টার ফারাহ খানের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে সকলে স্লোগান ধরেন ‘আমাদের লক্ষ‍্য জাসদের ঐক‍্য।’

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - ভ্রমন

সর্বোচ্চ পঠিত - ভ্রমন

ভ্রমন এর সব খবর