a নিম্নচাপে উত্তাল সাগরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

নিম্নচাপে উত্তাল সাগরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত


আবহাওয়া ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২, ১২:২৭
নিম্নচাপে উত্তাল সাগরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

ছবি: সংগৃহীত

পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে সাগর উত্তাল রয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে উপকূল। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মােংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুরোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর চার) বলা হয়েছে, ‘গভীর নিম্নচাপটি আজ রবিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মােংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।’

‘গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়াে হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।’

‘গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০-৫০ কি.মি. বেগে দমকা/ ঝড়াে বাতাস বয়ে যেতে পারে, সেইসাথে ভারি (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারি (৮৯ মি.মি.) বর্ষণ হতে পারে।’

‘গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশ, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরােজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভােলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নােয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৩-০৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।’

‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

দেশের ৭ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস


আবহাওয়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ, ২০২৩, ১২:০৬
দেশের ৭ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস

ফাইল ছবি

দেশের ৭ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাত জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়া গেছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দুপুর ১টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সূত্র:বিডিপ্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ড. আলাউদ্দিন আল আজাদের আজ জন্মদিন


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
বৃহস্পতিবার, ০৬ মে, ২০২১, ০৭:৪৮
ড আলাউদ্দিন আল আজাদের আজ জন্মদিন

ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ । ফাইল ছবি

 

বাংলাদেশ ও বিশ্বের সাহিত্য ভাণ্ডারে আলাউদ্দিন আল আজাদ এক বিশেষ শ্রদ্ধেয় নাম। ভাষাসৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট কবি, সব্যসাচী লেখক, শিক্ষাবিদ ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। আলাউদ্দিন আল আজাদ বাংলাদেশের তথা সারা বিশ্বের সাহিত্য জগতের দীপ্তিমান প্রতিভা, মহান ব্যক্তিত্ব ও স্বকীয় মহিমায় উদ্ভাসিত এক নিরীক্ষাধর্মী সাহিত্যশিল্পী।

আলাউদ্দিন আল আজাদ ১৯৩২ সালের ৬ মে বৃহত্তর ঢাকার বর্তমানে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার রামনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা গাজী আব্দুস সোবহান এবং মাতার নাম মোসাঃ আমেনা খাতুন। আলাউদ্দিন আল আজাদ অভিজাত, বনেদি ও সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্ম নিলেও শৈশবটা তেমন সুখকর ছিল না। মাত্র দেড় বছর বয়সে মাকে হারান এবং দশ বছর বয়সে বাবা ইন্তেকাল করেন। আর তখন থেকেই শুরু প্রায় সর্বহারা আজাদের সংগ্রামশীল জীবনের।  

আলাউদ্দিন আল আজাদ ছিলেন প্রগতিশীল লেখক, বামপন্থী চিন্তাধারা ও কর্মকাণ্ডের সাথে তিনি নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। বামপন্থী রাজনৈতিক-সামাজিক আন্দোলনে এবং প্রগতিশীল সাহিত্য-আন্দোলনে আলাউদ্দিন আল আজাদের সাহসী ভূমিকা আজ অনেকেই ভুলে গেছেন। কিন্তু পথে-মাঠে-ময়দানে ও শিল্পকর্মে আলাউদ্দিন আল আজাদ মার্ক্সসীয় ভাবধারাকে সমুন্নত রাখার জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন। আলাউদ্দিন আল আজাদ তার প্রকৃত নাম নয়। আলাউদ্দিনের সাথে যুক্ত হয়েছে লেখক নাম 'আল আজাদ'। আর তাঁর ডাক নাম ছিল 'বাদশা'। শৈশবে তিনি বাবা-মাকে হারান; আর এখান থেকেই শুরু হয় তার জীবনসংগ্রাম। গ্রামজীবনের কৃষিভিত্তিক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা ছিল তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী।

আলাউদ্দিন আল আজাদ ১৯৪৯ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে অইএ পাস করেন। ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম এবং ১৯৫৪ সালে প্রথম শ্রেণীতে এমএ পাস করেন। ১৯৫৫ সালে তোলারাম কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ঈশ্বরগুপ্তের জীবন ও কবিতা বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। 

পরবর্তীকালে সিলেট এমসি কলেজ, চট্টগ্রাম কলজসহ পাঁচটি সরকারি কলেজে অধ্যাপনা এবং পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপালও ছিলেন। পেশাগত জীবনে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাসে সংস্কৃতি উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিব, সংস্কৃতিবিষয়ক বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সাহিত্যের সকল ক্ষেত্রেই ছিল তার পদচারণা। তাঁর রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৪৯টি। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহঃ

১। তেইশ নম্বর তৈলচিত্র (১৯৬০),
 ২। শীতের শেষরাত বসন্তের প্রথম দিন (১৯৬২), 
৩। কর্ণফুলী (১৯৬২),
 ৪। ক্ষুধা ও আশা (১৯৬৪),
 ৫। খসড়া কাগজ (১৯৮৬), 
৬। শ্যাম ছায়ার সংবাদ (১৯৮৬), 
৭। জ্যোৎস্নার অজানা জীবন (১৯৮৬), 
৮। যেখানে দাঁড়িয়ে আছি (১৯৮৬), 
৯। স্বাগতম ভালোবাসা (১৯৯০), 
১০। অপর যোদ্ধারা (১৯৯২), 
১১। পুরানা পল্টন (১৯৯২), 
১২। অন্তরীক্ষে বৃক্ষরাজি (১৯৯২), 
১৩। প্রিয় প্রিন্স (১৯৯৫), 
১৪। ক্যাম্পাস (১৯৯৪), 
১৫। অনূদিত অন্ধকার (১৯৯১), 
১৬। স্বপ্নশীলা (১৯৯২), 
১৭। কালো জ্যোৎস্নায় চন্দ্রমল্লিকা (১৯৯৬),
 ১৮। বিশৃঙ্খলা (১৯৯৭)

গল্প গ্রন্থঃ 
১। জেগে আছি,
২। ধানকন্যা, 
৩। মৃগনাভি,
৪। অন্ধকার সিঁড়ি,
৫। উজান তরঙ্গে, 
৬। যখন সৈকত, 
৭। আমার রক্ত স্বপ্ন আমার

কাব্য গ্রন্থঃ 
১। মানচিত্র, 
২। ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ, 
৩। সূর্য জ্বালার স্বপন,
৪। লেলিহান পান্ডুলিপি

নাটকঃ
১। এহুদের মেয়ে, 
২। মরোক্কোর জাদুকর,
৩। ধন্যবাদ, 
৪। মায়াবী প্রহর, 
৫। সংবাদ শেষাংশ। 

রচনাবলীঃ শিল্পের সাধনা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর লেখা বই "ফেরারী ডায়েরী (১৯৭৮)"

দেশবরেণ্য এই গুণীকবি বিভিন্ন সময় নানান ধরনের পুরস্কার লাভ করেছেন তার ভিতর উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:
বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৬৪, ইউনেস্কো পুরস্কার ১৯৬৫, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৭৭, আবুল কালাম শামসুদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৩, আবুল, মনসুর আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৪, লেখিকা সংঘ পুরস্কার ১৯৮৫, রংধনু পুরস্কার ১৯৮৫, অলক্তা, সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৬, একুশে পদক ১৯৮৬, শেরে, বাংলা সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৭, নাট্যসভা ব্যক্তিত্ব, পুরস্কার ১৯৮৯, কথক একাডেমী পুরস্কার ১৯৮৯ এবং
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণ পদক ১৯৯৪।

দেশবরেণ্য এই কবি ২০০৯ সালের ৩রা জুলাই মৃত্যুবরণ করে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - কৃষি ও আবহাওয়া