a
ছবি সংগৃহীত
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজও দেশজুড়ে চলমান কারফিউ শিথিল থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। অপরদিকে, বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে সকল সরকারি-আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার সংক্রান্ত সহিংসতার পর গতকাল থেকে কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে এবং জনমনেও স্বস্তি নেমে এসেছে। গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) বিকাল ৫টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়। বর্তমান প্রজন্ম কারফিউ সম্পর্কে অনেকটা অপরিচিত, তাই এটি সম্পূর্ণভাবে না উঠা পর্যন্ত তাদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে।
আজও অফিস খোলা থাকবে গতকালের ন্যায় সকাল ১১ থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারা দেশে যখন ছাত্রদের সাথে সকল পেশাজীবি জনগণ ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে পড়লে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে গেলে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি, বিজিবি ও সর্বশেষে পরিস্থিতি বেসামাল হলে সেনাবাহিনী নামেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। উল্লেখ্য, ছাত্র/ছাত্রীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেশী-বিদেশী কিছু দূষ্কৃতিকারী এসব আন্দোলনের মাঝে ঢুকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনায় ধ্বংস ও অগ্নিসংযোগ করে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিসাধন করে। এসব অপূরণীয় ক্ষতি সাধনে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের ধরতে আইন-শৃংখলা বাহিনী চিরুনী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।
কারফিউ শিথিলের সময় সারাদেশে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার পাশাপাশি তৈরি পোশাক শিল্প কারখানাগুলোও খোলা রাখা হবে।
এদিকে কারফিউ শিথিলের সময়গুলোতে সড়ক-মহাসড়কে চলছে দূরপাল্লার যানবাহন। রাজধানীতে আসা-যাওয়া করছে পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ও যাত্রীবাহী বাস। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃংখলা রক্ষাবাহিনী সতর্কতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদকে খাটো করতে বিএনপি মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিল বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ বক্তব্যকে ‘ঘৃণ্য মন্তব্য’ দাবি করেছেন বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অল্প ভোটে হেরে যাওয়া এই স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক)।
শনিবার রাত ৯টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, 'আমার কথা আমাকে বিএনপি কেন দাঁড়িয়ে দিবে? তাহলে তো আমি বিএনপির সাইনবোর্ড নিয়ে ভোট করতাম। ভোটকেন্দ্রে দেখছেন বিএনপির কোন নেতা আমাকে সাহায্য করেছে। তারা কি মাঠে আমার পাশে ছিল? ছিলনা। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করেছি। আমাকে কিন্তু বিএনপি ভোটে দাঁড় করিয়ে দেয়নি।'
তিনি আরও বলেন, 'ওবায়দুল কাদের বলেছেন হিরো আলম জিরো হয়েছেন। এটা তিনি ভুল বলেছেন। হিরোকে কেউ কোনদিন জিরো বানাতে পারে না। হিরো হিরোই থাকে। কারণ আমাকে জিরো কেউ বানাতে পারেনি, পারবেও না। হিরোকে যারা জিরো বানাতে এসেছে তারাই জিরো হয়েছে।'
বিএনপির কাঁধে ভর করে হিরো আলম এসেছেনে এ কথাও ওবায়দুল কাদেরের ভুল বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, হিরো আলম কারো কাঁধে ভর করে চলে না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলেন, 'এই সরকার অসহায় হয়েছে কিনা তা আমি জানিনা। কিন্তু হিরো আলম অসহায় হয়েছে।'
হিরো আলম বলেন, 'আমার যে ভোট, ভোটের ফলাফল যে কেড়ে নেওয়া হল সেই বিচার আমি কার কাছে দিবো? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি বিচার দিলাম, আমার ভোট সুষ্ঠুভাবে হলো কিন্তু আমার ভোটের ফলাফল সুষ্ঠুমতো দেওয়া হলো না কেন।'
তিনি বলেন,'অনেকে বলছেন, পার্লামেন্টকে ছোট করা হবে, হিরো আলম নির্বাচন করলে...। তাহলে পার্লামেন্টে যেতে হলে কিছু আইন করতে হবে। যার যোগ্যতা নেই সে যেতে পারবে না। যার লেখাপড়া নেই সে সংসদে যেতে পারবে না।'
তিনি বলেন, 'আর একটা বিষয়ে আইন করছেন। যারা ভোট করবে স্বতন্ত্রভাবে তাদের ১ শতাংশ ভোটার তালিকা লাগবে। যদি তাই হয়, তাহলে দলীয়ভাবে যারা করবে তাদের ১ শতাংশ লাগে না কেন? আইন সবার জন্য সমান। তাহলে আইন চেঞ্জ করতে হবে। যারা দলীয়ভাবে বা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন, তাদের সবার ১ শতাংশ ভোটার তালিকা দিতে হবে। না হলে ১ শতাংশ তুলে দিতে হবে।'
লাইভে হিরো আলম সবার উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম চ্যালেঞ্জ করছি সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। প্রতি সেন্টারে সিসি ক্যামেরা দেন। বুথে সিসি ক্রামেরা দেন। ইভিএম দিবেন না। কারণ ইভিএম হলো চোর। বাইরের দেশে ইভিএম ডাস্টবিনে ফেলে দিছে। সেটা আমাদের দেশ কুড়িয়ে নিয়ে এসে ভোট করছে। এখানেও কারচুপি হয়। ইভিএমের টিপি মারলে একটায় যায় আরেকটায়।’
লাইভের শেষের দিকে তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম কোনো দলের সাথে জড়িত না। না বিএনপি, না আওয়ামী লীগ, না অন্য কোনো দল। তাই আপনারা আমাকে নিয়ে কোনো মাখামাখি করবেন না। আপনারা একজন আরেকজনকে দোষ দিবেন না আমাকে নিয়ে।’ সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সফররত বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডে। আজ বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ করেন বেলজিয়ামের রানি।
এর আগে গতকাল কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন বেলজিয়ামের রানি।
তিন দিনের সফরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছান বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান ।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অ্যাডভোকেট (দূত) হিসেবে বাংলাদেশ সফরে এলেন তিনি। মাথিল্ডে বেলজিয়ামের প্রথম রানি যিনি ঢাকা সফরে এলেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন