a
ফাইল ছবি
মাগুরা সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নে নির্বাচন পূর্ব সহিংসতায় ৪ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকালে জগদল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুই মেম্বার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।
আগামী ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও সৈয়দ হাসানের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে আজ শুক্রবার বিকালে নজরুল সমর্থকরা রহমান মোল্যা (৫৪), সবুর মোল্যা (৫২), কবির মোল্যা (৫০) কে কুপিয়ে হত্যা করে।
পরবর্তীতে সৈয়দ হাসানের সমর্থকরা নজরুল গ্রুপের ইমরান হোসেনকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় দু'পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় ৬ জনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত সবুর মোল্যার স্ত্রী মিরিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, নজরুল ইসলাম তার স্বামী সবুর মোল্যাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করেছে। সে আগে বিএনপি করতো। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে এলাকায় প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
জগদল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জানান, মেম্বার প্রার্থী নজরুল ও সৈয়দ হাসানের মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েক বার সালিস বৈঠকও হয়েছে।
জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, এক মাস আগে মাগুরা সদর থানায় নজরুল ইসলাম ও সবুর মোল্যাকে ডেকে নিয়ে সালিস বৈঠক করা হয়। সেখানে দু'পক্ষই কোন সহিংসতায় জড়াবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে আবার তারা এ সংঘর্ষে জড়িয়েছেন।
চট্টগ্রামের একটি নির্মাণাধীন ভবন নাশকতার আশঙ্কায় ঘিরে রেখেছে পুলিশ। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সামনের ওই ভবনটি থেকে বোমা সদৃশ বস্তুসহ বিপুল সংখ্যক লাঠি ও মশাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এগুলোকে উদ্ধারের পর ওই ভবনটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের ধারণা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে নাশকতা সৃষ্টির জন্য এসব মজুদ করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গোপন সংবাদ পেয়ে ওই নির্মাণাধীন ভবনটিকে ঘিরে ফেলে প্রতিটি তলায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। এসময় দৌড়ে পালাতে গেলে আটক করা হয় একজনকে। এদিকে তল্লাশির সময় তৃতীয় তলার একটি কক্ষে বিপুল সংখ্যক মশাল পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়াও ওই একই কক্ষের পিলারের পাশে ব্যাগের মধ্যে বোমা সদৃশ বস্তু দেখে খবর দেয়া হয় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে।
সিএমপির চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতেই ঘটনাস্থলে যান পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে নাশকতা সৃষ্টির জন্য এসব প্রস্তুত করা হচ্ছিল বলে ধারণা করছেন তারা।
সিএমপির উপ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক এ বিষয়ে জানান, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ঠিক উল্টো পাশেই ভবনটির অবস্থান। পুলিশ ভবনটি ঘিরে রেখেছে।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: এখনি সময় সংস্কার পন্থি সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগণকে একই ছাতার নিচে একত্রিত করে সংস্কার তথা পরিকল্পিত সংস্কারের মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দবস্তু, সুপ্রতিষ্ঠিত করে নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানে অগ্রণী ভূমিকা রাখা। "সংস্কার বিহীন নির্বাচন, গণতন্ত্র যাবে নির্বাসন" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সংস্কার পার্টি এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির উদ্যোগে গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ, সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে, (তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল, ২য় তলায়) আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ডঃ দিলারা চৌধুরী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেঃ জেনারেল আমিনুল করিম (অব) বিশিষ্ট অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনাল (BUP) ঢাকা। উক্ত আলোচনা আনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মেজর আমীন আহমেদ আফসারী (অব), নির্বাহী সভাপতি বাংলাদেশ সংস্কার পার্টি এবং আহ্বায়ক, জাতীয় সংস্কার জোট।
উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব, রাজনিতীবিদ, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি, সামাজিক সংগঠক, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, সামরিক ও বেসামরিক অবসরপ্রাপ্ত/সাবেক কর্মকর্তা, রাষ্ট্রচিন্তক ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বরের বিজয়ের পর থেকে ৫ আগষ্ট ২০২৪ এর বিজয়ের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশর রাজনৈতিক, বৈশ্বিক সম্পর্ক, অর্থনীতি ও দেশ পরিচালনার সাফল্য ও ব্যর্থতার কথা আমারা সবাই জানি। ৫ আগষ্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবী বিজয়ের পর রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। উন্নয়ন না গণতন্ত্র! কতটুকু উন্নয়ন, কতটুকু গণতন্ত্র, উন্নয়ন আগে না গণতন্ত্র আগে? এ বিতর্ক আমরা স্বৈরতন্ত্রের কৌশল হিসেবে ৫ আগষ্টের পূর্ব পর্যন্ত শুনেছি।
৫ আগষ্টের পর শুনছি সংস্কার আগে নাকি নির্বাচন আগে? কতটুকু সংস্কার আর কবে নির্বাচন? ইত্যাদি বহুমুখী আলোচনায় আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন ও বিজয়ের নায়কদের আত্মদান ও শহীদের রক্তের অবদান কি ভুলতে বসেছি? ক্ষমতার মোহে আর আন্দোলনের কৃতিত্ব ভাগাভাগি করতে গিয়ে আমরা কি সংস্কার ও বিজয়ের ফসল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা ভুলতে বসেছি? আমরা কি পুনরায় আমরা আবার অন্ধকেরের দিকে ধাপিত হচ্ছি। এসব বিষয় নিয়েই হবে, আজকের আলোচনা।
বাংলাদেশ সংস্কার পার্টি মনে করে - "সংস্কার বিহীন নির্বাচন, গণতন্ত্র যাবে নির্বাসন"। সংস্কার কি ও কেন? কে করবে সংস্কার? কত দিন হবে এর ব্যাপ্তি? কি হবে নেতৃত্বের গঠন এবং কর্মপন্থা সবই নির্ধারিত হবে, প্রকৃতি গণতান্ত্রিক পন্থায় আলোচনার মাধ্যমে।
আসুন দেশের কথা ভাবি। ভবিষ্যৎ পজন্মের জন্য রেখে যাই এক অভূত পূর্ব "নতুন বাংলাদেশ"। প্রস্তাবিত এই প্রকৃত সংস্কার আন্দোলনে আপনি ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সকলকে সাদর আমন্ত্রন জানাচ্ছি।