a
সংগৃহীত ছবি
কুমিল্লা জেলা সদর দক্ষিণে বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (১৮ জুন) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সুয়াগাজী জোরকানন ইউটার্নে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
কুমিল্লার ময়নামতি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ঢাকা যাচ্ছিল। শুক্রবার (১৮ জুন) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সুয়াগাজী জোরকানন ইউটার্নে পৌঁছালে প্রাইভেটকারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী ছিলেন।
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে একটি বাণিজ্যিক ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
রবিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে প্রিয়াঙ্গন শপিং মলের পাশের ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এতে তিনতলা ভবনটির আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন-শফিকুজ্জামান, আব্দুল মান্নান ও তুষার। আহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-পথচারী খাইরুল, একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হান্নান ও শিক্ষার্থী পায়েল। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ, পপুলার হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. শাজাহান সিকদার।
ফাইল ছবি
ভারতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বিপর্যয় নামিয়ে এনেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশটি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৫ জনের। আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৭ জন। স্বাস্থ্য খাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি।
তাছাড়া মৃত্যুর পর লাশের সৎকার নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছে ভারত। করোনায় দিল্লিতে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৭০০-তে পৌঁছে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, শিগগিরই এ সংখ্যা হাজার ছাড়াবে শ্মশানের বাহিরে রাস্তায় টোকেন নিয়ে মরদেহের দীর্ঘ লাইন। শুধু মাত্র আগুন পেতেই ২০ ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় মরদেহ ছিঁড়ে খাচ্ছে কুকুর। মৃতের স্বজনেরা শ্মশানের দরজায় দরজায় ঘুরে জায়গা না পেয়ে স্রেফ বরফ চাপা দিয়ে ৪৮ ঘণ্টাও বাড়িতে মরদেহ রেখে দিচ্ছেন।
দিল্লির সুভাষনগর শ্মশানে টিনের চালের নিচে সারি সারি চিতা জ্বলছে। উড়ছে ছাই। এমনিতে নতুন নয় এই দৃশ্য। সেই ছাই উড়ে পড়ছে পাশের যে চাতালে? সেই চাতাল ধরেই এখন মরদেহের সর্পিল রেখা। এক ঝলক তাকালেই মাচার সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা অন্তত ১৫-২০টি দেহ চোখে পড়ছে। প্লাস্টিকের থলিতে মরদেহ মোড়া রয়েছে। তার ওপর নাম, নম্বর লেখা। হাতছাড়া হওয়ার ভয় নেই। পোড়া দেহের গন্ধ এবং ধোঁয়া থেকে বাঁচতে মাঝে মধ্যেই বাহিরে ঘুরে আসছেন মৃতের স্বজনদের অনেকে। সূত্র: দ্য হিন্দু, আনন্দবাজার