a
সংগৃহীত ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেখান থেকে বাঁচতে ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন অনেকে। অনেকে ভেতরে আটকা পড়েন।
বৃহস্পতিবার বিকালে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।
এ ঘটনায় মিনা আক্তার (৪০) ও স্বপ্না রানী (৩৩) নামে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। স্বপ্না সিলেটের যথি সরকারের স্ত্রী। মিনা আক্তার রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল নতুনবাজার এলাকার হারুন মিয়ার স্ত্রী। নিহত স্বপ্না রানীর মেয়ে বিশাখা রানীও এখানেই কাজ করেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক শ্রমিক। এর মধ্যে ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে রূপগঞ্জের ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজে ১৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
সেজান জুস ফ্যাক্টরি নামে পরিচিত হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় ভবনের ছাদে আটকে পড়া ১২ জন শ্রমিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
আগুনে দগ্ধ ও ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত স্বপ্না, মানিক, আশরাফুল, সুমন, মোরছালিন, সজিব, মেহেদী, মুন্না, মাজেদা, রুমা, মনোয়ারা, নাদিয়া, আছমা, মারিয়া, রুজিনা, সুমা, শফিকুল, সুফিয়া, সুজিদা, পারুল, রওশন আরা, শ্যামলাকে রূপগঞ্জের কর্ণগোপ ইউএস বাংলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া নাহিদ, মনজুরুল, দ্বীপা, মহসিন, আব্দুর রহমান, আবু বক্কর, আমেনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফ্যাক্টরির ছয়তলা বিশিষ্ট ভবনের তৃতীয়তলা থেকে গ্যাস লাইন লিকেজ কিংবা বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ভবনের সব ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ফ্যাক্টরির কাঁচামাল, উৎপাদিত পণ্য ও মূল্যবান সামগ্রীসহ বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়।
খবর পেয়ে কাঞ্চন, পূর্বাচল, ডেমরা, আড়াইহাজার, আদমজী ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুনে ভবনের বিভিন্ন তলায় ফ্যাক্টরির কর্মচারী ও কর্মকর্তারা আটকা পড়ে। কেউ কেউ লাফিয়ে নিচে পড়ে আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ সময় মহাসড়কের উভয়পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া আগুনে নিহতের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে শ্রমিকরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে আহত হন।
ফ্যাক্টরির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কারখানার গ্যাস লাইন লিকেজ কিংবা বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ নুসরাত জাহান ও রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ফাইল ছবি
অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করেছে রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহকে (৫০)। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে নয়টার দিকে কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্প-১-এর উয়েস্ট’ ডি-৮ ব্লকে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কুতুপালং ক্যাম্পে কর্মরত-৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কমান্ডার (পুলিশ সুপার ) শিহাব কায়সার খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, মুহিবুল্লাহ মিয়ানমারের আরকান মংডু এলাকার মৌলভী ফজল আহম্মদের ছেলে। তিনি ‘আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইট’(এআরএসপিএইচ) -এর চেয়ারম্যান ছিলেন।
রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে এপিবিএন-এর এসপি শিহাব কায়সার খান বলেন, ‘এশার নামাজের পরে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন। রাত পৌনে নয়টার দিকে একদল অস্ত্রধারী অকস্মাৎ এসে মুহিবুল্লাহকে লক্ষ করে পরপর ৫ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সাধারণ রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় এপিবিএনের সদস্যরা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কুতুপালং এমএসএফের হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুহিবুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন। ৫ রাউন্ড গুলিতে তিনটি তার বুকে বিঁধেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। পরে নিহতের লাশ উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।’
ফাইল ছবি। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়েছে। জানা গেছে, গত রবিবার বিজয় সরণি সিগনালে এ ঘটনা ঘটে। মন্ত্রী অফিস শেষে বিজয় সরণি হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বিজয় সরণি সিগন্যালে মন্ত্রীর গাড়িবহর জ্যামে আটকে ছিল। গাড়ির গ্লাস নামিয়ে ফোনে কথা বলার সময় এক ছিনতাইকারী ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় মন্ত্রীর গানম্যান ছিনতাইকারীকে ধরার চেষ্টা করলেও ধরতে পারেনি।
আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী নিজেই। তিনি বলেন, ফোনে কথা বলার সময় ছিনতাইকারী হাত থেকে টান দিয়ে ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। ফোনটি আমার ছেলে কিনে দিয়েছিল। ঘটনার দিন রাত ৮টায় কাফরুল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিমুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, গত ৩০ মে সন্ধ্যায় পরিকল্পনা কমিশন থেকে মন্ত্রী বিজয় সরণি যাচ্ছিলেন। তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন, গাড়ির জানালা খোলা ছিল। সে সময় ফোনটি ছিনতাই হয়। ঘটনার পরে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এখনো ফোনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ তদন্ত করছে, শীঘ্রই উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে জানান।