a
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের মানববন্ধন। ফাইল ছবি
মোসারাত জাহান মুনিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার একমাত্র আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম নামের দুটি সংগঠন।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠন দুটির নেতারা মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এ দাবি জানান।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের নেতারা বলেছেন, অবিলম্বে মোসারাত জাহানের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করতে হবে। মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের সায়েম সোবহানকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। একই সঙ্গে এর সঙ্গে যারা যারা জড়িত, তাঁদের সবােইকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম নামের সংগঠনটির সভাপতি মেহেদী হাসান মানববন্ধনে বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর কোথায় আছেন, সেটি সবাই জানতে চায়। তিনি যদি লুকিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। আর যদি পালিয়ে যান, সেটা আমাদের জাতির ব্যর্থতা। সরকারের ব্যর্থতা। আমরা জেনেছি, নিহত মুনিয়ার বোনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর পরিবার জীবনের নিরাপত্তা পাচ্ছে না।’
কুমিল্লার মেয়ে উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী মোসারাত জাহানের মৃত্যু নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম নামের সংগঠনটির নেতারা।
মেহেদী হাসানের অভিযোগ, মুনিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর চরিত্র হননের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। একটি মহল অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মুনিয়ার মৃত্যু নিয়ে সঠিক সংবাদ যাতে প্রচার না হয় তারও চেষ্টা করা হচ্ছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা রেজ্জাকুল হায়দার, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দীপাবলি, হাবিবুল্লাহ মেজবাহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তাঁর বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন।
আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় আগাম জামিন পেতে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। তবে উচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের বিধি ও চলমান সর্বাত্মক লকডাউনে সরকারি বিধিনিষেধের কারণে এ মুহূর্তে কোনো ধরনের আগাম জামিন আবেদন শোনা যাবে না বলে অভিমত জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অভিমত জানান। সূত্র: প্রথম আলো
সংগৃহীত ছবি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের (লকডাউন) মেয়াদ আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।
লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া আগের মতো জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউন চলাকালীন সময়ে ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। সেই মেয়াদ শেষ হয় গত বুধবার (২১ এপ্রিল) মধ্যরাতে। তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপ থাকায় লকডাউনের মেয়াদ আগামী ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আজ আরেক দফা বাড়িয়ে ৫ মে মধ্যরাত পর্য়ন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ৮৯১ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৬০২৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৫ জন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪৮৫৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৬ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।