a
ফাইল ছবি
গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ৫ ম্যাচ টিটুয়েন্টি সিরিজের ২ ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টিম টাইগার। দ্বিতীয় ইনিংসে মামুলি টার্গেট পেয়েও ধরাশয়ী হয়েছে অজিরা। বাংলাদেশে পক্ষে একরকম ম্যাজিক্যাল বোলিং উপহার দিয়েছেন মুস্তাফিজ দ্যা কাটার মাস্টার। যদিও উইকেট পায়নি তবু তার বোলিং ছিল চোখ ধাধানো ৪ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন মাত্র ৯ রান তার ভিতর ডট বল ছিল ১৫টি।
অন্য এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাহাতি বোলরদের মধ্য সবার চেয়ে এগিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান মিচেল স্টার্কের চেয়েও এগিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান।
বাহাতি পেসারদের মধ্যে মুস্তাফিজই বর্তমানে সেরা বোলার। মুস্তাফিজের ৪৫ ম্যাচে ৬৬ উইকেট আর স্টার্কের ৪১ ম্যাচে ৫১ উইকেট। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ৫৯ উইকেট নেওয়া মোহাম্মদ আমির।
মুস্তাফিজের এমন নজরকাড়া পারফরম্যান্সে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ওয়াসিম জাফর তার টুইটারে ফিজকে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন ফিজের ১৯ তম ওভারেই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ।
টাইগারদের ব্যাটিংকোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স টুইট করে বলেছেন "যদি তুমি বিশ্বাস করো তাহলেই তুমি অর্জন করতে পারবে"
বিসিবি প্রেসিডেন্ট নামজুল হাসান পাপন বলেন মুস্তাফিজের ওভারটা ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট এবং আমাদের বিশ্বাস ছিলো ও ভালো করবে আর সেটাই সে করেছে।
ফাইল ছবি
বনেদী ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট হচ্ছে টি-টুয়েন্টি যেখানে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার রাজত্ব বহু পুরনো। কিন্তু পরাজয় যেন পিছু ছাড়ছে না অজিদের, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে সীমিত পরিসরের সিরিজের হার চলমান রয়েছে বাংলাদেশেও এ নিয়ে হতাশায় দিন কাটছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট প্রেমিদের মনে। তাদের এ হতাশা বহুগুনে বাড়িয়ে দিচ্ছে সরাসরি খেলা দেখতে না পারার আক্ষেপ। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় দীর্ঘ ২৭ বছর পর জাতীয় দলের ম্যাচ দেখতে না পেরে ক্ষিপ্ত দেশটির ক্রিকেট ভক্তরা।
গত ২৭ বছরে এই প্রথম জাতীয় দলের কোন ম্যাচ দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্বদেশী দর্শকরা। বিষয়টি নিয়ে একরকম রসিকতা করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পোস্ট করে সঠিক লিংক চেয়েছেন অজি মারকুটে ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
তিনি তার পোস্টে বলেন আমি কি বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের লিংক পেতে পারি? তার সেই টুইটের কমেন্ট সেকশনে তখন জমা হতে শুরু করে অসংখ্য অবৈধ স্ট্রিমিং লিংক।
অস্ট্রেলীয় দলের ১৯৯৪ সালের পাকিস্তান সফর ছিল সর্বশেষ সিরিজ যেটা কোন টিভি চ্যানেলে দেখতে পারেনি স্বদেশী দর্শকরা। গত ২৭ বছরে অস্ট্রেলিয়ার সিংহভাগ ক্রিকেট ম্যাচই সম্প্রচার করেছে টেলিভিশন কোম্পানি ফক্সটেল। সম্প্রচারের বেলায় বলতে গেলে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের মেরুদণ্ডই ফক্স।
২০১৮ সালে ১১৮ কোটি ডলারের বিশাল এক চুক্তিতে ৬ বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সকল হোম সিরিজ এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের সত্ত্ব কিনে নেয় ফক্সটেল। এই চুক্তির পর থেকেই বাইরের সিরিজগুলোর জন্য একটু হিসেব করে খরচ করা শুরু করে তারা। প্রতিটি সফরের আগেই আয়োজক দেশের বোর্ডের সাথে একরকম দামাদামিতে লিপ্ত হয় ফক্সটেল। কম হাইপ থাকা সিরিজগুলোয় সেই দামাদামি একেবারে চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে।
মে মাসে এই সিরিজের সূচি ঘোষিত হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ফক্সটেলের কাছে সিরিজ সম্প্রচার বিষয়ক চুক্তির জন্য নিজে থেকে প্রস্তাব পেশ করে। তাদের সেই প্রস্তাবকে একদম পাত্তাই দেয়নি ফক্স।
বাংলাদেশে আসার আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করে এসেছে অজিরা। সেই সিরিজের চুক্তির সময়ও একইরকম গড়িমসি করেছে ফক্স। সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু হওয়ার মাত্র দুইদিন আগে উইন্ডিজ বোর্ডের সাথে সম্মতিতে আসে তারা।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া পরবর্তী সময়ে এই সিরিজ ইউটিউবে সম্প্রচারিত হবে এরকম ইঙ্গিত দিলেও গতকাল অস্ট্রেলিয়ার কোথাও ইউটিউবেও স্ট্রিম হয়নি এই ম্যাচটি। অস্ট্রেলিয়ায় ২৭ বা তারচেয়ে কম বয়সী কোন ক্রিকেট ভক্তই এর আগে এরকম ব্ল্যাকআউটের শিকার হয়নি।
এমন আক্ষেপের দিনে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিপ্ত অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ ক্রিকেট ভক্তরা। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ভালোই ক্ষোভ ঝেড়েছেন তারা। সম্প্রচারকদের এমন বিলাসিতার সমালোচনা করেছে কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রও।
সংগৃহীত ছবি
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) কোষাধ্যক্ষ পদে অবসরপ্রাপ্ত (পি আর এল) একজন অতিরিক্ত সচিবকে নিয়োগ দেওয়ায় এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শুক্রবার (৭মে) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে এ নিন্দা জানানো হয়।
প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান বিতরণ ও জ্ঞান সৃষ্টির স্থান। একজন কোষাধ্যক্ষ ভাইস চ্যান্সেলরের সাথে সমন্বয়পূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সহ জ্ঞান বিতরণ ও জ্ঞান সৃষ্টির নানাবিধ কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করেন। কাজেই একজন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদই এই পদের যোগ্য। এই পদে একজন সরকারি কর্মকর্তার নিয়োগদান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর আমলাতন্ত্রের নগ্ন হস্তক্ষেপ।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পিআরএল ভোগরত) মোহাম্মদ আবদুল মান্নানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর চাকুরীজীবন শেষ করেছেন। এই নিয়োগাদেশ শিক্ষকসমাজে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এছাড়াও এ প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে অবিলম্বে এই নিয়োগাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানায় শিক্ষক সমিতি।
উল্লেখ্য, গত ৫মে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৭ এর ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী জনাব মোহাম্মদ আবদুল মান্নানকে (অতিরিক্ত সচিব, পি আর এল ভোগরত) বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হয়।