a
ফাইল ছবি
পাকিস্তানকে কেন আনপ্রেডিক্টেবল বলা হয় তা হয়তো ক্রিকেট মাঠে তাদের যোগ্যতা দিয়ে তা প্রমাণ করেছে। পাকিস্তান ঠিক বিশ্বকাপের দল ঘোষণারর পর পরই আরেকটা আনপ্রেডিক্টেবল ঘটনার জন্ম দিলো বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার দিনে আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির প্রধান কোচ মিসবাহ উল হক ও বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিস। হুট করে পদত্যাগের পেছনে মিসবাহ ‘পারিবারিক ব্যস্ততা’ এবং ওয়াকার মিসবাহর পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে কারণ উল্লেখ করন।
গতকাল সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) নিজেদের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানান মিসবাহ ও ওয়াকার। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে একইসাথে পাকিস্তানের কোচিং প্যানেলে যুক্ত হন সাবেক এই দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।
দুইজনই চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাকি রেখেই সরে দাঁড়িয়েছেন দায়িত্ব থেকে। মিসবাহ তার এই সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যক্তিগত কারণকে দায়ী করেছেন। ওয়াকারের দাবি, মিসবাহ সরে দাঁড়ানোর কারণেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। পাকিস্তান দলে কোন্দল নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে অনেক সমালোচিত ছিলেন মিসবাক ও ওয়াকার।
মিসবাহ বলেছেন, ‘জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকলে আমি আমার পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পারছি না। এই বিষয়টি বিবেচনা করে আমি আমার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালাম।’
ওয়াকার বলেন, ‘মিসবাহ আমাকে তার সিদ্ধান্ত ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানানোর পর আমার জন্য পদত্যাগের সিদ্ধান্ত কঠিন ছিল না। আমরা একইসাথে কাজ নিয়েছিলাম, জুটি হয়ে কাজ করেছি এবং একইসাথে পদ থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি।’
মিসবাহর বদলি হিসেবে আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজে প্রধান কোচের অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পেয়েছেন সাকলাইন মুশতাক। আব্দুল রাজ্জাক কাজ করবেন ওয়াকারের বদলি হিসেবে, অর্থাৎ বোলিং কোচ হিসেবে। তাদের দুইজনেরই জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটে কোচ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
ফাইল ছবি
কাধেঁর অস্ত্রোপচারের পর আর পাকিস্তানের টেস্ট দলে ঠাঁই পাননি পেসার মোহাম্মদ আব্বাস। তবে দল যে একজন সেরা পারফরমারকে মিস করছে তা টের পাইয়ে দিলেন আব্বাস। ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে চোখের পলকে গুড়িয়ে দিলেন প্রতিপক্ষের ইনিংস।
এমন দুর্দান্ত বোলিং কমই দেখা মেলে। মাত্র ১৭ বল করে ৫ উইকেট নিয়েছেন আব্বাস। এরমধ্যে একটি হ্যাটট্রিকও রয়েছে। এক ওভার মেডেন দিয়ে রান দিয়েছেন মাত্র ৩টি। অর্থাৎ স্কোরবোর্ডে এই পাক পেসারের বোলিং ফিগার দেখাচ্ছিল ২.৫-১-৩-৫! এ কী বিশ্বাস করার মতো?
তবুও বিশ্বরেকর্ড হাত ছাড়া মাত্র এক বলের জন্য। ইংলিশ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সাউদাম্পটনের রোজ বোলে শুক্রবার মিডলসেক্সের বিপক্ষে এমন অতিমানবীয় পারফরম্যান্স দেখালেন পেসার মোহাম্মদ আব্বাস। হ্যাম্পশায়ারের হয়ে খেলে মাত্র ৭৯ রানেই গুড়িয়ে দিলেন মিডলসেক্সের প্রথম ইনিংস।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার প্রথম ইনিংসে ৩১৯ রান তুলে অলআউট হ্যাম্পশায়ার। দিনের আরো ৬ ওভার বাকি থাকে। আর ওই ৬ ওভারের মধ্যেই নিজের করা ৩ ওভারে ধ্বংস করে দেন মিডলসেক্সকে।
১৪ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে মিডলসেক্স। ৫ উইকেটের সবটিই পান আব্বাস। আব্বাসের হ্যাটট্রিকটি ছিল দুই ওভার মিলিয়ে। ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে মিডলসেক্সের ওপেনার ম্যাক্স হলডনকে ওয়েদারলের ক্যাচে পরিণত করেন আব্বাস।
পরের বলেই অর্থাৎ ওভারে শেষ বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন নিক গ্যাবিন্সকে। আব্বাসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে মিডলসেক্সের অধিনায়ক স্টিভ এসকিনাজি উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে বন্দি হন। ফলে হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয় এই পাকিস্তানি পেসার।
নিজের পরের ওভারে জোরা শিকার করেন আব্বাস। রবি হোয়াইট আর মার্টিন অ্যান্ডারসন-দুই ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান। শেষ পর্যন্ত আব্বাসের ১১ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন আব্বাস। মেডেন দিয়েছেন ৬টি!
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বলের মধ্যে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড রায়ান প্যাটেলের। ২০১৮ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে সমারসেটের বিপক্ষে গিল্ডফোর্ডে ১১ বলে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। যেই বিশ্বরেকর্ড এখনও রয়েই গেল।
ছবি: এম.এস.প্রতিদিন
সদরঘাটের সাথে পরিচিত নন এমন লোক বাংলাদেশে হয়ত খুজেই পাওয়া যাবে না। সদরঘাট হলো দক্ষিণবঙ্গগামী সকল মানুষের জন্য নদীপথে ঢাকা ত্যাগের প্রধান ফটক। ২২টি জেলার মানুষের কাছে প্রধান চলাচল মাধ্যম সদরঘাট। পূর্বে সদরঘাটের নাম শুনলেই চোখে ভেসে আসতো এদিক সেদিক ময়লার ভাগাড় কিন্তু বর্তমান সদরঘাটের চিত্র দেখে অনেকেই বিশ্বাস করতে পারবে না তারা কোথায় চলে এসেছে।
বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বিআইডব্লিউটিআইর সাবেক যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিনের প্রচেষ্টায় ২০১৯ সালে দখলদারদের থেকে সদরঘাটের বিভিন্ন যায়গা উদ্ধার করে গ্রিন সদরঘাট করা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন তার সেই পদক্ষেপ আজ মানুষের সামনে দৃশ্যমান।
বর্তমানে দেশের এই নদী বন্দরকে সর্বদা পর্যবেক্ষণ করার জন্য ৩২টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যেকোনো সময় যাত্রী সেবা দিতে চালু করা হয়েছে হটলাইন নম্বর। দখলি স্থান উদ্ধার করে সেখানে লাগানো হয়েছে নানা ধরনের গাছ, ঝাউ গাছ, বট গাছ, কৃষ্ণচূড়া গাছ উল্লেখযোগ্যভাবে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলছে। একেবারে লালকুঠি ঘাট থেকে পশ্চিমের সীমানা পর্যন্ত রাস্তার পাশে ড্রামের ভিতর লাগানো হয়েছে ঝাউ গাছ এছাড়া লালকুঠি ঘাট থেকে প্রধান ফটক পর্যন্ত ইট দিয়ে গোলা করে মাটি উচু করে বট গাছ লাগানো হয়েছে। যা টার্মিনালের সামনের সড়কের শৃঙ্খলা বজায়ে রাখতে সহায়তা করে।
টার্মিনালের সামনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা যা খুব প্রয়োজন ছিল এমন গুরুত্বপূর্ণ যায়গায়। প্রধান ফটক থেকে শুরু করে আহসান মঞ্জিল পর্যন্ত প্রত্যেক গেট দিয়ে ঢুকার সময়ই মন কেড়ে নিবে বাহারি ফুলের সৌন্দর্য্যে।
বর্তমানে যাত্রীর চাপ হালকা করতে বিভিন্ন অঞ্চলের ঘাট আলাদা করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ, পূর্বে সদরঘাটে পন্টুন সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩টি উচ্ছেদ অভিযানের পর পন্টুনের সংখ্যা এখন ৩০টি। ঘাটে কমেছে কুলি ও দালালদের দৌরাত্ব।