a
ফাইল ছবি
সব জল্পনা কল্পনার ইতি টেনে শেষ পর্যন্ত রমিজ রাজাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নতুন চেয়ারম্যান হিসে নির্বাচিত হলেন। সাবেক এই ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার এখন থেকে পাকিস্তানের ক্রিকেটের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করবেন।
পিসিবির আইন অনুযায়ী চেয়ারম্যান সাধারণত গভর্নিং বডির সদস্যদের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন ২ জন। রমিজের সাথে ছিলেন আসাদ আলী খান। আসাদ আলী খান, যিনি একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। রমিজের সাথে তাকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমোদন দেন পিসিবির চিফ প্যাট্রন প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান।
তবে শেষমুহুর্তে সরে দাঁড়ান আসাদ। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিসিবির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন রমিজ। রমিজ রাজা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার। ইতোপূর্বে পিসিবির প্রধান নির্বাহীর গুরুত্বপূর্ণ পদও সামলেছেন তিনি। সংস্থাটির ৩৬তম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন তিনি। রমিজের দায়িত্বের মেয়াদ ৪ বছর।
পিসিবির সর্বশেষ চেয়ারম্যান ছিলেন এহসান মানি। বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আর সরব কার্যক্রমের মাধ্যমে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোসহ বেশ কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তিনি। তবে মেয়াদ শেষে আর চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেননি মানি। কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন নিজের শারীরিক অসুস্থতাকে। এরপর চেয়ারম্যানের দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন রমিজ রাজাই। খোদ ইমরানই তাকে দেখতে চাচ্ছিলেন পিসিবি প্রধানের আসনে। শেষপর্যন্ত সাবেক অধিনায়ক রমিজের হাতেই তুলে দেওয়া হল পাকিস্তানের ক্রিকেট।
ছবি সংগৃহীত
লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর বাংলাদেশের চোখ এখন ওয়ানডে সিরিজের ওপর। সিরিজ জয়ের লক্ষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে ফিল্ডিং করতে পাঠিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে মাঠে গড়ানোর আগে তুমুল ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে টাইগারদের শিবিরে। পরপর দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে স্কোয়াড থেকে কাটা পড়েছেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। তার বদলে দলে যোগ দিয়েছেন জাকের আলি অনিক। অন্যদিকে চোটে ছিটকে পড়েছে প্রথম ম্যাচে খেলার মোড় ঘুড়িয়ে দেওয়া পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এই দুইজনের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছেন এনামুল হক বিজয় ও মোস্তাফিজ।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ ও মোস্তাফিজ।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: পাথুম নিশাঙ্কা, আবিস্কা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক), সাদিরা সামারবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, জেনেথ লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুনিথ ভেল্লালাগে, প্রমোদ মাদুশান, মাহেশ থিকশানা ও লাহিরু কুমারা। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক অস্থিরতার ঘটনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত হিসেবে দেখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনাকে আমি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করি না। এর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত আছে। একদিকে শূন্যতার সুযোগ নেয়া, অন্যদিকে জিও পলিটিক্সে যে পরিবর্তন ঘটছে মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে আশ-পাশের অঞ্চলে, ওইদিকে ভারতবর্ষের মনিপুরে যে বিদ্রোহ, এসবগুলোকে যদি আপনি আনেন, জিওপলিটিক্সের এই ঘটনাগুলো ভেরি সিগনিফিকেন্ট বলে আমি মনে করি। যেহেতু এখন কমেন্ট করাটা ঠিক হবে না।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে, একটা বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়াকে শুরু করার চেষ্টা করা। অন্যদিকে শেখ হাসিনা পার্শ্ববর্তী দেশে থেকে যে সমস্ত কথা বলছেন, সেগুলো কতটুকু সত্য-মিথ্যা আমি জানি না। তবে সেই কথাগুলো এখানে বড় ইম্প্যাক্ট তৈরি করছে। বলা যায় যে, উদ্বিগ্ন হবার কারণ আছে। আর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর সচিবালয়ে আনসার বাহিনীর ঘেরাও, বিভিন্ন সংগঠনের নানা দাবি-দাওয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মব লিঞ্চিং’, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার বিভিন্ন ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ উল্লেখ করে সরকারকে অস্থিতিশীল করতেই করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিরতার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, যেমন শুক্রবার মেইন ঘটনাটা ঘটছে। আমাদের দলে যিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন দীপেন দেওয়ান, উনি আগে এমপি প্রার্থী ছিলেন, তিনি আমাকে ফোন করে বললেন যে, স্যার ইমিডিয়েটলি কারফিউ দিতে বলেন, কারফিউ ছাড়া একে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তখন আমি জানার পরে যাদেরকে চিনি, তাদেরকে জানানোর পরে কারফিউ হয়নি, ১৪৪ ধারা দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে। ঠিক এফেক্টিভ কন্ট্রোল তারা করতে পারেনি, এর মধ্যে এটা (ঘটনা) বিস্তারলাভ করেছে। এই যে দেরি হচ্ছে, এই দেরিটা কিন্তু ক্ষতির ব্যাপার হচ্ছে। এটাতে আমি তাদেরকে (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) দোষারোপ করছি না। যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারকে সঠিকভাবে পরামর্শ দেয়া, এটা করা উচিত। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, এক্ষেত্রে অনেকটা গ্যাপ আছে। সমস্যাটা ওই জায়গায়।
তিনি বলেন, এই সরকার খুবই সিরিয়াস, তারা করতে চান, তারা সব কিছু করতে পারেন। আমার কথা হচ্ছে, আমরা সহযোগিতা করি। ইতিমধ্যে তারা অনেক বড় বড় কাজে হাত দিয়েছেন- সেগুলো আমরা দেখি। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে বিএনপির পরামর্শ কি জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, প্রধান প্রধান দলগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ে হলো, পার্বত্য চট্টগ্রামে তো আমাদের চুক্তি আছে, এতো দিন কোনো সমস্যা হয়নি। এখানে শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা তা নয়, সামাজিক সমস্যা আছে। দীর্ঘকাল ধরে এসব সমস্যা সমাধান করা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার এতো কথা বলেছে, চুক্তি করেছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেনি। এসব কাজ একদিনে হবে না, ওদের সঙ্গে বসতে হবে, কথা বলতে হবে, বিষয়গুলোকে আলাপ-আলোচনা করেই সমস্যা সমাধান করতে হবে। সূত্র: মানবজমিন