a ঈদ উপহারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা বউকে হত্যা
ঢাকা বুধবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ঈদ উপহারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা বউকে হত্যা


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ১০ মে, ২০২১, ১১:৪৬
ঈদ উপহারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা বউকে হত্যা

ফাইল ছবি

সিলেটের ওসমানীনগরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ নিহতের স্বামী আরশ আলী ও শাশুড়ি মিনারা বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত রবিবার (৯ মে) দুপুরে স্থানীয় থানায় কনে পক্ষ হত্যা মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তদের  গ্রেফতার করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের বড় ভাই ইসলাম উদ্দিন শনিবার (৮ মে) রাতে নিহতের স্বামী এবং শ্বাশুড়িকে আসামি করে ওসমানীনগর থানায় মামালা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, গত শনিবার দুপুরে সিলেটের  ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামের মৃত ইছন আলীর বাড়ি থেকে নিহত শরিফা বেগমের (২০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ বিদ্যমান ছিল। নিহত শরিফা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে দাবি তার পরিবারের।

তবে স্বামী ও শাশুড়ির অভিযোগ ছিল, শরিফা আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু শনিবার দুপুরে তার স্বামীর নিজ ঘরের বিছানা থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওসমানীগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের ভাই মামলা দায়ের করেন। আসামীদের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে নিহত শরিফার পারিবার থেকে জানতে পারা যায়, প্রায় ৯ মাস আগে ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামের মৃত ইছন আলীর ছেলে আরশ আলীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পুটিয়া গ্রামের শাকিম উল্লাহর ছোট মেয়ে শরিফার। বিয়ের অল্পকিছুদিন পর থেকেই যৌতুকসহ নানা কারণে স্বামী আরশ আলী ও শাশুড়ি মিনারা বেগম তার ওপর বিভিন্ন সময় অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেন। বিষয়টি নিহতের পরিবার জানা সত্ত্বেও শরিফা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় কারণে তার বাবা মা তাকে এসব সহ্য করে শ্বশুরবাড়িতেই থাকার কথা বলে।

পরিবারের অভিযোগ, এই রমজানে আরশ আলী শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান। এ সময় ইফতার দিতে কিছুটা  দেরি করার নানা কথা শোনান স্বামী। এছাড়া তাকে কেন আলাদাভাবে সাজানো থালায় ইফতার দিল না এ নিয়ে তাদের উভয়ের মাঝে তুমুল ঝগড়া হয়।

গত শুক্রবার (৭ মে) সন্ধ্যায় শরিফার বাবা তার স্বামীসহ অন্যান্য সদস্যদের জন্য ঈদের উপহার এখনো কেন নিয়া আসে নাই তা নিয়ে আবার ঝগড়া শুরু হয়। ঘটনার একপর্যায়ে শরিফাকে তার স্বামী ও শাশুড়ি মারধর করে। বিষয়টি সাথে সাথেই তার ভাইকে ফোন করে জানান শরিফা। পর সাহরির সময়ে শরিফার মোবাইল বন্ধ পান তার পরিবার। পরে যখন নতুন জামা কাপড় নিয়ে শরিফার বোন রওয়ানা হন পথিমধ্যে খবর পান শরিফা ভীষণ অসুস্থ তার এসে দেখেন তার বোন চিরতরে ঘুমিয়ে গেছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

সেই ছাত্রলীগ নেত্রী আবারও ২ ছাত্রীকে ৬ ঘণ্টা নির্যাতন করে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ২৪ আগষ্ট, ২০২২, ০১:৪০
সেই ছাত্রলীগ নেত্রী আবারও ২ ছাত্রীকে ৬ ঘণ্টা নির্যাতন করে

ফাইল ছবি: তামান্না জেসমিন রিভা

কয়েকদিন আগে প্রোগ্রামে না যাওয়ায় হলের ছাত্রীদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করছেন এমন একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার বিরুদ্ধে।

গত ২০ আগস্ট তিনি এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান। সেখানে তিনি লেখেন, ‘ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীর সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক... অসংযত ভাষার প্রয়োগ আমার অপরাধ হয়েছে বলে আমি স্বীকার করছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমাকে এমন শিক্ষা দেয় না, তাই সংগঠনের প্রতি আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’

এরপর মঙ্গলবার রাতে পুনরায় দুই ছাত্রীকে কলেজের রাজিয়া ছাত্রী নিবাসে ডেকে নিয়ে সাড়ে ছয় ঘণ্টা আটকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের করার অভিযোগ উঠেছে রিভার বিরুদ্ধে। এ রকম কয়েকটি অডিও এবং ভিডিও মিডিয়ার হাতে চলে যায়।

সেখানে তিনি ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুমনা মীমকে দোষারোপ করে অডিও ভাইরাল করেছেন মর্মে স্বীকারোক্তি দিতে দুই ছাত্রীকে চাপ প্রয়োগ করেন।

এক পর্যায়ে রিভাকে বলতে শোনা যায়, ‘অডিও ভাইরাল করছিস এ স্বীকারোক্তি না দিলে বিবস্ত্র করে ভিডিও করে ভাইরাল করে দেব।’

সাড়ে ছয় ঘণ্টা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের পর অবশেষে ‘মিথ্যা স্বীকারোক্তি’ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী। তাদের নাম রূপা ও মিথিলা। তারা বলেন, কলেজের রাজিয়া বেগম ছাত্রী নিবাসের একটি কক্ষে এ নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়। পরে হলের প্রাধ্যক্ষ নারগিস রুমা গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

তারা আরও জানান, রিভা তাদের ভাইরাল হওয়া অডিও মীম তাদের দিয়ে ভাইরাল করেছেন এটি স্বীকারোক্তি দিতে বলেন, কিন্তু তারা রাজি হননি। পরে সাড়ে ছয় ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করায় তারা স্বীকার করতে বাধ্য হন। তখন তাদের মিথ্যা স্বীকারোক্তির একটি লিখিত কাগজ পড়তে বলেন এবং সেটি রেকর্ড করেন রিভা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে তামান্না জেসমিন রিভাকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও উনি জবাব দেননি। রাজিয়া বেগম ছাত্রীনিবাসের প্রাধ্যক্ষ নারগিস রুমা বলেন, ‘আমার ছাত্রীনিবাসে এরকম কোনো ঘটনার বিষয় আমার জানা নেই।’

এ বিষয়ে জানতে ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার জবাব পাওয়া যায়নি। সূত্র: সমকাল

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সরকারি চাকরিজীবীরা আন্দোলন করলে বাধ্যতামূলক অবসর


বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫, ০৩:০৬
সরকারি চাকরিজীবীরা আন্দোলন করলে বাধ্যতামূলক অবসর

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর দ্বিতীয় সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। বুধবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়।

নতুন সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মচারী আন্দোলনে গেলে, অর্থাৎ নিজে নিয়ম লঙ্ঘন করে একজন সরকারি কর্মচারী আরেকজন সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দিলে বা তাকে তার কাজ থেকে বিরত রাখলে, তাকে বাধ্যতামূলক অবসরসহ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে।

সাধারণত সরকারি কর্মচারীরা নিজেরা কোন আন্দোলন করলে নিজেও কাজ থেকে বিরত থাকে এবং অন্যজনকেও কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য ‘প্রেসার ক্রিয়েট’ করে।

অধ্যাদেশে সরাসরি আন্দোলনের কথা বলা না হলেও যেভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে, তাতে আন্দোলনকে বুঝায় বলে আইনজীবীদের অভিমত।

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশ জারি করা এই অধ্যাদেশ সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত হবে।

নতুন অধ্যাদেশের ৩৭ এর (গ) তে বলা হয়েছে, যে কোনো সরকারি কর্মচারীকে তাহার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তা হবে সরকারি কর্মে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অসদাচরণ এবং তজ্জন্য তিনি উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত যেকোনো দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

আর উপ-ধারা (২) এ বলা হয়েছে, (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো কর্মের জন্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে নিম্নবর্ণিত যেকোনো দণ্ড প্রদান করা যাবে, যথা:- (ক) নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ; (খ) বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান; এবং (গ) চাকরি হতে বরখাস্ত।

অধ্যাদেশে বলা হয়, যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয় এবং যেহেতু সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় আছে এবং রাষ্ট্রপতির নিকট তা সন্তোষজনক ভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান আছে; সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করলেন। এটা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

সংশোধিত অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ২০১৮ সনের ৫৭ নং আইনের ধারা ৩৭ক এর সংশোধন। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সনের ৫৭ নং আইনের এর ধারা ৩৭ক এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৩৭ক প্রতিস্থাপিত হবে।

৩৭(ক) তে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের আচরণ ও দণ্ড সংক্রান্ত বিশেষ বিধান। (১) এই আইন বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোনো সরকারি কর্মচারী (ক) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য করেন, আইনসংগত কারণ ছাড়া সরকারের কোনো আদেশ, পরিপত্র এবং নির্দেশ অমান্য করেন বা তা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করেন বা এই সকল কার্যে অন্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে প্ররোচিত করেন, অথবা (খ) ছুটি বা যুক্তিসংগত কোনো কারণ ব্যতীত অন্যান্য কর্মচারীদের সহিত সমবেতভাবে নিজ কর্ম হইতে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন, অথবা (গ) যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তাহার কর্মে উপস্থিত হইতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তা হবে সরকারি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অসদাচরণ এবং তজ্জন্য তিনি উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত যেকোনো দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

অধ্যাদেশের ৩ এ বলা হয়েছে, (৩) যেক্ষেত্রে কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো অসদাচরণের জন্য কার্যধারা গ্রহণ করা হয়, সেক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা এতদুদ্দেশ্যে তৎকর্তৃক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, অভিযোগ গঠন করবেন এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীকে, অতঃপর অভিযুক্ত ব্যক্তি বলে অভিহিত, কেন এই ধারার অধীন দোষী সাব্যস্তপূর্বক দণ্ড আরোপ করা হবে না এই মর্মে ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে যথাযথভাবে কারণ দর্শাইবার নোটিশ প্রদান করবেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে শুনানি করতে ইচ্ছুক কি-না ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাও উক্ত নোটিশে উল্লেখ করবেন।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। তবে এইরূপ ক্ষেত্রে দণ্ডপ্রাপ্ত কর্মচারী দণ্ড আরোপের আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে ধারা ৩৬ অনুযায়ী উক্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট আবেদন করতে পারবেন এবং রাষ্ট্রপতি যেরূপ উপযুক্ত মনে করবেন, সেইরূপ আদেশ প্রদান করবেন।

অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাদেশের (১২) উপ-ধারা (১০) ও (১১) এর অধীন, যথাক্রমে, আপিল ও রিভিউ এ প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

সূত্র : বাসস

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - অপরাধ