a
সংগৃহীত ছবি
বিতর্কিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ গ্রেফতারের পর রাজধানীর গুলশান-বনানীর অধিকাংশ ম্যাসাজ ও বিউটি পার্লারে এখন তালা ঝুলছে। এসব ম্যাসাজ ও বিউটি পার্লারে যারা কাজ করেন তারা বেশিরভাগই নারী। তারা ম্যাসাজ নামে নানান অনৈতিক কাজে জড়িত ছিল।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার হাতে রয়েছে গুলশান-বনানী এলাকার ম্যাসাজ ও বিউটি পার্লারের তালিকা। এর মধ্যে কেবল গুলশানেই এমন ৩০টি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যার ১০টিতে অনৈতিক কাজ হয়। এসব অনৈতিক কাজে থাই নাগরিকসহ বিদেশিরাও জড়িত বলে উল্লেখ রয়েছে।
গত কয়েক দিন এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই এখন তালা ঝুলছে। ভবনগুলোর নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, লকডাউনেই প্রতিষ্ঠানের মূল গেট বন্ধ করে ভিতরে তাদের কাজ চলত। তবে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিষ্ঠানটির মালিক, কর্মচারী ও সেবা গ্রহীতা কেউই আসছে না।
কেবল স্পা সেন্টার ও বিউটি পার্লারই নয়, ভয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছে অনেক পার্টি হাউস ও সিসা লাউঞ্জের নিয়ন্ত্রক ব্যক্তিরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাসাজ পার্লার, বিউটি পার্লার, সিসা লাউঞ্জ বা পার্টি হাউস যে নামই আসুক না কেন, কোনো অনৈতিক বা অপরাধমূলক কাজের খবর পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। আর সাথে যারাই জড়িত থাকবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযানের মাধ্যমে অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফাইল ছবি
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে একজন পুরুষ নার্সের ধর্ষণের শিকার হলেন করোনা আক্রান্ত এক নারী। ধর্ষণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই নারীর মৃত্যু হয়।
ভারত মধ্যপ্রদেশের ভোপালের একটি সরকারি হাসপাতালে এ ঘটানটি ঘটে। প্রায় এক মাস আগে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার এই ঘটনার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
৪৩ বছরের ওই নারী ভোপালের মেমোরিয়াল হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ভর্তি হয়ে ছিলেন। গত ৬ এপ্রিল এই ঘটনার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিজেই জানান। ধর্ষক নার্সকে
তিনিই চিহ্নিত করেছিলেন। এরপরই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং সেদিনই তার মৃত্যু হয়।
এরপর ওই নারীর ছেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্ত পুরুষ নার্স সন্তোষ আহিরওয়ারকে (৪০) গ্রেফতার করে পুলিশ।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার ইরশাদ আলি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এর আগেও যৌন হয়রানির বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সে মদ্যপান করেও ডিউটি করার অভিযোগও রয়েছে।
ফাইল ছবি
ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসিন ফখরেহ জাদেহকে হত্যার কথা স্বীকার করলো ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক প্রধান ইয়োসি কোহেন। তিনি স্বীকার করেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে একের পর এক হামলা ও ফখরেহ জাদেহকে হত্যায় ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা ছিলো। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল ১২ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ইয়োসি কোহেন আরও বলেছেন, ইরানের বিজ্ঞানীরা যদি তাদের পেশা পরিবর্তন করতে চান এবং ইসরায়েলকে আঘাত না করার নিশ্চয়তা প্রদান করেন, তাহলে আমরা তাদের বের হওয়ার পথ দেখানোর প্রস্তাব দিতে পারি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর তেহরানের কাছে গাড়ি বহরের মধ্যে মোহসেন ফখরেহ জাদেহকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইরান এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দোষারোপ করে আসছিল। তবে ঘটনার সময় ইসরায়েল এ ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এবার মোসাদের সাবেক প্রধান এই হত্যার সত্যতা নিশ্চিত করলেন।