a পিয়াসা পরীদের রাজ্যে আসা-যাওয়া প্রায় ৩০০ নাম!
ঢাকা বুধবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পিয়াসা পরীদের রাজ্যে আসা-যাওয়া প্রায় ৩০০ নাম!


বিনোদন ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ০৯ আগষ্ট, ২০২১, ১০:৫০
পিয়াসা পরীদের রাজ্যে আসা-যাওয়া প্রায় ৩০০ নাম!

ফাইল ছবি

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযানে সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া নায়িকা, প্রযোজক ও মডেলদের আসরে যাতায়াতকারীদের লম্বা তালিকা তৈরি করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। তালিকায় মোট কতটি নাম আছে এবং কাদের নাম আছে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি সিআইডি। তারা বলছেন- অনেক নাম পেয়েছেন। এদের মধ্যে বিত্তশালী ও পদস্থ ব্যক্তিদের নামও আছে। যাচাই-বাছাই না করে এসব নাম প্রকাশ করবে না সিআইডি। কারণ এতে অনেক নিরীহ মানুষও বিপদে পড়তে পারেন।

সিআইডির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান, আলোচিত নায়িকা পরীমণি, মডেল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা, মরিয়ম আক্তার মৌ, প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম ওরফে নজরুল রাজসহ ১০-১২ জনের একটি সিন্ডিকেট অভিজাত এলাকায় নিয়মিত আসর বসাত। আসরগুলোতে মদ পান, ডিজে পার্টিসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো। গ্রেফতার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ, মোবাইল ফোন, কললিস্ট, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপস থেকে সিন্ডিকেটভুক্তদের আসরে যাতায়াত করা প্রায় ৩০০ জনের নাম পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে গ্রেফতার হওয়ার পর রিমান্ডে থাকা ব্যক্তিরা। প্রাপ্ত নামের অনেকগুলোই ছদ্মনাম বা সাংকেতিক নাম। সিআইডি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রযুক্তিগত তদন্তের সহায়তায় প্রকৃত নাম ঠিকানা, পেশা, আয়ের উৎস ইত্যাদি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে। বিশাল এই তালিকা থেকে যাছাই-বাছাই শেষে তালিকাটি ছোট ও নির্ভুল করে আনার কাজ করে যাচ্ছে সিআইডি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের উপকমিটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীর, শরিফুল হাসান মিশু ও মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানের চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা এবং তাদের ঘনিষ্ঠজনদের বিষয়েও খোঁজখবর নিচ্ছে সিআইডি।

গত শনিবার সিআইডি হেলেনা জাহাঙ্গীর, পরীমণি, পিয়াসা, মৌ, নজরুল ইসলাম রাজ, মিশু হাসানের বাসায় তল্লাশি অভিযান চালায়। এসব বাসা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন আলামত ও ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। ল্যাপটপ, ডেস্কটপ পাসপোর্ট, মোবাইল, হার্ডডিস্ক ও ফেরারি গাড়ি জব্দ করা হয়। তদন্তের অংশ হিসেবে এই তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছে সিআইডি।

রবিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে প্রধান কার্যালয়ে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, ‘দায়ের হওয়া সাত মামলার ডকেট ও আসামি বুঝে পেয়েছি। আসামিরা আমাদের হেফাজতে আসার পর ধারাবাহিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে যাচ্ছি। তারা অনেক তথ্য দিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে সেগুলো প্রকাশ করা যাবে না। আমরা প্রাপ্ত তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করছি।’ শেখ ওমর ফারুক আরও বলেন, ‘নজরুল রাজ, পরীমণি ও পিয়াসাদের সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের যোগাযোগ ও সম্পৃক্ততার তথ্য আমরা পেয়েছি। যাদের অনেকেই তাদের আড্ডা ও ডিজে পার্টিতে যেতেন।

যাতায়াতকারীদের মধ্যে ব্যাংকার, বিত্তশালী ও পদস্থ ব্যক্তিদের নামও রয়েছে।’ পরীমণির সঙ্গে ব্যাংকের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সখ্য বিষয়ে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পেশার অনেকেরই নাম পাচ্ছি কিন্তু সেগুলো এখনই বলা যাবে না। যেহেতু অনেকগুলো মামলা এবং অনেক তথ্যের ছড়াছড়ি সেজন্য অনেক নিরপরাধ মানুষ ফেঁসে যেতে পারেন। সেটি যেন না হয় সেজন্য আমরা কোনো ধরনের তাড়াহুড়া করছি না। ধারাবাহিকভাবে আমরা তদন্ত কাজ এগিয়ে নেব।’ 

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘আমরা দেখছি কিছু গণমাধ্যম বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করে সংবাদ প্রচার করছে। সেখানে সিআইডির বরাত দিয়ে কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তার নাম প্রকাশিত হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করে বলতে চাই সিআইডির কোনো কর্মকর্তা এসব তথ্য দেননি।’ এই সিন্ডিকেটের হাতে ব্ল্যাকমেলের শিকার কোনো ভিকটিম অভিযোগ করেছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওমর ফারুক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো ভিকটিম অভিযোগ করেননি। তবে কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সে অনুযায়ী তদন্ত চলছে। আসামিদের পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও তথ্যের প্রয়োজন হলে আমরা আসামিদের ফের রিমান্ডে নেব।’ 

সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, ‘পুলিশের হেফাজতে থাকা একটি ফেরারি গাড়ি আমরা নিয়ে এসেছি। এটি র‌্যাব জব্দ করেছিল মিশু হাসানের বাসা থেকে। আমরা গাড়িটির বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। এ ছাড়া মিশু হাসানের বাসায় অভিযান চালিয়ে আরও বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। আমরা তদন্তের স্বার্থে সেসব বিষয় প্রকাশ করছি না।’ 

সিআইডির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই সিন্ডিকেট বিভিন্ন ব্যাংকে চাকরি ও বড় অংকের ঋণ পাওয়ার বিষয়ে তদবির করত। বিশেষ করে দুটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নামও প্রকাশ করেছে তারা। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা, এমপির ভাই ও ছেলের নামও পাওয়া গেছে। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অভিজাত এলাকার এই ভয়াবহ সিন্ডিকেট প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির তদবির করত বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এরা নিজের কাজ বাগিয়ে নিতে যাকে যেভাবে খুশি করা সম্ভব সে পদ্ধতি অনুসরণ করত। এমনকি সিন্ডিকেটভুক্ত তরুণীদের সঙ্গে দেশে-বিদেশে স্পেশাল প্লোজার্স ট্যুরে পাঠাত এই চক্র।’ 

অপর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নায়িকা পরীমণিসহ সিন্ডিকেটের সদস্যরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে টার্গেট করা ব্যক্তিকে ‘হিপনোটাইজ’ করে ফেলত। তারা যে কোনো মূল্যে নিজেদের কাজ হাসিল করে নিত। এ রকম কয়েকজন ভিক্টিমের সঙ্গে তারা কথাও বলেছেন। কিন্তু তারা আইনগত ব্যবস্থা বা মামলা করতে রাজি হননি।’  প্রসঙ্গত, গত ১ আগস্ট বারিধারা থেকে মডেল পিয়াসা ও মোহাম্মদপুর থেকে মৌ, ৩ আগস্ট রাতে ভাটারা থানা এলাকা থেকে মিশু হাসান এবং তার সহযোগী জিসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ৪ আগস্ট বনানীর বাসা থেকে নায়িকা পরীমণি, প্রযোজক নজরুল রাজ, পরীমণির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দীপু ও রাজের ম্যানেজার সবুজ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। ৬ আগস্ট গ্রেফতার করা হয় পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিমিকে। এসব ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্তভার পেয়েছে সিআইডি। গ্রেফতার আসামিদের সিআইডি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

পরীমণি-সাকলায়েন কাণ্ডে পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত কমিটি : পরীমণিকে বাসায় নিয়ে এডিসি গোলাম সাকলায়েন শিথিলের ১৮ ঘণ্টা সময় কাটানোর অভিযোগের তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দফতর। গতকাল পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি মিয়া মাসুদ করিমকে (ট্রেনিং) প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুজন হলেন ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেন্টারের উপ-কমিশনার (ডিসি) হামিদা পারভিন এবং সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) রুমানা আক্তার। সাকলায়েন যে মামলার তদারকি কর্মকর্তা সেই মামলার তথ্য, তার বাসায় পরীমণির আসা-যাওয়ায় মামলার তদন্তে কোনো প্রভাব পড়েছে কি না, সাকলায়েন পুলিশের আইন অনুযায়ী কোনো অপরাধ করেছেন কি না- তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তুলে ধরতে বলা হয়েছে কমিটিকে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটিকে ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

টাঙ্গাইলে হাসপাতালের বেডে কালচারাল কর্মকর্তা রেদওয়ানাকে শ্বাসরোধে হত্যা


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১, ১১:৪০
টাঙ্গাইলে হাসপাতালের বেডে কালচারাল কর্মকর্তা রেদওয়ানাকে শ্বাসরোধে হত্যা

ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলের কুমুদিনী হাসপাতালে টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল কর্মকর্তা রেদওয়ানা ইসলামকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের একটি ভিআইপি কক্ষ থেকে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা তাকে হত্যা করে তার স্বামী পালিয়েছে।

মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রেদওয়ানা প্রসব ব্যথা নিয়ে গত ২২ মার্চ মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই তিনি একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। এরপর থেকে কন্যাসন্তানটি আইসিউতে (নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট) রাখা হয়। 

দীপংকর ঘোষ আরো জানান, চার দিন আগে রেদওয়ানা ইসলামকে চিকিৎসকরা ছুটি দিয়ে দিলেও জন্ম নেয়া মেয়ে হাসপাতালে থাকার কারণে রেদওয়ানা হাসপাতালেই একটি কক্ষ নিয়ে থেকে যান। এদিকে আজ শনিবার সকালে তার স্বামী মিজান আসেন হাসপাতালে রেদওয়ানার সঙ্গে দেখা করতে। 

বিকালে হাসপাতালের নার্স রেদওয়ানার কক্ষ বাইরে থেকে লক (তালা) দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কক্ষের ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে ভেতরে ঢুকলে সেখানে রেদওয়ানার লাশ দেখতে পায়। এরপর পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি এ বিষয়ে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে তার স্বামী শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ব্রিটেন নিজেই জাহাজ ছিনতাই নাটকের অবসান ঘটাল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ০৫ আগষ্ট, ২০২১, ১০:৪২
ব্রিটেন নিজেই জাহাজ ছিনতাই নাটকের অবসান ঘটাল

সংগৃহীত ছবি

ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে উপকূলের কাছে ওমান সাগরে যে জাহাজটি ‘ছিনতাই হওয়ার উপক্রম হয়েছিল’ সেটি এখন নিরাপদে রয়েছে এবং ছিনতাই নাটকের অবসান হয়েছে। 

ব্রিটিশ মেরিটাইম এজেন্সি এক টুইটার বার্তায় লিখেছে, “যারা জাহাজটিতে অনুপ্রবেশ করেছিল তারা এটি ছেড়ে চলে গেছে। জাহাজটি নিরাপদে আছে এবং ঘটনা শেষ হয়েছে।”

এর আগে একই সংস্থা দাবি করেছিল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরের অদূরে একটি ব্রিটিশ জাহাজ ‘সম্ভাব্য ছিনতাই’ হয়েছে। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, পানামার পতাকাবাহী ‘অ্যাসফাল্ট প্রিন্সেস’ তেল ট্যাংকার ছিনতাই হয়েছে। তারা আরও দাবি করেছিল, ওমান সাগরের এ ঘটনায় ‘ইরানের সামরিক বাহিনী অথবা তাদের অনুগত কোনও গোষ্ঠী’ জাহাজটিতে অনুপ্রবেশ করেছে এবং এটিকে ইরান উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তবে ইরান একটি বাণিজ্যিক জাহাজ ছিনতাই করে কি উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায় তা ব্রিটিশ সংস্থাটি সে সময় স্পষ্ট করতে পারেনি। বর্তমানে বিষয়গুলো তুলপার সৃষ্টি হওয়ায় এবং তাদের চাতুরতা ফাঁস হওয়ার ভয়ে এবার নিজেরাই ছিনতাই নাটকের অবসান ঘটাল। 

এমনকি বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইসও বলেছিলেন, “যারা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এটির গতিপথ পরিবর্তন করেছে তারা সম্ভবত ইরানি।”

পশ্চিমা সূত্রগুলো জাহাজ ছিনতাই নাটকের অবসান ঘটানোর আগে লন্ডনস্থ ইরান দূতাবাস এক টুইটার বার্তায় বলেছিল, “পারস্য উপসাগর থেকে আমাদের সূত্রগুলোতে পাওয়া তথ্যমতে, ওই অঞ্চলে নতুন কোনো জাহাজে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেনি।”

বার্তায় আরও বলা হয়, “বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে যে কূটনৈতিক ছলচাতুরি খেলা হচ্ছে তা অত্যন্ত অন্যায়।”

এছাড়া, ওমান সাগরের কথিত জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইরানকে জড়িয়ে যে খবর প্রচার করা হয় তাকে ‘চরম অসত্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে। 

আর ইরানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুলফাজল শেকারচি বলেছিলেন, ইরানবিরোধী নতুন হটকারিতার অজুহাত খুঁজতেই জাহাজ ছিনতাইয়ের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - অপরাধ