a
ফাইল ছবি: আকবর আলি খান
দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। আকবর আলি খানের ভাই কবির উদ্দিন খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কবির উদ্দিন খান বলেন, আকবর আলি খান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া প্রাক্কালো অ্যাম্বুলেন্সেই তিনি মারা যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আকবর আলি খানের জন্ম ১৯৪৪ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন ইতিহাসে, কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটিতেও অর্থনীতিতে পড়াশুনা করেন। পিএইচডি গবেষণাও অর্থনীতিতে। আমলা হিসেবে পেশাজীবনের প্রধান ধারার পাশাপাশি চলেছে শিক্ষকতাও। অবসর নিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে। এর পর দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হয়েছিলেন, দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতার মুখে পদত্যাগ করেন। অবসরের পর তার আবির্ভাব ঘটেছে পূর্ণকালীন লেখক হিসেবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) নিয়মে দেশে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৩৪৪ কোটি (২৩ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন) ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৯৮৫ কোটি (২৯ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন) ডলার।
গতকাল রোববার এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে প্রায় চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আইএমএফের পদ্ধতিতে ১০ দিন আগে অর্থাৎ ১৩ জুলাই রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ৫৬৯ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৯৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ১০ দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমল প্রায় ১২ কোটি মার্কিন ডলার।
প্রসঙ্গত, আমদানি ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় মেটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকে বিভিন্ন সোর্স থেকে রিজার্ভ হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা আসে। এর মধ্যে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের একটি অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়।
এ ছাড়া বৈদেশিক ঋণের অর্থও সরাসরি রিজার্ভে যুক্ত হয়। গত সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রা আসা ও যাওয়ার পর ১২ কোটি মার্কিন ডলার কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি । লকডাউনে আইন অমান্যকারীদের লঘু শাস্তি
গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। সরকারি বিধিনিষেধ এবং মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাঠে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র্যাব, আনসার এবং সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের গ্রেফতার করা হয় ৫৫০ জনকে। সাজা দেওয়া হয়েছে ৮ ব্যক্তিকে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৫০৭ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২৭৪টি গাড়িকে মামলা দেওয়া হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৬টি গাড়ি। রেকারিং করা হয়েছে মোট ৭৭টি গাড়ি। ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক জরিমানা করা হয়েছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০ টাকা।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, যৌক্তিক কারণ ছাড়া যারাই বের হবে তাদেরকেই মামলার মুখোমুখি হতে হবে।
গ্রেফতারকৃতদের বাইরে যারা আটক হয়েছেন তারা যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর যদি যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারে সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন পুলিশের এ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।