a
ফাইল ছবি
দেশে করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এই বিস্তার রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে কিনা, সেই চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ রবিবার রাত ১০টার দিকে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকে বসবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এই বৈঠক থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
বৈঠক শেষে সার্বিক বিষয়ে আগামীকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জানাবেন শিক্ষামন্ত্রী। শনিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
অপরদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। জাতীয় পরামর্শক কমিটি একমত হলে আগামী ১ মাসের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হতে পারে। সোমবার সেসব সিদ্ধান্ত তুলে ধরতে ব্রিফিং করবেন শিক্ষামন্ত্রী। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
কাজাখস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন অনেক বাংলাদেশি। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে দেশটি। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে আবেদন করতে হয়।
কাজাখস্তান সরকার প্রতিবছর ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য এই বৃত্তি দেয়। কাজাখস্তান সরকার বছরে মোট ৫৫০ জন বিদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়। এর মধ্যে ওআইসিভুক্ত দেশের জন্য আছে ১০০ বৃত্তি।
লেখক কাজাখস্তানের আল ফারাবি কাজাখ ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি নিয়ে স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিসে পড়াশোনা করছেন। দেশটিতে পড়াশোনার পদ্ধতি, পড়াশোনার মান, বৃত্তি, বৃত্তির আবেদনের পদ্ধতিসহ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন তিনি।
পড়াশোনার মান:
কাজাখস্তানের শিক্ষার মান সমৃদ্ধ। কাজাখস্তানে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। কাজাখস্তানের উল্লেখযোগ্য দিক হলো তাদের শিক্ষা প্রণালি। কাজাখস্তানের সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা উন্নত শিক্ষা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাজাখস্তানে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো সুযোগ দেয়। কাজাখস্তানের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে আধুনিক ক্লাসরুম, স্বাস্থ্যসেবা, হোস্টেল ও আধুনিক গবেষণাগার।
কাজাখস্তানে মোট ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কাজাখস্তান সরকার এ বছর স্নাতক, মাস্টার্স, পিএইচডি পর্যায়ে মোট ৫৫০টি স্কলারশিপ দিচ্ছে। এর মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ৪৯০টি, মাস্টার্স পর্যায়ে ৫০টি ও পিএইচডি পর্যায়ে ১০টি।
পড়াশোনার মাধ্যম:
এখানে সাধারণত তিনটি ভাষায় পড়াশোনা করানো হয়ে থাকে। রাশিয়ান, কাজাখ ও ইংরেজি। তবে এখানে এক বছর রাশিয়ান ভাষা প্রোগ্রাম করানো হয়ে থাকে চলাফেরা, চাকরি ও সংস্কৃতি বোঝার জন্য।
সুযোগ-সুবিধা:
১. সম্পূর্ণ টিউশন ফি ফ্রি।
২. প্রতি মাসে শিক্ষা ভাতা দেওয়া হবে। এটা ডিগ্রির ওপর নির্ভর করে।
৩. থাকার খরচ, ভিসা, যাতায়াত খরচ ও মেডিকেল ইনস্যুরেন্স কাভার করবে না।
৪. বাংলাদেশি ১০ টাকার বাস কার্ড দেওয়া হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১. আবেদন ফরম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
২. পাসপোর্ট।
৩. সার্টিফিকেট ও মার্কশিট।
৪. ২৫০ শব্দের একটা রচনা (যেটা লিখে দিতে হয়)।
৫. মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৬. দুটি রেকমেন্ডেশন লেটার।
৭. ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট।
৮. আইএলটিএসে ৫ দশমিক ৫ পেতে হবে।
৯. টোয়েফল আইবিটি: ৪৬১
১০. টোয়েফল পিবিটি: ৪৫৩
১১. বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইনভাইটেশন লেটার (যদি থাকে)।
** এখানে বলে রাখি অর্নাসের ক্ষেত্রে ভাষা দক্ষতার কোনো সার্টিফিকেট লাগে না। অন্য ক্ষেত্রে লাগবে।
আবেদনের পদ্ধতি:
১. আবেদনকারীকে অনলাইনে ফরম পূরণ করতে হবে।
২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে।
৩. একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি বিষয় বাছাই করতে হবে। আবেদন সফল হওয়ার পর একটা মেইল আসবে যে আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
পরীক্ষার পদ্ধতি:
এখানে মূলত দুভাবে পরীক্ষা হয়ে থাকে। প্রথমটা সাইকোলজি টেস্ট, দ্বিতীয়টা অনলাইন ভাইভা।
১. সাইকোলজি টেস্ট: এখানে ৯০টা প্রশ্নের জন্য ৯০ মিনিট সময় থাকে। এ সময়ের মধ্যে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হবে। এমসিকিউ ধরনের এ পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
২. অনলাইন ভাইভা: সাইকোলজি টেস্ট পাস করার পর ইন্টারভিউয়ের জন্য মেইল পাঠাবে আপনাকে। ইন্টারভিউ ভাইভাতে পাস করতে পারলে ফাইনাল রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
সবশেষে সবার উদ্দেশে এটাই বলব, ইচ্ছা যদি এমন হয় যে আমি বাইরে পড়াশোনা করব বা করতে যাব, ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়ব, বিদেশি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করব, তাহলে জেনে–বুঝে আবেদন করুন। বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ধৈর্য, পরিশ্রম করার মনমানসিকতা থাকতে হবে। আর কাজাখস্তান হবে আপনার বিদেশে উচ্চশিক্ষার অন্যতম গন্তব্য।
লেখক: মাহতাব আজমাইন রিফাত, স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিস, আল ফারাবি কাজাখ ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়।
সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে বলেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২৮ মার্চ) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। আমি আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে প্রস্তুত হতে বলব। সবাইকে সব অনুষ্ঠান সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। পাশাপাশি গত বছর মানুষের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছেন, তেমনি সামনের দিনেও মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, মানুষ যেন কষ্টে না থাকে।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমরা যা করার করব। কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরও মানুষের পাশে থাকতে হবে। যে দল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছে, তাদের ওপর অনেক দায়িত্ব। মানুষের জন্য খাদ্য বিতরণ, মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও বিভিন্ন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সারাবিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানরা শুভেচ্ছা দিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য সম্মানের, এটাই আমাদের সার্থকতা। তবে আমাদের যাত্রা অনেক দূরের; জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে হবে।
সরকার প্রধান বলেন, আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এটাই জাতির পিতার স্বপ্ন। তার স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ব, এটাই প্রতিজ্ঞা।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পাঁচ দেশের প্রধানরা বাংলাদেশে এসেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ২৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে শুভেচ্ছা বার্তা আমরা পেয়েছি। এটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। এটাই আমাদের সার্থকতা।
তিনি বলেন, সময়ের অভাবে বিদেশিদের সব বার্তা শোনাতে পারিনি। সব বার্তা সংরক্ষণে আছে। এসব তৃণমূল পর্যন্ত প্রচার করতে হবে। তাদের শুভেচ্ছা বার্তা যেন জনসাধারণ জানতে পারে। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনকে এগুলো প্রচারে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবুজ বাংলা আরও সবুজ করতে চারা রোপণ করতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। কোনো জলাশয় যেন অনাবাদি না থাকে। খাদ্য উৎপাদন করে নিজেদের প্রস্তুতি রাখতে হবে। করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায় বলা যায় না। যাতে অন্তত খাদ্য সংকট না হয়। আমরা নিজের খাদ্য নিজেই জোগান নিশ্চিত করে অন্যকে দেবো।
সরকার প্রধান বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়া অব্যাহত থাকবে। তবে কেউ যাতে মাস্ক ছাড়া বাইরে বের না হয়। নিরাপদ দূরত্ব মেনে বসতে হবে। সভা-সেমিনার-কর্মশালা স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে করতে হবে। যতদূর সম্ভব খোলা জায়গায় কর্মসূচি করতে হবে। ঘরের মধ্যে করলে করোনার প্রাদুর্ভাব আরও বেশি দেখা দেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমাদের প্রতিজ্ঞা হলো, বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না। আমরা সেই ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু তার সংবিধান ও আইনে যে মৌলিক নির্দেশনা রেখে গেছেন, আমরা সে আলোকেই পথ চলছি। তার সব কাজ পূর্ণ করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর দেশ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলা হয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বাংলাদেশকে ভিন্ন খাতে নেওয়া হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছিলাম। তারপরও চক্রান্ত থামেনি। ২০০১-এ আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। কিন্তু ফল ভালো হয়নি। পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিভিন্ন খাতে পিছিয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আমাদের শাসনামলে গত ১২ বছরে বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে দেশ পরিচালনা করেছি। এত সব অর্জনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শই কারণ। এটা নতুন কিছু না, কোনো ম্যাজিকও না। এদেশের মানুষ জাতির পিতার নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ করে। ৭ মার্চের ভাষণে যা যা করতে বলেছেন, মানুষ তাই করেছিল। তিনিই বলেছিলেন, বাঙালিকে দাবায়া রাখতে পারবা না। আসলেও দাবায়া রাখা যায়নি, যাচ্ছে না। আমরা তার আদর্শে দেশ পরিচালনা করে এগিয়ে যাচ্ছি। সূত্র: ঢাকাপোষ্ট