a
ফাইল ছবি
আজ দীর্ঘ দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলো। বন্ধের এই সময়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য আগ্রহভরে অপেক্ষায় ছিল ছাত্র-ছাত্রীরা। আজ তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো।
দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকেই ক্লাস শুরু হয়েছে। ফলে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
আজ সকালে রাজধানীর স্কুলগুলোতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছে অনেকটা উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবার মুখে মাস্ক। শিক্ষকদের নির্দেশনা মেনে তারা দূরত্ব বজায় রেখে স্কুলে প্রবেশ করছে।
স্কুলগুলোর ফটকে শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মেপে প্রবেশ করানো হয়। তাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ফটকে স্কুলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষকদেরও অবস্থান করতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত বছর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। কোভিড ১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আজ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে আজ ২৬ এপ্রিল শনিবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয় করণের ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করা হয়।
এই দাবিতে, প্রতি উপজেলায় ১ টি দাখিল, ১ টি ফাযিল/কামিল ও ১ টি মহিলা মাদরাসা সরকারিকরণ এবং ৩ টি সরকারি আলীয়া মাদরাসার দূরাবস্থা নিরসনের দাবিতে অধ্যক্ষ মাওলানা ড. এ.কে এম মাহবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে উপাধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ শহীদুল হক।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয় করণের ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়নে, প্রতি উপজেলায় ১ টি দাখিল, ১ টি ফাযিল/কামিল ও ১ টি মহিলা মাদরাসা সরকারিকরনের দাবি জানান। বক্তারা ৩ টি সরকারি আলীয়া মাদরাসার দুরাবস্থা নিরসনের দাবি জানান বক্তারা। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, ড. মোর্শেদ আলম ছালেহী, মুফতি বদিউল আলম সরকার, অধ্যক্ষ মাওলানা মিজানুর রহমান, হাফিজ মাওলানা আহমদ আলী, জনাব মোঃ রেজাউল হক, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ রুহুল আমিন, জি.এম নজরুল ইসলাম, মোঃ মোজাম্মেল হক, রাকিবুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ আ.ন.ম মাহবুবুর রহমান, মোঃ দুরুল হুদা প্রমুখ। বক্তারা শিক্ষায় বৈষম্য নিরসনে শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, সর্বজনীন বদলি, অবসরের ৬ মাসের মধ্যে অবসর ও কল্যাণ ভাতা প্রদানের দাবি জানান।
ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের ঘোষণা বিলম্ব হওয়ায় ৮ টি বিভাগে ৮ টি সমাবেশ করা শেষে ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা করা হয়। বক্তারা অবিলম্বে জাতীয়করণের ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়নে দাবি জানান এবংনিম্ন লিখিত দাবিনামা পেশ করেন: ১) অনতিবিলম্বে ইবতেদায়ি নীতিমালা বাস্তবায়ন করে সমস্যা সমুহ সমাধান করার দাবি। ২) মাদ্রাসা বোর্ড থেকে মঞ্জুরী প্রাপ্ত সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিও ভূক্ত করার দাবি। ৩) প্রতি উপজেলায় ১ টি দাখিল, ১ টি ফাযিল/কামিল ও ১ টি মহিলা মাদরাসা সরকারিকরনের দাবি। ৪) ৩ টি সরকারি আলীয়া মাদ্রসা বিদ্যামান সমস্যা সমূহ অতিদ্রুত সমাধান করতে হবে। ৫) দেশের মসজিদ সমুহের সম্মানিত ইমাম ও মুয়াজ্জিনের ভাতা প্রদানের জোর দাবি। ৬) শতকরা ৯২% ভাগ মুসলমানের দেশে শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার জোর দাবি জানানো হয়।
ফাইল ছবি
নিউজ ডেস্ক: ভারতের পতাকা অবমাননার জেরে বাংলাদেশের কোনো রোগীকে চিকিৎসাসেবা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কলকতার জেএন রায় নামক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের কর্মকর্তা শুভ্রাংশু ভক্ত পিটিআইকে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজ এই মর্মে নোটিশ জারি করেছে যে এখন থেকে আগামী অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত জে এন রায় হাসপাতাল কোনো বাংলাদেশি রোগীকে ভর্তি করবে না এবং চিকিৎসা সেবা দেবে না। বাংলাদেশের নাগরিকরা ভারতের প্রতি যে অসম্মান প্রদর্শন করেছে, তার জেরেই নেওয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য হাসপাতালের সঙ্গে তাদের কথা হচ্ছে এবং তাদেরকেও বাংলাদেশি রোগীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা বর্তমানে সেখানে ব্যাপকভাবে ভারত বিদ্বেষ দেখতে পাচ্ছি। আমরা আশা করছি অন্যান্য হাসপাতালগুলোও বাংলাদেশের রোগীদের ব্যাপারে একই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মাটিতে ভারতের এবং ইসরাইলের পতাকার নকশা এঁকে সেটির ওপর হেঁটে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এ এমন ঘটনার পর এবার রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (আরএসটিইউ), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসটিইউ) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডিইউ) টিএসসি ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় এই পতাকার নকশাগুলো দেখা গেছে।
এর আগে ইসরাইলের পতাকা এঁকে সেটির ওপর হেঁটে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেলেও এবার ইসকন ইস্যুতে নতুন করে ভারতের পতাকা যুক্ত হয়েছে। মূলত ঘৃণা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত ছবি ও পোস্ট প্রকাশিত হওয়ার পর তা রীতিমতো ভাইরাল হয় এবং ভারতের অনেক নাগরিক এর তীব্র সমালোচনা শুরু করেন। এসবের কারণে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সেবা না দেওয়ার ঘোষণা দিলো জেএন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া