a
ফাইল ছবি
আজ দীর্ঘ দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলো। বন্ধের এই সময়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য আগ্রহভরে অপেক্ষায় ছিল ছাত্র-ছাত্রীরা। আজ তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো।
দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকেই ক্লাস শুরু হয়েছে। ফলে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
আজ সকালে রাজধানীর স্কুলগুলোতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছে অনেকটা উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবার মুখে মাস্ক। শিক্ষকদের নির্দেশনা মেনে তারা দূরত্ব বজায় রেখে স্কুলে প্রবেশ করছে।
স্কুলগুলোর ফটকে শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মেপে প্রবেশ করানো হয়। তাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ফটকে স্কুলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষকদেরও অবস্থান করতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত বছর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। কোভিড ১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আজ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: দেশের সর্বস্তরের মানুষ কোন না কোনভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। ৫ ই আগস্টের পর এই বৈষম্যগুলো যেন আরো বেশি দৃশ্যমান হচ্ছে। সকল পেশাজীবীদের মত সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন শিক্ষকরা।
আসন্ন ঈদে শতভাগ উৎসব ভাতার দাবি, শিক্ষায় বৈষম্য নিরসনে শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা, সর্বজনীন বদলি, ইবতেদায়ির নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়ন, ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা, অবসরের ৬ মাসের মধ্যে অবসর ও কল্যানের অর্থ প্রদানের দাবিতে "শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আজ ১৫ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে অধ্যক্ষ মোঃ মাঈনউদ্দিনের সভাপতিত্বে, উপাধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোঃ নাসির উদ্দিন খান।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. এ.কে.এম মাহবুবুর রহমান, ড. মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, ড. মোর্শেদ আলম ছালেহী, ড. মুহাম্মদ আবু ইউসুফ, মুফতি বদিউল আলম সরকার, ড. মোঃ আবু ছায়েম, ড. মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক মোঃ লুৎফর রহমান, জনাব মোঃ রেজাউল হক, মাওলানা শেখ নজরুল ইসলাম, মো: নুরুল হুদা, মোসলেহউদ্দিন, কারি মোঃ রফিকুল ইসলাম, ড. মুহাম্মদ আহমদ উল্লাহ, সেতারা পারভীন, প্রফেসর ড. ইকবাল হোসাইন প্রমুখ।
সবার শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, মোঃ আবদুর রহমান, মহাসচিব, বৈষম্য বিরোধী শিক্ষক কর্মচারি জোট।
সংগৃহীত ছবি
শাটডাউনের ঘোষণা আসবে এমন খবর শুনেই রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় সকালে ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে মানুষের ঢল নামে।
চলাচলে বাস বন্ধ থাকায় কয়েক ধাপে ভেঙ্গে ভেঙ্গে কয়েকগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে গন্তব্যে ছুটছে সাধারণ মানুষ। প্রতিটি গাড়িকেই পুলিশের তল্লাশি চৌকি পার হতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাড়িকেই ঢাকায় ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এতো কিছুর পরও ঠেকানো যাচ্ছেনা মানুষের ঢলকে।
সকালে ঢাকায় প্রবেশ ও বাহিরের অন্যতম সড়ক গাবতলী এলাকা, ঢাকা- মাওয়া রোড, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড। সবকিছু উপেক্ষা করেই ছুটছে সাধারণ মানুষ। শাটডাউনের কথা শুনেই আগে আগে রাজধানী ছাড়ার চেষ্টা করছে।
এমন পরিস্থিতিতে যানবাহন না পেয়ে অনেকেই আবার কাভার্ডভ্যান, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন বিকল্প যানবাহনে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে বাড়ি যাচ্ছে।