a
ফাইল ছবি
গত সোমবার ১৬ আগস্ট নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকা থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন ফি ১৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে যদি কেউ রেজিষ্ট্রেশন করতে চায় সেক্ষেত্রে তাকে বিলম্ব ফি ১৪০ টাকা অতিরিক্ত দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইএন নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করতে হবে। এরপর রেজিষ্ট্রেশন ফরম পূরণ করতে হবে। সোনালী সেবার মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন ফি পরিশোধ করতে হবে ।
ফাইল ছবি
নবম শ্রেণির ভর্তি ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের চলমান রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরির্দশক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞা স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণির ভর্তি ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি পাওয়া সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। অনিবার্য কারণবশত এ কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
পরবর্তীতে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হলে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা জানিয়ে দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরির্দশক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞা বলেন, গত রবিবার থেকে নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু করা হলেও সার্ভার জটিলতা দেখা দেয়ার সেটি স্থগিত করা হয়েছে। বর্তমানে এইচএসসি পরীক্ষার ফরমপূরণ কার্যক্রম চলমান থাকায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষার ফরমপূরণ কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর আবারও নবম শ্রেণির ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেয়া হবে। এদিকে চলতি বছরের (২০২১) এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত। আগের বছরের চেয়ে এবার ফি কমানো হয়েছে। জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে এবার কোনো নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না। ফরম পূরণের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অনলাইনে হবে। কোনো অবস্থায় শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের সশরীরে প্রতিষ্ঠানের যেতে হবে না।
ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ। দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের আজকের এই দিনে সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।
এর আগে সেনা সমর্থিত ১/১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হন। প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়।
আটক থাকাকালীন কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন। এরপর আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
এদিকে মুক্তি পেয়েই চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান শেখ হাসিনা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই তার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেয়া হয় তাকে।
এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগসহ মহাজোট সরকার গঠিত হয়। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনাও টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থ বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে কারামুক্ত হওয়ার পরের বছর থেকেই এ দিনটিকে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। এ বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করছে বিভিন্ন সংগঠন।