a
ফাইল ছবি
গত সোমবার ১৬ আগস্ট নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকা থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন ফি ১৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে যদি কেউ রেজিষ্ট্রেশন করতে চায় সেক্ষেত্রে তাকে বিলম্ব ফি ১৪০ টাকা অতিরিক্ত দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইএন নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করতে হবে। এরপর রেজিষ্ট্রেশন ফরম পূরণ করতে হবে। সোনালী সেবার মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন ফি পরিশোধ করতে হবে ।
ফাইল ছবি
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে তা আর হচ্ছে না। ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এ তথ্য জানান। এ সময় করোনা সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায়, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান দীপু মনি।
এর আগে গত বুধবার (২৪ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন যে, আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও সেদিন খোলা সম্ভব নয়। শবে বরাতের সরকারি ছুটি ২৯ মার্চের পরিবর্তে ৩০ মার্চ নির্ধারণ করার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এদিন খুলছে না।
মো. মাহবুব হোসেন আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে দু-একদিনের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালকের সাথে আলোচনা করা হবে। ৩০ মার্চ ছুটি ঘোষণা করে মাউশিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হবে।
ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি ভাল থাকলে আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।
ছবি: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন ‘গণভবন’ থেকে পালাতে তাকে মাত্র ৪৫ মিনিট সময় বেধে দিয়েছিল গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বাহিনীর সূত্রের বরাতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিন বাহিনীর প্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ডাকা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী কেন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। আন্দোলনকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁজোয়া যানে উঠে লাল রং দিয়ে দিচ্ছেন, সামরিক যানে পর্যন্ত উঠে পড়ছেন—এর পরও কেন তারা কঠোর হচ্ছে না, সেটা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, আপনাদের বিশ্বাস করেই শীর্ষ পদে বসিয়েছিলাম।
একপর্যায়ে শেখ হাসিনা আইজিপিকে দেখিয়ে বলেন, তারা (পুলিশ) তো ভালো করছে। এ সময় আইজিপি জানান, পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গেছে, তাতে পুলিশের পক্ষেও আর বেশি সময় কঠোর অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব নয়।
এরপর বৈঠকে শীর্ষ কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, বলপ্রয়োগ করে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা সেটা মানতে চাচ্ছিলেন না। পরবর্তীতে তারা শেখ রেহানার সঙ্গে অন্য কক্ষে আলোচনা করেন। তাকে পরিস্থিতি জানিয়ে শেখ হাসিনাকে বোঝাতে অনুরোধ করেন। শেখ রেহানা এরপর বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু তাতেও তিনি ক্ষমতা দূঢ়ভাবে আকড়ে ধরে রাখার ব্যাপারে অনড় থাকেন। একপর্যায়ে বিদেশে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। এরপর জয় তার মায়ের সঙ্গে কথা বলে তাকে পদত্যাগে রাজি করান। শেখ হাসিনা তখন একটা ভাষণ রেকর্ড করতে চান জাতির উদ্দেশে প্রচারের জন্য।
কিন্তু ততক্ষণে গোয়েন্দা তথ্য আসে যে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা শাহবাগ ও উত্তরা থেকে গণভবন অভিমুখে রওনা হয়েছে। দূরত্ব বিবেচনায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে শাহবাগ থেকে গণভবনে আন্দোলনকারীরা পৌঁছে যেতে পারে। ভাষণ রেকর্ড করতে দিলে গণভবন থেকে বের হওয়ার সময় না-ও পাওয়া যেতে পারে। এই বিবেচনায় শেখ হাসিনাকে ভাষণ রেকর্ডের সময় না দিয়ে ৪৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয় গণভবন ছাড়তে।
এরপর ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরে হেলিপ্যাডে আসেন শেখ হাসিনা। সেখানে তাদের কয়েকটি লাগেজ ওঠানো হয়। এরপর তারা বঙ্গভবনে যান। সেখানে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেলা আড়াইটার দিকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে ছোট বোনসহ ভারতের উদ্দেশে উড়াল দেন শেখ হাসিনা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন