a
ফাইল ছবি
আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের প্রতিও আগ্রহ আছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের। দেশটি নানা বৃত্তি দেয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের। এর অন্যতম একটি ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটনের ডক্টরাল স্কলারশিপ।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটিতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীরাও নিউজিল্যান্ডের সম্পূর্ণ অর্থায়নের এই পিএইচডি বৃত্তির জন্য যোগ্য। এ বৃত্তির আওতায় ১১০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী এ বৃত্তি পাবেন।
পড়াশুনার ক্ষেত্রসমূহ:
স্থাপত্য, ব্যবসায় এবং সরকার, নকশা, শিক্ষা, প্রকৌশল, স্বাস্থ্য, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, সংগীত, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন ও গবেষণা করা যাবে।
বৃত্তির সুযোগ–সুবিধা:
স্কলারশিপে তিন বছরের টিউশন ফি মিলবে। বছরে ২৯ হাজার ৫০০ ডলার করে উপবৃত্তি।
আবেদনের যোগ্যতা:
আগ্রহী আবেদনকারীর ভালো একাডেমিক প্রোফাইল থাকতে হবে
আবেদনকারী শিক্ষার্থীর একাডেমিক রেফারেন্স থাকতে হবে;
শিক্ষর্থীকে অবশ্যই উচ্চমানের গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আগ্রহ ও সম্ভাবনা থাকতে হবে;আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশনা থাকতে হবে।
আবেদনের প্রক্রিয়া:
ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটনের ডক্টরাল স্কলারশিপে আবেদনে সব প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। নির্বাচিত স্কলারদের ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের সম্পূর্ণ অর্থায়নে পিএইচডি বৃত্তি দেওয়া হবে। আবেদনের কয়েকটি ধাপ লক্ষ্য করতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ:
এ বৃত্তির জন্য বছরে তিনবার আবেদন করা যায়। ১ মার্চ, ১ জুলাই ও ১ নভেম্বরে আবেদন করা যায়। সূত্র: প্রথম আলো
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থানরত দুর্নীতি বিরোধী সমাজের শিক্ষকদের গুলি করে মারার হুমকি দেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের মেয়াদের শেষ সিন্ডিকেট সভা তার বাসভবনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে শিক্ষকদের বাধার মুখে ১১টার দিকে সভা স্থগিত করতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উপাচার্যের এই সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করার দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষকেরা। উল্লেখ্য, এর আগেই উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীরা।
সকাল ১০টা ১৫টার দিকে উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করার উদ্দেশ্য তার বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। এসময় ছাত্রলীগকে নিবৃত্ত করার জন্য প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানের কাছে অনুরোধ জানান শিক্ষকেরা।
তবে একপর্যায়ে পুলিশ এবং প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতেই শিক্ষকদের সাথে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা লাঞ্চিত হন। এসময় প্রক্টরও লাঞ্চিত হন।
এ ঘটনার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে থেকে এক যুবক শিক্ষকদের গুলি করার হুমকি দেয়া হয়। সংবাদকর্মীদের ধারণ করা একটি ভিডিওতে বিষয়টি দেখা যায়।
দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষকদের মধ্যে বাংলা বিভাগের শিক্ষক শফিকুন্নবি সামাদী বলেন, আমরা উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। এমনকি আমাদের গুলি করার হুমকি দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে এভাবে হুমকি দেয়ার সাহস কেউ রাখে না। এটি আমাদের নিরাপত্তার বিষয়। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দায়ী।
ফাইল ছবি
চলছে রহমত বরকতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। প্রত্যেক বছর পবিত্র রমজান মাসে উপলক্ষে রাজধানী পুরান ঢাকার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ইফতারির বাজারে বাহারি ইফতারির দোকান সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। ঢাকার বিভিন্ন যায়গা থেকে মানুষ আসে সেখানে ইফতার কিনতে।
কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতি, মহামারী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছরের ন্যায় এবছর ও সে ধরনের উৎসবমুখর ইফতারির বাজার দেখা যাচ্ছে না। কিছু পরিমান দোকান দেখা গেলেও সেখানে আর আগেরমত জৌলস পাওয়া যায় না।
এবার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকানোর জন্য চলমান সর্বাত্মক লকডাউনে রীতিমতো হাহাকার তৈরি হয়েছে সর্বত্ব। ইফতারির প্রসঙ্গ আসলেই চোখে ভাসবে চকবাজারের ইফতারির কথা। দোকানিদের বক্তব্য পুরান ঢাকার মানুষ অন্যদের চেয়ে ভোজন রসিক হিসেবে পরিচিত থাকলেও সরকারি বিধিনিষেধের কারণে এবার সব যায়গায় উল্টো চেহারা দেখতে হচ্ছে।
সব যায়গায় চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকায় অনেকেই স্থানীয় হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে ইফতারি কিনে ইফতার করছেন। সরকারি নির্দেশনার ভিত্তিতে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা না থাকায় বিক্রেতাদের মনে তেমন আনন্দ নেই। নেই তেমন হাক ডাক। করোনার কারনে বিক্রেতারা তেমন বেশি কিছু আইটেম তৈরিও করছে না ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার আশংকায়।
এছাড়া লকডাউন তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সর্বত্রই টহল দিতে দেখা যাচ্ছে চকবাজারসহ পুরো এলাকায়। সীমিত পরিসরে ইফতার ও বাজারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ব্যাপক তৎপরভাবে কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।