a
ফাইল ছবি
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ২ ডিসেম্বর প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। ইতিপূর্বে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এরপর গত ৩০ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শেষ হয়। করোনা সংক্রমণের কারণে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস না হওয়ায় বিভাগভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ৬টি বিষয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
ফাইল ছবি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আগামী বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিল মাসে নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিন সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদেরকে এ কথা জানান।
দীপু মনি বলেন, এসএসসির সময় আমরা এটা করেছিলাম। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষা দুই বেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুই বেলা পরীক্ষা থাকলে দেরিতে শুরু করলে সমস্যা হয়ে যায়। আমরা দেখেছি অনেক বেশি ভিড় ও জ্যাম হয়। পরীক্ষার্থীদের অনেক আগে বাসা থেকে বের হতে হয়। দেরি হয়ে গেল কি না, তাদের মধ্যে অ্যানজাইটি কাজ করে। সে জন্য সময়টা অ্যাডজাস্ট করলে ভালো হয়। কিন্তু দুই বেলা পরীক্ষা থাকলে সেটা আর করা সম্ভব হয়না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা খেয়াল করেছি প্রতি কেন্দ্রের বাইরে অনেক ভিড়। পরীক্ষার্থীদের বাবা-মা-অভিভাবক ভিড় করেন। অবশ্য আমরা যখন পরীক্ষা দিয়েছি, তখনও আমাদের বাবা-মায়েরা আসতেন। আমরা কাউকে দোষ দিতে পারি না। বাবা-মা যারা আসেন, তারা যদি একদম গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে অন্য পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হয়। আমি আহ্বান করবো, আপনার সন্তানের মতো অনেকের সন্তান পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই একটু দূরে থাকুন।
তিনি বলেন, আগামী বছর চেষ্টা থাকবে এইচএসসি এপ্রিলে করার। এবারও আমরা চেষ্টা করেছিলাম। অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করবে। এসএসসি চেষ্টা করব আগের মতো ফেব্রুয়ারিতে নিতে।
তিনি আরও বলেন, এবার নতুন কিছু সমস্যা হবে না বলে আশা করি। পুরনো যে সমস্যা, তা যাতে না ঘটে, সে জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পাঁচ বছর ধরে প্রশ্ন ফাঁস নেই। গুজবও কমে এসছে। আশা করি এবারও থাকবে না। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণফোরাম নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সংবিধান প্রনয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ এবং গণফোরাম এর মূখপাত্র সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন- আমরা উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার সাথে লক্ষ্য করছি যে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উদযাপনকালে বর্তমানের অনির্বাচিত সরকার যেভাবে মোদির আগমন বিরোধী প্রতিবাদকে সরকারের মদদপুষ্ট তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ও রাষ্ট্রিয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা দমন ও নির্যাতন চালাচ্ছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
ছাত্রলীগ ও যুবলীগ যা করছে তা সন্ত্রাসের সামিল। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটাহাজারী ও বি-বাড়িয়ায় ৯ জন নিহত হয়েছে।
যেভাবে মসজিদে ও মাদ্রাসায় ঢুকে নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানো হচ্ছে তারও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শত শত শিক্ষার্থী যারা বিভিন্ন হাসপাতালে ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। গত কয়েক দিনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। গত দু’দিনের ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী করছি।
সরকারী আমলা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে অনেক বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ, সুস্থ্য বিচার-বুদ্ধি সম্পন্ন ভাল লোক আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ ও দাবী জানাচ্ছি যে, আপনারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সংবিধানের সঠিক দিক নির্দেশনা অনুসরণ করুন যাতে আইনানুগ পদক্ষেপ ভুলুন্ঠিত না হয় এবং যাতে জাতীর মর্যাদা, মানবিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকার সুনিশ্চিত হয়।