a
ফাইল ছবি
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত কামনায় নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে শবেবরাতের রাতটি অতিবাহিত করবেন। যদিও এ রাত সম্পর্কে অনেকের অনেক মত রয়েছে।
মুসলমানদের জন্য শবেবরাত হচ্ছে হিজরি শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ রাত। এ রাতকে ভাগ্যরজনী বলা হয়ে থাকে।
তাই তো এমন তাৎপর্যপূর্ণ দিনটির কথা স্মরণ করে এ রাতে করণীয় তুলে ধরলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। এদিন সন্ধ্যায় ছেলে আব্রাহাম খান জয়ের বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন তিনি। ছবিতে জয়কে দেখা যায়, সাদা জুব্বা-পাজামা, টুপি ও সবুজ পাগড়িতে।
ছেলের ছবির ক্যাপশনে অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘শবেবরাত। আজ ২২ ফাল্গুন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৭ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ শাবান, ১৪৪৪ হিজরি, মঙ্গলবার, বসন্তকাল। আজকের রাতকেই শবেবরাত বলা হয়, আজকের রাতে মহান রাব্বুল আল আমিন প্রথম আসমানে এসে ফজর পর্যন্ত বান্দাদের ডাকতে থাকেন আর বলতে থাকেন— কে আছ আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। কে আছ আমার কাছে রিজিক চাইবে আমি তাকে রিজিক দান করব। এভাবে করে বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে আল্লাহতায়ালা ডাকতে থাকেন। সুবহানআল্লাহ।’
এদিন রাতের করণীয় তুলে ধরে তিনি লেখেন— ‘এ রাতে করণীয়- রাত জেগে নফল নামাজ, তাসবিহ তাহলিল, কুরআন তিলাওয়াত, সালাতুত তাসবিহের নামাজ, দোয়া ইস্তেগফার, ও কবর জিয়ারত করা, পর দিন রোজা রাখা। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে শবেবরাতের উসিলায় পূর্ণ ক্ষমা করেন এবং এর বরকত দান করেন। আমিন।’ সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি: বুবলি
দীর্ঘদিনের আড়াল ভেঙে চলতি বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করেছেন চিত্রনায়িকা বুবলী। এখন পুরোদমে কাজ নিয়ে চিন্তা-ভাবনায় ডুবে আছেন। সর্বশেষ ‘চোখ’ শিরোনামের একটি সিনেমার শুটিং করেন এই নায়িকা। এটি পরিচালনা করছেন আসিফ ইকবাল জুয়েল। এ ছবির দৃশ্য ধারণের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। ছবিতে বুবলীর চরিত্রের নাম রেজনি। এতে তার সঙ্গী দুই নায়ক। নিরব ও রোশান।
এরপর খানিকটা বিরতি নিয়েছেন তিনি। বুবলী বলেন, ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আমি একটু থেমে থেমেই কাজ করি। যেন খুব কাজের চাপে পড়তে না হয়। আর পরবর্তী কাজেও যেন সমস্যা না হয়। একটু সময় নিলে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা যায়। সেই ধারাবাহিকতায় বছরের শুরুতেই দর্শকদের সামনে এসেছি।
বুবলি জানান, বর্তমানে তিনি ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’ সিনেমাটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন। এটি পরিচালনা করবেন তপু খান। এতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করবেন বুবলী। যেটির শুটিং আগামী মাসে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও এই সিনেমার প্রধান চরিত্রে থাকা শাকিব খান অন্য একটি সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। ওই সিনেমার শুটিং শেষ করেই তিনি ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’ সিনেমায় যোগ দেবেন বলে জানা যায়।
এই নায়িকা বলেন, যখন যেই চরিত্রটি করি সেটাই মনে হয় স্বপ্নের। নির্মাতা তপু খান খুবই ভালো আয়োজনে সিনেমাটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন। সব সময় আলাপ-আলোচনা করছেন। নতুন কিছু করার চিন্তা-ভাবনা করছেন। সিনেমাটিতে আমার যেই চরিত্র সেটি খুবই চ্যালেঞ্জিং। তাই আলাদাভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে হচ্ছে। পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েই শুটিংয়ে নামবো। শুধু এই দুইটি সিনেমা নয় সামনে আরো বড় চমক আছে বলেও জানান বুবলী।
নতুন আরও কয়েকটি সিনেমার সঙ্গে কথা চলছে তার। সেগুলোতে চুক্তিবদ্ধ হলে জানাবেন এক এক করে। বুবলী বলেন, আসলে শতভাগ পাকাপাকি না হওয়া পর্যন্ত বলতে চাই না। তবে খুব ভালো কিছু ছবির প্রস্তাব রয়েছে। ব্যাটে বলে মিললে সেখানো অভিনয় করবো।
ফাইল ছবি: মোল্লা জালাল ও উদয় হাকিম
সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল পুনরায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি ঢাকার সভাপতি পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিং বিডির প্রধান সম্পাদক উদয় হাকিম। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংগঠনটির প্রীতিভোজ ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলন শেষে মোল্লা জালাল ও উদয় হাকিমের নেতৃত্বে ৩৫ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন সমিতির বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক নুরুল হাসান খান। এ সময় বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ ৬ জেলার নেতারা সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। এ কমিটি আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে। কমিটির প্রথম বৈঠক আগামী ১০ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক উদয় হাকিম।
কমিটির সহ-সভাপতিরা হলেন- আশরাফ আলী (টাঙ্গাইল), মহসিন আব্বাস (কিশোরগঞ্জ), নুরুল হাসান খান (নেত্রকোনা), পল্লব মাহমুদ (জামালপুর), রুশো হায়দার (শেরপুর)। যুগ্ম সম্পাদকরা হলেন- ইব্রাহিম খলিল খোকন (কিশোরগঞ্জ), মোহাম্মদ শাহজাদা (জামালপুর), শওকত আলী খান লিথো (নেত্রকোনা), আকতার হোসেন (ময়মনসিংহ) ও তানজিল রিমন (শেরপুর)।
এছাড়া কমিটির কোষাধ্যক্ষ সরদার ফরিদ আহমদ, প্রচার সম্পাদক বাহরাম খান, দফতর সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া। সাংস্কৃতিক সম্পাদকের পদটি এখনো শূন্য রয়েছে। কার্যকরী কমিটির প্রথম সভায় তা পূরণ করা হবে।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা পদাধিকার বলে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তারা হলেন- কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি আজিজুল হক এরশাদ, সাধারণ সম্পাদক হামিদ মোহাম্মদ জসীম, টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি তালুকদার হারুন, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মান্না, ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি ঢাকার সভাপতি উৎপল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, জামালপুর সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল, নেত্রকোনা সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি ফারুক তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম, শেরপুর সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার আহবায়ক হকিকত জাহান হকি ও সদস্য সচিব মামুন আবদুল্লাহ।
এছাড়া ৬ জেলার নারী সদস্যরা হলেন- মফিদা আকবর (ময়মনসিংহ), শাকিলা জেসমিন (কিশোরগঞ্জ), শাহনাজ পারভীন এলিস (টাঙ্গাইল), বনশ্রী ডলি (নেত্রকোনা), খাতুনে জান্নাত কণা (জামালপুর) এবং তাছলিমা হোসেন শিখা (শেরপুর)।