a
ফাইল ছবি
দেশবরেণ্য গণমাধ্যমব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত অন্যান্য বছরের ন্যায় বইমেলা-২০২৩ নিয়ে এলেন নতুন বই। বইটির নাম ‘আবেগ যখন বিবেকহীন’।
তার লেখালেখি প্রসঙ্গে হানিফ সংকেত গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মিডিয়াতে আমার শুরুটাই লেখালেখি দিয়ে। আর সেটা সত্তুর দশকের শুরু থেকেই। দর্শকদের ভালোবাসার কারণে ইত্যাদিকে নিয়ে বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকতে হয়, তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সবসময় লিখতে পারি না। কারণ গত ৩৪ বছর ধরেই আমাকে একটা সিডিউল মেনে চলতে হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট তারিখে ইত্যাদি প্রচার হয় বলে আমাকে সেই তারিখের আগে অনুষ্ঠানটি নির্মাণ করে জমা দিতে হয়। তবে যত ব্যস্ত থাকি না কেন মনের ক্ষুধার তাড়নায় চেষ্টা করি সংখ্যায় বেশি না হলেও বছরে অন্ততঃ একটি হলেও বই প্রকাশ করতে।’
তিনি জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান ইত্যাদি নির্মাণ করে আসছেন গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে। সামাজিক অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি লেখালেখিতেও তার গভীর পর্যবেক্ষণ অনুকরনীয়।
বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরে সমাজকে পরিশুদ্ধ করতে তিনি যেমন নিরন্তন কাজ করে যাচ্ছেন তেমনি আমাদের নাগরিক সচেতনতা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেও ভূমিকা রাখছেন আন্তরিকতার সঙ্গে। তার এবারের গ্রন্থেও সেই বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বলে জানান।
‘আবেগ যখন বিবেকহীন’ বইটি সম্পর্কে হানিফ সংকেত বলেন, আবেগ ও বিবেকের মধ্যে পার্থক্য হলো, বিবেক উচিত-অনুচিত, ভালো-মন্দ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আর আবেগ ভাবাবেগে কাজ করে। আবেগের বেগ বেশি হলে মানুষ ভুল করে বসে, বিবেকও কাজ করে না। ফলে মানুষ হয়ে পড়ে বিবেকহীন। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, দেখার চোখই শুধু চোখ নয়। বিবেকেরও চোখ আছে। কিন্তু আমরা অনেকেই চোখ থাকতেও অন্ধ। যে কারণে অসংগতি, দূর্গতি, ভোগান্তি এবং অশান্তি লেগেই থাকে। কারণ বিবেকহীন মানুষ কখনও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘আবেগ যখন বিবেকহীন’ গ্রন্থটি। বইটি প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। বইটি বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে।
ফাইল ছবি
অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের স্বামীর নাম ওয়েবসাইটের নথিতে দেয়া আছে নিখিল জৈন। আর লোকসভার ওয়েবসাইটে স্পষ্ট লেখা নুসরাত বিবাহিত। তিনি বিয়ে করেছেন ২০১৯ সালের ১৯ জুন মাসে। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই হইচই শুরু হয়েছে গোটা পশ্চিমবঙ্গে।
এর আগে বুধবার দুপুরে অভিনেত্রী নুসরাত জাহান স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘‘নিখিলের সঙ্গে আমি সহবাস করেছি। বিয়ে নয়। ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না।’’
এরপরই হইচই শুরু হয়ে যায়। কিন্তু পরে দেখা যায়, নুসরাত নিখিলের সঙ্গে লিভ-ইন করেছেন বলে দাবি করলেও সরকারি নথিতে তিনি বিবাহিত এবং স্বামীর নাম নিখিল জৈন।
সম্প্রতি জানা যায়, মা হতে চলেছেন নুসরাত। অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় কী তা নিয়ে গত ৫ দিন ধরে বিতর্ক তুঙ্গে। শুধু তাই নয়, নিখিলের সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে না কেন, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে চার দিক থেকে। এমনকি লেখিকা তসলিমা নাসরিনও নুসরাতের নীরবতা নিয়ে কথা বলেছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
তসলিমা নাসরিন লিখেছিলেন, ‘…এই যদি পরিস্থিতি হয়, তবে নিখিল আর নুসরাতের ডিভোর্স হয়ে যাওয়াই কি ভালো নয়? অচল কোনও সম্পর্ক বাদুড়ের মতো ঝুলিয়ে রাখার কোনও মানে হয় না। এতে দু’পক্ষেরই অস্বস্তি।’ এর পরেই নুসরাত জানিয়েছেন, তিনি আদৌ নিখিলকে বিয়েই করেননি।
যদিও এর আগে খুব কম অতিথি নিয়েই তুরস্কে বিয়ে হয়েছিল নুসরাত ও নিখিলের। সেই প্রসঙ্গ টেনে নুসরাত জানিয়েছেন, তুরস্কের বিবাহ আইন অনুসারে ওই অনুষ্ঠান অবৈধ। উপরন্তু হিন্দু-মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ে করা উচিত। যা এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি। ফলত, এটা বিয়েই নয়। বুধবার এমনই যুক্তি প্রকাশ্যে এনেছেন অভিনেত্রী নুসরাত। তার দাবিনানুযায়ী, যে বিয়ে আইনতসিদ্ধ নয়, তার জন্য বিবাহ বিচ্ছেদের প্রয়োজন নেই।
কিন্তু সংসদকে বিবাহিত হিসেবে পরিচয় জানিয়েছেন কেন? এবার উঠবে সেই প্রশ্ন। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী সংসদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ওয়েবসাইটে পরিচয় দেওয়া হয়। তবে গত লোকসভা ভোটের আগে লোকসভা নির্বাচনকে যে হলফনামা দিয়েছিলে নুসরাত তাতে অবিবাহিতই দাবি করেছিলেন নিজেকে। কারণ, তার বিয়ের যে তারিখ লোকসভার ওয়েবসাইটে রয়েছে তা নির্বাচনের পরের। সূত্র: আনন্দবাজার
সংগৃহীত ছবি
পাকিস্তান সরকার ভারত থেকে চিনি এবং তুলা আমদানির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে এখনও কোন অগ্রগতি না হওয়ায় ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পাকিস্তান সরকার জনগনের সমালোচনার মুখে পড়ে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান আমদানি বাণিজ্য স্থগিত করতে বাধ্য হয়। খবর দ্য হিন্দু ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। ওই বৈঠকে আলোচনা হয় ভারত থেকে চিনি ও তুলা আমদানি করার ব্যাপারে। পাকিস্তানের বিরোধীদল এবং কাশ্মীরি জনগণের পক্ষ থেকে কঠোর সমালোচনার পর পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে।
এসব ঘটনায় মনে হচ্ছে, পাকিস্তান সরকার জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছে। তাই কাশ্মীর পরিস্থিতির অগ্রগতি ছাড়া এমূহুর্তে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য শুরুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জনগণের বিরাট এক অংশ।