a
সংগৃহীত ছবি
বুধবার থেকে দেশে শুরু হয়েছে আট দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই সময়টা বন্ধ থাকবে ছোট-বড় সব সিনেমা হল। তবে ছয়টি বিশেষ শর্তে স্বল্প পরিসরে নাটক ও সিনেমার শুটিং চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনয় শিল্পীরা।
সিনেমার শুটিং প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘সরকারি নিয়ম মেনে কেউ যদি শুটিং করতে চান তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে এখন শুটিং না করাই ভালো বলে মনে করি।’
অন্যদিকে, নাটকের শুটিংয়ের বিষয়ে টিভি নাটকের পাঁচ সংগঠন এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, লকডাউনে সব ধরনের শুটিংয়ের কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার ব্যাপারে আন্তঃসংগঠন একমত পোষণ করলেও জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প পরিসরে ৬টি শর্তে টিভি নাটকের শুটিং করতে পারবেন প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনয় শিল্পীরা।
ছয়টি শর্ত হলো-
১) আন্তঃসংগঠনের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে কাজ করতে হবে।
২) শুটিংয়ের আগে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধান শিল্পী-কলাকুশলীদের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ ও শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য অবহিত থাকবেন।
৩) করোনাভাইরাসের তীব্রতার মধ্যে পরিস্থিতি বিচারে কোনো শিল্পী, কলাকুশলীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শুটিংয়ে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে জোর করা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে যেকোনো শিল্পী সঙ্গত কারণ দেখিয়ে চুক্তিবদ্ধ কাজ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করতে পারবেন।
৪) ঢাকা শহর অথবা ঢাকার বাইরে শুটিংয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিল্পী-কলাকুশলীদের আনা-নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত গাড়ির ব্যবস্থা করবেন।
৫) সদস্যবৃন্দের যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে নিজ নিজ সংগঠনে পরিচয়পত্র সাথে রাখবেন।
৬) যেহেতু প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে, অতিব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। তাই জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হবেন।
এর আগে গত বছরের লকডাউনে প্রায় ছয় মাস সিনেমা হলের পাশাপাশি সব ধরনের শুটিং বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এর ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন বিনোদন জগতের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্বল্প আয়ের মানুষরা, বিশেষ করে যারা দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন। বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন পরিচালক-প্রযোজকরাও। সেই দিক বিবেচনায় এবার শুটিংয়ের বিষয়ে কিছুটা নমনীয় পরিচালক ও শিল্পী নেতারা।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা: গতকাল রাজধানীর রামপুরায় সুইড বাংলাদেশের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রামপুরা শাখার সভাপতি ডঃ মনির আল দ্বিন সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুইড বাংলাদেশের সভাপতি ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, মেনটর মো. মামুনুর রশিদ, সুইড বাংলাদেশের যুগ্ন সম্পাদক ইমলদা হোসেন দিপা, আসিফ ইকবাল প্রমুখ।
সভার দ্বিতীয় পর্বের সাধারণ সভায় তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ,টি,এম, মমতাজুল করিম, এডঃ মোশাররফ হোসেন মনির ও অধ্যাপক মোহা: খোরশেদ আলম।
উপস্থিত সাধারণ সদস্যদের মধ্যে থেকে পুর্ন প্যানেলে সভাপতি - ডঃ মনির আল দ্বিনসহ সভাপতি - কামাল উদ্দিন আহমেদ, আব্দুর রশিদ, আবদুল বারেককে সহ- সভাপতি, বকুল চন্দ্র মহন্তকে নির্বাহী সচিব, মোঃ শহীদুল ইসলামকে যুগ্ম সচিব, এজানুর রহমানকে অর্থ সচিব, রমেশ ব্যাপারীকে সাংগঠনিক সচিব, পংকজ কুমার দাশকে ক্রিড়া সচিব, আরিফ চৌধুরী পলাশ সাংস্কৃতিক সচিব, হাফিজুর রহমানকে প্রচার সম্পাদক, আরিফা আক্তার কাকন কল্যান সম্পাদক , শান্তি জান্নাত, মামুনুর রশীদ, রেখা রানি বিশ্বাস ও তৌহিদুল ইসলামকে নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত করে ২০২৫-২৭ অর্থ বছরের কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভা ও ২০২৫-২০২৭ কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনের পর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইল ছবি
আঙুলের পুরনো ব্যথা ফিরে আসায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে খেলেননি সাকিব আল হাসান। তবে প্রেসিডেন্টস বক্সে বসে খেলা দেখেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এসময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে কথাও বলেছেন সাকিব। পাপন বলেন, আজ সাকিব আমাকে বলছে যে এবারের বিশ্বকাপে আমাদের জন্য ভালো সুযোগ আছে। সাকিবের মতো খেলোয়াড় যখন বলে এবার ভালো সুযোগ আছে তার মানে দলের ওপরও তার আত্মবিশ্বাস আছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় অবশ্য আক্ষেপও ঝরেছে পাপনের কণ্ঠে। তিনি বলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের যে পরিকল্পনা তা ঠিকঠাক মতো হয়নি। এটা নিয়েও সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। আসলে দেড় বছর ধরে আমাদের মাথায় থাকা পরিকল্পনাগুলো ভেস্তে গেছে। অনেক দেশ পরিকল্পনাগুলো নিয়ে কাজ করতে পেরেছে। কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। তারপরও যতটুকু করতে পেরেছি আমি মনে করি, সেটা ভালোভাবে করেছি।
এদিকে, বাংলাদেশের পোস্টারবয়কে এখন টি-টেয়েন্টিতে মালিঙ্গার সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড ছুঁতে অপেক্ষা করতে হবে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। আগামী ১৭ অক্টোবর শুরু হবে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ মিশন। তার আগে ৪ অক্টোবর দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল।
প্রথম রাউন্ডে টাইগারদের প্রথম প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপের অন্য দুই দল স্বাগতিক ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি। প্রথম রাউন্ডে সেরা দুই দলের মধ্যে থাকলে বাংলাদেশ পাবে সুপার-১২’র টিকিট। পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে হারলেও আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা। টানা তিন সিরিজ জয় দলকে আত্মবিশ্বাস দেবে বলেই মনে করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মাহমুদউল্লাহ বলেন, সবশেষ তিন সিরিজে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। টানা তিনটি সিরিজ জিতেছি। দলের জন্য অবশ্যই এটা ভালো হয়েছে। আশা করছি, এই জয়গুলো থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস বিশ্বকাপে কাজে দেবে।