a
ফাইল ছবি
১২ নভেম্বর ঢালিউড অ্যাওয়ার্ডে অংশ নিতে যুক্তরাষ্টে গিয়েছেন নায়ক শাকিব খান। কিছুদিন পর খবর বের হয় যে, আমেরিকান নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করেছেন শাকিব। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি শাকিব। এর মধ্যেই জানা গেল অন্য আরেক তথ্য—শাকিব খান শুধু নিজের জন্যই নয়, তাঁর একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়ের নাগরিকত্বের জন্যও আবেদন করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে শাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ফোন ধরেননি তিনি। তবে সন্তানসহ নাগরিকত্বের আবেদনের বিষয়টি শাকিব না বললেও বিভিন্ন সূত্র থেকে জেনেছেন শাকিব খানের সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস থেকে।
অপু বিশ্বাস বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর স্তব্ধ হয়ে গেছি। এ বিষয় নিয়ে আর কথা বলতে চাই না। আব্রাম ছোটবেলা থেকেই আমার সঙ্গে থাকে। তাকে মানুষ করতে দিন-রাত পরিশ্রম করছি। গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রাম, নরসিংদীতে শো করেছি, এখন (গতকাল দুপুর) আছি নোয়াখালীর পথে। যা করছি তা তো আব্রামের জন্যই। ওকে যদি কেউ ছিনিয়ে নিতে চায় সেটা অন্যায় হবে।’ সূত্র: কালের কন্ঠ
ফাইল ছবি
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় মডেল এবং অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীম। গতকাল ২৪ মে সোমবার ভিভো অফিসিয়াল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ চুক্তিটির বিষয়ে ঘোষণা করে। চুক্তির নিয়মানুযায়ী ভিভোর প্রিমিয়াম ভি সিরিজের প্রচারণা করতে দেখা যাবে মীমকে।
বাংলাদেশের স্মার্টফোনের বাজারে ভিভোর ভি সিরিজের মান বৃদ্ধি করতে এবং এ সর্ম্পকে গ্রাহকদের কাছে ভিভোর জনপ্রিয়তা পৌছে দিতে এই চুক্তি করেছে ভিভো। জনপ্রিয় অভিনেত্রী মীম যুব সমাজের কাছে তার অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের দ্বারা তুলে ধরবেন ভিভো ফোন। গত বছর ভি২০ সিরিজ বাজারে আসার পর থেকেই ভিভো পরিবারের অংশে পরিণত হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের স্থানীয় গ্রাহকদের সাথে ভিভো’র সর্ম্পক আরো শক্তিশালী করতে এই চুক্তি করা হয়েছে।
চুক্তির বিষয়ে বিদ্যা সিনহা মীম বলেন, তারুণ্যের ব্র্যান্ড ভিভো’র প্রিমিয়াম র্স্মাটফোন ভি সিরিজের অংশীদার হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। সেই সাথে আমি বেশ আগে থেকেই ভিভো’র একজন ভক্ত। ইতোমধ্যেই আমি ভিভো’র আরো কিছু পণ্যের মডেল হিসেবে কাজ করেছি। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের পছন্দ এমন একটি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য বড় সম্মানের বলে মনে করি।
ভিভো বাংলাদেশের ডেপুটি ব্র্যান্ড ম্যানেজার তানজীব আহামেদ বলেন, আমাদের ফ্ল্যাগশিপ র্স্মাটফোন ভি -সিরিজের জন্য বিদ্যা সিনহা মীমের সাথে অংশীদারিত্ব স্থাপন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। ভি -সিরিজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এর স্নিগ্ধ ডিজাইন; আর প্রাণবন্ত গ্রাহকদের জন্য এর ক্যামেরার বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি। বিদ্যা সিনহা মীম র্স্মাটফোন ব্যবহারকারী নতুন প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত একজন প্রতিনিধি।
ফাইল ছবি
সিলেটের আবাসিক হোটেল যেন ‘মিনি পতিতালয়’। পুলিশ প্রতিনিয়ত অভিযানের পরও বন্ধ হচ্ছে না অসামাজিক কাজ। চিহ্নিত হোটেলগুলোর মালিকদের ডেকে এনে পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে- চিহ্নিত হোটেল মালিকরা সতর্ক না হওয়ায় পুলিশ আবাসিক হোটেলে অভিযান জোরদার করেছে। তিনটি অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৪ জন নারী-পুরুষকে। সিলেটের ৩ এলাকার আবাসিক হোটেলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। এর মধ্যে রয়েছে সিলেটের উত্তর অংশের সুরমা মার্কেটের দু’টি আবাসিক হোটেল ও বন্দরবাজার এলাকার কয়েকটি হোটেল।
এ ছাড়া অপরাধ জোন দক্ষিণ সুরমার কয়েকটি হোটেলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন- এসব হোটেলের মালিকদের পুলিশের বড় কর্তারা সতর্ক করলেও মূলত থানা ও ফাঁড়ির মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা এই অসামাজিক কাজে শেল্টার দিয়ে থাকে। লালদিঘীর পাড়ের হোটেল সোনালী।
গত এক বছরে একাধিকবার ওই হোটেলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। প্রতিবারই অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে অসামাজিক কাজে নিয়োজিত নারী ও পুরুষকে। অভিযান শেষ হওয়ার পর আবার শুরু হয় অবৈধ ব্যবসা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন শুধু অসামাজিক কাজ নয়, এসব হোটেলে মাদকের হাট গড়ে তোলা হয়েছে। ইয়াবা বিক্রি ও সেবন করা হচ্ছে এসব হোটেলে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সিলেটের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। গত রোববার সন্ধ্যারাতের দিকে সোনালী আবাসিক হোটেলে ফের অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ যুবক ও ৩ যুবতীকে গ্রেপ্তার করেছে।
বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন- হোটেল সোনালীর বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজের অভিযোগ ওঠায় মালিকপক্ষকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সতর্ক হয়নি। সুরমা মার্কেটের নিউ সুরমা আবাসিক হোটেল। সিলেটের পরিচিত অসামাজিক কাজের স্থান এটি। অনেকটা প্রকাশ্যেই ওই হোটেলের মালিকপক্ষ চালিয়ে যাচ্ছে অসামাজিক কাজ।
গত ৬ মাসে অন্তত ৬-৭ বার এই হোটেলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কখনো কখনো পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ হোটেলের অভিযানে অংশ নেন। এরপরও হোটেলে অসামাজিক কাজ বন্ধ হয়নি। বরং মাঠপর্যায়ের পুলিশের শেল্টার নিয়ে হোটেলের মালিকপক্ষ প্রকাশ্যেই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
নিউ সুরমা আবাসিক হোটেলের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত সুরমা মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। অভিযোগের পর অভিযোগ ওঠায় গত বৃহস্পতিবার পুলিশ ওই হোটেলে অভিযান চালিয়েছে। এ সময় হোটেল থেকে ২ যুবতী ও ৬ যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে এসএমপি অ্যাক্টের ৭৭ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়েছে।
অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আরেক নিরাপদ জোন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কয়েকটি আবাসিক হোটেল। এর মধ্যে হোটেল তিতাস ও হোটেল প্রভাতী হচ্ছে পরিচিত হোটেল। ওই হোটেলে গত ৩ মাসে একাধিকবার অভিযান চালালেও অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়নি।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বরস্থ তিতাস হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় ৩ জন নারী ও ৭ পুরুষসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই মো. রোকনুজ্জামান চৌধুরী পিপিএম এর নেতৃত্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন- গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে গত মাসে হোটেল প্রভাতীতেও অভিযান চালানো হয়েছিল। এ সময় ওই হোটেল থেকে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবক-যুবতীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানিয়েছেন- অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে ইতিমধ্যে নগরীর সবগুলো হোটেল মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। যাতে কেউ এ ধরনের কাজে জড়িত না থাকেন। এরপরও অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ না করায় পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। এসব হোটেলের মালিক পক্ষের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। সুত্র: দৈনিক মানবজমিন (শেষের পাতায় প্রকাশিত)