a
ফাইল ছবি
১৯৯৬ সালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী নায়ক সালমান শাহ। তার রহজস্যজনক মৃত্যু এখনো বিনোদন জগতে হাহাকার তৈরি করে রেখেছে। কিংবদন্তি এই শিল্পীর চলে যাওয়ার পর তার স্ত্রী সামিরা বিয়ে করেছিলেন নায়ক সালমানের বন্ধু মোশতাককে। সেই সংসারে এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে তাদের। শেষ পর্যন্ত বেশিদিন স্থায়ী হয়নি তাদের সংসার।
নতুন করে তৃতীয় বারের মত বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তিনি। আর এই তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার দ্বিতীয় স্বামী মোশতাক। কয়েকদিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল সামিরার বিয়ের ব্যাপারে। আজ শনিবার (১৪ আগস্ট) রাতে বিষয়টি জানান তার দ্বিতীয় স্বামী।
জানা যায়, সামিরার বর্তমান স্বামীর নাম ইশোতিয়াক আহমেদ। তিনি একজন সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক। গত ১৫ জুলাই উভয়ের পরিবারের সদস্যদের নিয়েই তাদের বিয়ের সম্পন্ন করা হয়।
ফাইল ছবি
৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ প্রদর্শনের পর হলভর্তি দর্শকের করতালিতে অভিভূত হয়ে আনন্দ অশ্রুতে ভেসেছেন আজমেরী হক বাঁধন। ভাষাগত দূরত্ব ছাপিয়ে দর্শকদের মাঝে কেউ কেউ পর্দার রেহানার মাঝে নিজেকে আবিষ্কার করেছেন।
সিনেমাটি দেখে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন অনেক ফরাসি নারী দর্শক। সিনেমাটি দেখে এক ফরাসি নারী দর্শক হলের ভেতরে বাঁধনকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেই মুহূর্তে জোর চেষ্টায়ও নিজের কান্না লুকাতে পারেননি বাঁধন। এ সময় তাকে অঝোরে কান্না করতে দেখা যায়।
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবিটি কানের ডবসি থিয়েটারে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ১৫ মিনিট) প্রদর্শনী শুরু হয়। প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা ব্যাপ্তির এই সিনেমাটির শুরু থেকে শেষ অবধি হলভর্তি দর্শক দেখেছেন পিনপতন নীরবতায়। শেষ হওয়ার পর দর্শক দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন এবং হাততালিতে মুখরিত করেন ডবসি থিয়েটার।
চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের পর ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয়কারী আজমেরী হক বাঁধনকে নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেহানা মরিয়ম নূরকে কেন্দ্র করেই নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।
হল থেকে বেরিয়েও কেউ কেউ চরিত্র হিসেবে রেহানার প্রতি ও বাঁধনের অভিনয়ের প্রতি মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন।
প্রদর্শনী শেষে বুধবার লাঞ্চের ফাঁকে এক বিদেশি পরিচালক বাঁধনের অভিনয়ের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘ইউ আর অ্যামাজিং’।
ডিনার থেকে ফেরার পথে এক ফরাসি নারী বাঁধনকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেছেন, ‘তুমি তো রেহানা, তোমার ছবিটি দেখেছি। দুর্দান্ত। আমি কি তোমায় একটু ছুঁয়ে দেখতে পারি?’
বাঁধন বলছেন, এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়ে তিনি বোকা বনে গিয়েছিলেন। তাকে এভাবে কেউ চিনবে সেটি জীবনে কল্পনা করার সাহসই পাননি।
আগামী ১৮ জুলাই অভিনেত্রীসহ পুরো টিম দেশে ফিরবেন বাঁধন। অভিনেত্রীর এই ছবিটি শুরু থেকে বেশ আলোচনায়। এই ছবিটির জন্য বাঁধনকে বেশ চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে বলেও জানান।
তার ভাষ্য, এই ছবির জন্য দেড় বছর আমি অন্য কোনো কাজ করিনি। এই ছবির কাজের দেড় বছর আমার জন্য মূল্যবান সময় ছিল। এখানে কাজ করতে গিয়ে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছি। চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি এই কাজটি করেছি। যে সময় সবার একটাই কথা ছিল আমি হারিয়ে যাচ্ছি। আমার ক্যারিয়ার শেষ। ঠিক সেই সময়ে আমি এই কাজ শুরু করি। অবশেষে আমার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখার কর্মসূচি থেকে সরে এসেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে আন্দোলনের অন্যান্য কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ এমনটাই জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জাফর স্যার এবং ইয়াসমিন ম্যামের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক এবং ভিসির বাসভবনের সামনে থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা মিছিল, সমাবেশ, অবস্থান কর্মসূচি, প্রতিবাদী গান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
মোহাইমিনুল আরও বলেন, আমাদের ৫ দাবির মধ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অর্থদানের অভিযোগে গ্রেফতার ৫ সাবেক শাবি শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর হয়েছে। অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার হয়েছে। অনশনকারী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ মিটিয়ে দেয়া হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি উপাচার্যের মদদে সংঘটিত পুলিশি হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল দাবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনকে প্রত্যাহার এবং ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টোরিয়াল বডির অপসারণের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে জাফর স্যার এবং ইয়াসমিন ম্যাম শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই দাবি পূরণে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করার দায়িত্ব নিয়েছেন। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের সব আবাসিক হল যা বর্তমানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে সচল আছে, সেগুলোও পুরোদমে চালু হবে বলে জানিয়েছেন।’
এর আগে, গতকাল সকাল ১০টা ২০ মিনিটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষক দম্পতি। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে অনশন ভাঙলেও বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে মঙ্গলবার ভোর ৪টায় ঢাকা থেকে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ক্যাম্পাসে পৌঁছান জাফর ইকবাল দম্পতি। ক্যাম্পাসে পৌঁছার পর ড. জাফর ইকবাল ও ইয়াসমিন হক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের অনশন ভাঙার অনুরোধ জানান।
একপর্যায়ে অনশনরত শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনশনরত অন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে সকালে অনশন ভাঙার প্রতিশ্রুতি দেন। সকালে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে অনশনস্থলে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসারত শিক্ষার্থীদের। পরে সবাইকে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান অধ্যাপক জাফর ইকবাল দম্পতি। সূত্র:বিডি প্রতিদিন