a
মুক্তা দাশ
মন কেমনের লকডাউন
এমন মিঠে বৃষ্টির আলাপনে ...
বড্ড মন কেমন করে সারাক্ষণ !
কেউ কেউ এর মধ্যে ই শাসায়... লক ডাউন!
লকডাউন চিৎকারে, বড্ড বিরক্তি ধরায়ে দেয় ।
কিভাবে থাকি বলো তো !?
তোমাকে ছাড়া এই বৃষ্টিমুখর জলসায় !
একটু মুড়ি-চানাচুরমাখা মুখোমুখি বৈঠকে
হাসিতে মুখর মাথা ঠোকাঠুকিতে
নাকে নাকে মিলমিশ
চোখে মুখে প্রেমের বন্যা ..
কি করে থাকি বলো তো ???
তোমায় যে বড্ড বেশি প্রয়োজন ।
এমন বৃষ্টি ভেঁজা মাদল হাওয়ায়
তোমার সুখটানের ধোঁয়ায় আমি ভেসে যাই,
বৃষ্টি আমায় ভিজিয়ে দেয় আপাদমস্তক !
তোমার আলতো স্পর্শ পাই ,, হারিয়ে যাই
সৃষ্টি রহস্যে! উন্মাদনার আগুন জ্বলে উঠে
পুড়িয়ে দেয় মনোভূমি কৃষ্ণচূড়ার রঙে দেহবল্লরী।
অমাবস্যার ঘুটঘুটে আঁধারে নির্বিকার! আমি
জানালার এপাশেে বৃষ্টি খুঁজে ফিরি ,
স্বৈরাচারী করোনার শাসনে
ভালোবাসাও শাসিয়ে বলে ...!!
সবেতেই লকডাউন এ ধরায় ।।
ফাইল ছবি । মফিদা আকবর
বিভ্রান্ত পথিক
মফিদা আকবর
চলেছি অদ্ভুত এক শব্দহীন শহরে।
মনে হয় ডুবে যাচ্ছি অতল গহ্বরে,
উদ্দেশ্যহীন যাত্রায় একাকী যাত্রী আমি
ট্রেনের নির্জন কামরায় বসে থাকি।
গহীন আঁধারে ট্রেন ছুটে চলে - - -
অন্যরকম ট্রেনটি শাপের মতো হিস হিস করে
এঁকেবেঁকে চলতে থাকে আপন নিয়মে
একের পর এক অচেনা স্টেশন এলে
ট্রেন থেমে যায় ধীরে ধীরে - - -
কোলাহলহীন স্টেশনগুলো আবছা আলোর
আবরণে চাপা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে জেগে থাকে।
বিকল বোধের কেমন করা এক প্রশ্ন?
বুকের ভেতর খামচে ধরে থাকে
আমি কি কখনো কারো ছিলাম?
অথবা কেউ ছিলো কি অামার?
অদ্ভুত সব প্রশ্নগুলো মনের মাঝে
জোঁকের মত কামড়ে থাকে।
অবশেষে অচেনা এক পৃথিবীতে এসে
ট্রেনটি অাবারো থেমে যায় ধীরে ধীরে - - -
অচেনা যবুথবু লোকগুলো নেমে যায়
সাদা কাফনের মতো সেলাইবিহীন বস্ত্রগুলো
ওঁদের শরীরে আবরণ হয়ে লেপ্টে থাকে।
এ সময় যে যার মত মাথা নীচু করে
ধীর পায়ে হেঁটে যায় ওঁরা কেমন করে।
অবাক হয়ে চেয়ে থাকি ওঁদের পানে।
ওঁদের সাথে দলভুক্ত হলাম কেমন করে?
মনে হয় ওঁরা বোধহীন, উদ্ভ্রান্ত।
এ কোথায় এলাম? নিজেই বিভ্রান্ত।
ফাইল ছবি
আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং অন্যান্য সিনিয়র নেতারা।।
আজ সকাল ৭টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এ বাঙালির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে বিপথগামী কিছু সেনাসদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল এবং পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে পান। সূত্র: ইত্তেফাক