a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
আজ সকাল সাড়ে আটটায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছড়া সংসদের এক অনির্ধারিত মিটিং অনুষ্ঠিত হয় টিটিসি প্রাঙ্গনে। মিটিংএ উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ ছড়াকার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ফরিদা বেগম, ছড়াকার শহীদ আল মামুন, ছড়াকার সরকার জসীম, ছড়াকার স্বপনধর, ছড়াকার তাছাদ্দুক হোসেন, কবি কথাশিল্পী ও ছড়াকার মুঈন হুদা, ছড়াকার মো: রফিকুল ইসলাম, ছড়াকার নামজুল আলম চৌধুরী, ছড়াকার অনন্য কামরুল, কবি ও ছড়াকার বিল্লাল মাহমুদ মানিক, কবি ও ছড়াকার কাঙাল শাহীন, ছড়াকার ফজলুল হক পরাগ, কবি ও ছড়াকার বেলায়েত হোসেন, ছড়াকার জুুলহাস আকন্দ, ছড়াকার শফিয়েল আলম ও আবু সাইদ কামাল।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছড়া সংসদের উদ্যোগে ২০২১ বইমেলায় প্রকাশিত ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছড়া’ গ্রন্থটি গত সন্ধ্যায় সুন্দরবন পরিবহন থেকে সংগ্রহ করা হয়। আজ সকালে গ্রন্থটির লেখক কপি সমবেত লেখকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থটি হাতে পেয়ে সবাই উল্লসিত। একে একে সবাই বইটি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন। সুন্দর ও সমৃদ্ধ প্রকাশনার জন্য সবাই সন্তুষ্ট বলে মতামত প্রকাশ করেন। কেউ কেউ অতি উচ্ছসিত হয়ে বলেন, বইটি একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। কারণ, এর আগে কখনো এমন কাজ এই অঞ্চলে হয়নি। বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছড়া সংসদের এটিই প্রথম প্রয়াস। প্রয়াসটি অনেকটাই সফলতা পেয়েছে বলে অনেকে মতামত প্রকাশ করেন।
ঘরোয়া অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সরাকার জসীম এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ কামাল। উল্লেখ্য যে, গ্রন্থে সূচিবদ্ধ বৃহ্ত্তর ময়মনসিংহের সকল ছড়াকারের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণ একটি অনুষ্ঠান করে বইটির মোড়ক উন্মোচনের পরিকল্পনা থাকলেও করোনা মহামরির কারণে তা সম্ভব হয়নি।
ছবি সংগৃহীত
চোখ জোড়া মায়া হরিণ
চোখ জোড়া মায়া হরিণ,
কেশর যেনো অমাবস্যার রাত।
শ্যাম বর্ণের মানুষরা গল্পেই সুন্দর,
কাব্য ছাড়া তারা যেনো অনাথ।
তার মুখে চাই না গো কেহো,
ত্বকে যার কালচে ভাব।
তাকে নিয়েই কটু কথার,
হয় নাকো অভাব।
ঠোঁটে তার হাসিই থাকে,
চোখের কোণে নদীর ঢ্ল।
এই পৃথিবীটা ভালোবাসা বিহীন ,
যদি না থাকে শ্যামবর্ণের মানুষের দল।
মায়া ভরা চাহনি তোমার
মায়া ভরা চাহনি তোমার
চশমার ফ্রেমে ড্রাগর চোখ।
দাঁতগুলো মুক্তার মতো
কারুকাযে অঙ্গ বিভোর!
কালো, ধলো শুধু বাইরের রঙ
মনের মায়ায় যদি লেগে যায়,
আর কেন দেরি নৌকায় উঠো
পাল তুলে যাবো ঐ.. দূরের গাঁয়।
ফাইল ছবি
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশের নেতারা প্রকাশ্যে রুবলে গ্যাস কিনবেন না বললেও তারা গোপনে গোপনে রাশিয়ার মুদ্রাতেই গ্যাস কিনছেন। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর চিফ অব স্টাফ গার্জেলি গুলিয়াস রোববার এক রেডিও অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর ব্লুমবার্গ ও পার্সটুডের।
তিনি বলেন, ইউরোপের যে সব দেশ রুবলের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে গ্যাস কিনছে সেসব দেশের নেতারা প্রকাশ্যে তা স্বীকার করছেন না শুধুমাত্র ভালো ইউরোপীয় হওয়ার জন্য। গুলিয়াস জানান, রাশিয়ার গজপ্রম ব্যাংকে তার দেশ একটি ইউরোর অ্যাকাউন্ট খুলেছে, এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তারা রাশিয়াকে রুবলে জ্বালানির মূল্য পরিশোধ করবেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘অবন্ধুসুলভ’ দেশগুলোকে গ্যাসের দাম পরিশোধের জন্য রুবেল ব্যবহার করতে হবে বলে যে ডিক্রি জারি করেছেন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে তা পূরণ করা সহজ।
হাঙ্গেরির ওই কর্মকর্তা বলেন, তারা যে পদ্ধতিতে রাশিয়াকে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করছেন, একই সিস্টেমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নয়টি দেশ মূল্য পরিশোধ করছে। এ ব্যাপারে কারো মনে কোনো রকমের সন্দেহ থাকার কারণ নেই। কিন্তু তারা কেউ এ কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করবে না শুধুমাত্র ভালো ইউরোপীয় সাজতে।
তিনি কোন কোন দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে রুবলের বিনিময়ে গ্যাস কিনছে তার নাম উল্লেখ করেননি। এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ দেশ রাশিয়াকে গ্যাসের মূল্য রুবলের মাধ্যমে পরিশোধ করার জন্য গজপ্রম ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে এবং এরইমধ্যে চারটি দেশ রুবলের এর মাধ্যমে রাশিয়াকে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করা শুরুও করেছে। সূত্র: যুগান্তর