a অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না ভারতে করোনা আক্রান্তদের!
ঢাকা শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না ভারতে করোনা আক্রান্তদের!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:৪০
অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না ভারতে করোনা আক্রান্তদের

ফাইল ছবি

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবায় বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। ইউরোপ-আমেরিকার পর এই ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মহাবিপর্যয়ে নামিয়ে এনেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারতে। দেশটিতে ইতোমধ্যে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ গিয়ে পৌঁছেছে ৩ লাখ ৬৩ হাজারে, যা বিশ্বের যেকোনও দেশের চেয়ে বেশি।

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের থাবা থেকে ফিরে আসাদের প্রত্যেকেই সুস্থ হওয়ার নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে অ্যান্টিবডি। তবে ব্যতিক্রম ঘটছে, সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেও অনেকের শরীরেই গড়ে ওঠেনি স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। আর এ জন্যই রোগটি ফিরে আসছে বারবার। সমীক্ষা জানা গেছে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের অন্যতম কারণ হল কোভিড-১৯ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির অনুপস্থিতি। খবর আনন্দবাজারের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ’ (সিএসআইআর)-এর মার্চ মাসের ওই সমীক্ষা জানিয়েছে, মোট ১০,৪২৭ লোকের উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে (সেরো পজিটিভিটি) মাত্র ১০.১৪ শতাংশের শরীরে। দেশের ১৭টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সিএসআইআর-এর কর্মীদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য পাওয়া যায়।

খবরে আরও বলা হয়, ওই সমীক্ষার ফল দেখে উদ্বিগ্ন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাও। কারণ, তাদের মতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে না উঠলে শুধুমাত্র টিকা আর ওষুধের সাহায্যে কোভিড-দমন করা খুবই কঠিন।

এদিকে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির ‘সক্রিয়তার মেয়াদ’ নিয়েও দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টিবডিগুলো তৈরি হওয়ার ৫-৬ মাসের মধ্যেই সেগুলো দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলছে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবারও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। [সূত্র:বিডিপ্রতিদিন]

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

করোনা প্রতিরোধে খাবার বড়ি ও স্প্রের দিকে ঝুঁকছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১, ০৮:৫১
করোনা প্রতিরোধে খাবার বড়ি ও স্প্রের দিকে ঝুঁকছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ফাইল ছবি: বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন

করোনাভাইরাসের টিকা যাতে নাকে স্প্রে করার মাধ্যমে ও মুখে খাওয়ার বড়ি হিসেবে ব্যবহার করা যায়, সে দিকেই এখন নজর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এমনটিই গত মঙ্গলবার জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন। তাঁর মতে, তাঁর নজর এখন করোনা টিকার ‘দ্বিতীয় প্রজন্ম’-এর দিকে, যা নাকে স্প্রে আকারে এবং মুখে বড়ি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

তিনি বলেন, করোনার এই জাতীয় টিকাগুলো সহজে সরবরাহ ও সংরক্ষণ করা যাবে। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে ১২৯টি প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় প্রজন্মের এ টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল (মানবদেহে পরীক্ষা) রয়েছে। আরও ১৯৪ প্রতিষ্ঠান এ ধরনের টিকার উন্নয়ন ঘটাচ্ছে ও পরীক্ষাগারে ট্রায়াল দিচ্ছে।

সৌম্য স্বামীনাথন আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে এসবের মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানের টিকা বেশ নিরাপদ ও কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হবে। ফলে আমরা শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর টিকাটি বেছে নিতে পারব।’

তিনি বলেন, যদি দ্বিতীয় প্রজন্মের টিকা তৈরির প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত প্ল্যাটফর্মগুলো করোনার টিকা তৈরিতে ব্যর্থও হয়, তাতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ, এসব প্ল্যাটফর্ম ভবিষ্যতে অন্যান্য সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহার করা যেতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ পর্যন্ত ৭টি প্রতিষ্ঠানকে জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা (ইনজেকশন) ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং ভারত বায়োটেক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

যুক্তরাজ্যের ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বৃত্তি শেভেনিং, আবেদন শুরু


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১২:১৬
যুক্তরাজ্যের ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বৃত্তি শেভেনিং আবেদন শুরু

ফাইল ছবি

যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয় বৃত্তির গুলোর একটি হলো ‘শেভেনিং স্কলারশিপ’। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাজ্যের শেভেনিং স্কলারশিপের জন্য আবেদন গ্রহণ আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী শেভেনিং বৃত্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পড়ছেন। এ বছরের বৃত্তির আবেদনের শেষ দিন আগামী ৭ নভেম্বর। বৃত্তির বিস্তারিত জানা যাবে chevening.org ওয়েবসাইট থেকে।

বাংলাদেশ থেকে ৩৮০ জনেরও বেশি শেভেনিং বৃত্তি পেয়ে যুক্তরাজ্য পড়াশোনা করেছেন। এ স্কলারশিপে ফুল ফ্রি। এর সঙ্গে বিমানের টিকিট ও বাসস্থানও মিলবে।

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী শেভেনিং বৃত্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পড়ছেন। যুক্তরাজ্যের ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস (এফসিও) ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এ বৃত্তির জন্য অর্থায়ন করে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেবেন—এমন যোগ্যতাসম্পন্ন তরুণদের বৃত্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে দেয় শেভেনিং বৃত্তি। এ বৃত্তির আওতায় যুক্তরাজ্যের একটি নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়।

স্নাতক পর্যায়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ডিগ্রি আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তির সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করা হয়। বৃত্তির জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। আইইএলটিএসে ন্যূনতম ৬.৫ স্কোর থাকতে হয়।

নেতৃত্বের ভিত্তিতে দেওয়া স্কলারশিপের মধ্যে শেভেনিং অন্যতম সবচেয়ে সেরা। চিকিৎসকসহ সবাই এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। এ বৃত্তি পেলে যুক্তরাজ্যের ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো একটিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করতে পারবেন। বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতা, নেতৃত্বদানের অভিজ্ঞতা, নিজের দেশ ও সমাজের ওপর ইতিবাচক প্রভাবের দিকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বৃত্তির মাধ্যমে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে শিক্ষার্থীদের দুই বছর কাজের অঙ্গীকার করতে হয়।

বৃত্তি যাঁরা পাবেন, তাঁদের উদ্দেশে শেভেনিংয়ের পরিচালক মিরান্ডা থমাস বলেছিলেন, ‘আমরা আপনার জন্য একটি প্রোগ্রামের আয়োজন করি, যা আপনাকে ব্রিটেনের ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নীতি নিয়ে একাডেমিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক, সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোয় আপনাকে অভ্যস্ত করে তুলবে। এর আগে বৃত্তিপ্রাপ্তরা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিট পরিদর্শন করেছেন, লন্ডনের গ্যালারিগুলোয় শিল্পের প্রদর্শনী দেখেছেন। বিবিসিতে ইন্টার্ন করেছেন।’

শেভেনিং বৃত্তির আবেদনের জন্য যোগ্যতা হিসেবে পড়াশোনাকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। স্নাতক পর্যায়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ডিগ্রি আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তির সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করা হয় বৃত্তির ক্ষেত্রে। বৃত্তির জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া বৃত্তির জন্য ইংরেজি ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা আইইএলটিএসে ন্যূনতম ৬.৫ স্কোর থাকতে হবে।

যুক্তরাজ্য সরকারের শেভেনিং বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হয় অনলাইনের মাধ্যমে। যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কোর্সে আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য বেশ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন। ইংরেজি ভাষায় দুটি রেফারেন্স লেটার বা সুপারিশপত্র, পাসপোর্ট/ জাতীয় পরিচয়পত্র, সর্বশেষ পড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে। বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ভর্তির ‘অফার লেটার’ সংযুক্ত করতে হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচনের পর মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয় ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনে। শেভেনিংয়ের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করা যাবে।

আবেদনের সময় যা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে—
*আবেদনের সময় সব তথ্য ঠিকঠাকভাবে দিতে হবে
*নেটওয়ার্কিংয়ের দক্ষতা, আগামী দিনের নেতৃত্বদানের সম্ভাবনা বৃত্তিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে গুরুত্ব পায়।
*আপনি যদি বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সেটিও কাজে আসবে।

*শেভেনিং বৃত্তির আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।

সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - স্বাস্থ্য